কবরী বিশ্বাস অপু
অবারিত মাঠ, শুভ্র-সুনীল আকাশ, রক্তিম সূর্যোদয়ের এ দেশ আমার বাংলাদেশ। এ দেশ আমার কাছে নির্ভীক স্বাধীনতার এক অনন্য উদাহরণ। সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্যাপনের প্রাক্কালে স্বপ্নের স্বদেশ নিয়ে নিজের ভাবনা প্রকাশ করাই আমার কাছে তারুণ্যের স্বাধীনতা।
অথচ আমার এ সোনার দেশে ১৯৭১ সালে হানা দিয়েছিল দানবরূপী পাকিস্তানি বাহিনী। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর স্বাধীন হয় এ দেশ। বিশ্ব মানচিত্রে উন্মোচিত হয় একটি স্বাধীন পতাকা, একটি রক্তিম মানচিত্র।
এ বিজয় কারও দানে পাওয়া নয়। ৩০ লাখ শহীদের রক্তে আর দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে। সংগ্রাম, ত্যাগ আরও তিতিক্ষা ফসল এই সুবর্ণ স্বাধীনতা। তাই আমার কাছে সবার আগে স্বাধীনতা মানে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী, সমৃদ্ধিশালী, অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক এক বাংলাদেশ। তবে স্বাধীনতা অর্জনের পথ মসৃণ ছিল না। মুক্তিযুদ্ধ শুধু স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ নয়। মুক্তিযুদ্ধ মানে ন্যায্য অধিকার ও সংস্কৃতি রক্ষার যুদ্ধ। ২৪ বছরের শোষণ আর বঞ্চনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ। সর্বোপরি ভাষা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও বাঙালি ইতিহাস রক্ষার জন্য যুদ্ধ, মানচিত্র বিনির্মাণের জন্য যুদ্ধ।
স্বাধীনতার সঙ্গে ভাষা ও সংস্কৃতির মুক্তির বিষয়টিও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বাংলাদেশ ইতিহাস ও ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ অনন্য এক দেশ। যুগ যুগ ধরে ইতিহাসের পরতে পরতে রয়েছে আমাদের সংস্কৃতির উজ্জ্বল বিচরণ। অথচ আমরা বিদেশি কিংবা পশ্চিমা সংস্কৃতির আগ্রাসনকে বিশেষ করে দেখছি। কিন্তু আমার কাছে সাংস্কৃতিক এই অবক্ষয়ের কারণ হিসেবে বিদেশি বা পশ্চিমা সংস্কৃতির আগ্রাসন মুখ্য নয়। বরং বহু বছর ধরে নিজস্ব তথা বাঙালি সংস্কৃতির বিকৃতি ও অপচর্চাই প্রধান। অথচ একদিন এই ভাষা ও সংস্কৃতির জন্য মায়ের ভাষার জন্য আত্মাহুতি দিয়েছিল আপামর বাঙালি। ভাষার স্বাধীনতার জন্য রাজপথ করেছিল রঞ্জিত। তাই আমার কাছে স্বাধীনতা মানে মায়ের ভাষা বাংলায় কথা বলা।
স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম বিষয় ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে সম্ভাবনাময় বাংলাদেশের অনেক না পাওয়া রয়েছে, সংকট রয়েছে আবার সম্ভাবনাও রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি সাফল্য আর সমৃদ্ধির উন্নত শিখরে নাম থাকবে বাংলাদেশের। আমরা পরিশ্রমী, যুদ্ধজয়ী জাতি। যেকোনো অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে প্রস্তুত এ প্রজন্ম। অনেক সংকটের মধ্যেও আমাদের আকাশচুম্বী সাফল্য আছে। এটাই আমার কাছে স্বাধীনতা।
লেখক: ভাস্কর ও পিএইচডি স্কলার, মহারাজা সায়াজিরাও ইউনিভার্সিটি অব বরোদা
অবারিত মাঠ, শুভ্র-সুনীল আকাশ, রক্তিম সূর্যোদয়ের এ দেশ আমার বাংলাদেশ। এ দেশ আমার কাছে নির্ভীক স্বাধীনতার এক অনন্য উদাহরণ। সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্যাপনের প্রাক্কালে স্বপ্নের স্বদেশ নিয়ে নিজের ভাবনা প্রকাশ করাই আমার কাছে তারুণ্যের স্বাধীনতা।
অথচ আমার এ সোনার দেশে ১৯৭১ সালে হানা দিয়েছিল দানবরূপী পাকিস্তানি বাহিনী। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর স্বাধীন হয় এ দেশ। বিশ্ব মানচিত্রে উন্মোচিত হয় একটি স্বাধীন পতাকা, একটি রক্তিম মানচিত্র।
এ বিজয় কারও দানে পাওয়া নয়। ৩০ লাখ শহীদের রক্তে আর দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে। সংগ্রাম, ত্যাগ আরও তিতিক্ষা ফসল এই সুবর্ণ স্বাধীনতা। তাই আমার কাছে সবার আগে স্বাধীনতা মানে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী, সমৃদ্ধিশালী, অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক এক বাংলাদেশ। তবে স্বাধীনতা অর্জনের পথ মসৃণ ছিল না। মুক্তিযুদ্ধ শুধু স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ নয়। মুক্তিযুদ্ধ মানে ন্যায্য অধিকার ও সংস্কৃতি রক্ষার যুদ্ধ। ২৪ বছরের শোষণ আর বঞ্চনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ। সর্বোপরি ভাষা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও বাঙালি ইতিহাস রক্ষার জন্য যুদ্ধ, মানচিত্র বিনির্মাণের জন্য যুদ্ধ।
স্বাধীনতার সঙ্গে ভাষা ও সংস্কৃতির মুক্তির বিষয়টিও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বাংলাদেশ ইতিহাস ও ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ অনন্য এক দেশ। যুগ যুগ ধরে ইতিহাসের পরতে পরতে রয়েছে আমাদের সংস্কৃতির উজ্জ্বল বিচরণ। অথচ আমরা বিদেশি কিংবা পশ্চিমা সংস্কৃতির আগ্রাসনকে বিশেষ করে দেখছি। কিন্তু আমার কাছে সাংস্কৃতিক এই অবক্ষয়ের কারণ হিসেবে বিদেশি বা পশ্চিমা সংস্কৃতির আগ্রাসন মুখ্য নয়। বরং বহু বছর ধরে নিজস্ব তথা বাঙালি সংস্কৃতির বিকৃতি ও অপচর্চাই প্রধান। অথচ একদিন এই ভাষা ও সংস্কৃতির জন্য মায়ের ভাষার জন্য আত্মাহুতি দিয়েছিল আপামর বাঙালি। ভাষার স্বাধীনতার জন্য রাজপথ করেছিল রঞ্জিত। তাই আমার কাছে স্বাধীনতা মানে মায়ের ভাষা বাংলায় কথা বলা।
স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম বিষয় ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে সম্ভাবনাময় বাংলাদেশের অনেক না পাওয়া রয়েছে, সংকট রয়েছে আবার সম্ভাবনাও রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি সাফল্য আর সমৃদ্ধির উন্নত শিখরে নাম থাকবে বাংলাদেশের। আমরা পরিশ্রমী, যুদ্ধজয়ী জাতি। যেকোনো অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে প্রস্তুত এ প্রজন্ম। অনেক সংকটের মধ্যেও আমাদের আকাশচুম্বী সাফল্য আছে। এটাই আমার কাছে স্বাধীনতা।
লেখক: ভাস্কর ও পিএইচডি স্কলার, মহারাজা সায়াজিরাও ইউনিভার্সিটি অব বরোদা
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৮ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪