সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় একটি সেতুর মুখ বন্ধ করে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। এ কারণে পাঁচ গ্রামের ৫০০ থেকে ৬০০ একর ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে ৮৯ জন কৃষক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়নের পুকুরপাড়, ভেটুয়াকান্দি, পূর্ণিমাগাঁতী, মাগুড়াডাঙ্গা, বেতুয়া ছয়বাড়িয়াসহ প্রায় ৫ গ্রামের ফসলি জমির পানি নিষ্কাশনের জন্য ওই সেতু ব্যবহার করা হয়। সেটির মুখ বন্ধ করে অপরিকল্পিতভাবে রাস্তা নির্মাণ করছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু মুছা সরকার। ফলে ছয়-সাত মাস ধরে ফসলি জমিতে পানিতে জমে আছে। 
এ বিষয়ে জমির মালিক মাগুড়াডাঙ্গা গ্রামের কৃষক হযরত আলী বলেন, এই এলাকার পূর্ণিমাগাঁতী, পুকুরপাড়, ভেটুয়াকান্দি, বেতুয়া ছয়বাড়িয়া, মাগুড়াডাঙ্গাসহ আশপাশের গ্রামের প্রায় ৬০০ একর জমি রয়েছে। সেতুর মুখ বন্ধ হওয়ায় এসব অঞ্চলের কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। বর্তমানে পানি জমে থাকায় সব ধরনের ফসল ফলানো ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে এসব এলাকায় যদি ফসল ফলানো না যায়, তাহলে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেবে।

কৃষক জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘এ রাস্তা নির্মাণের ফলে গত বোরো মৌসুমে  ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অল্প বৃষ্টিতেই ধান তলিয়ে গিয়েছিল। কোমরপানিতে ধান কাটতে হয়েছে। এতে উৎপাদন খরচ বেড়ে গিয়েছিল।’ এখনো এসব জমি কোমরপানিতে তলিয়ে আছে। তাই পানি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু মুছা তালুকদার বলেন, ছয়-সাত মাস আগে টিআর প্রকল্পের মাধ্যমে সেতু থেকে ১০০ গজ দূরে সরকারি রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। সেতুর মুখ বন্ধ হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মুছা বলেন, রাস্তার কাজ করায় সেতুর মুখ বন্ধ হয়েছে। তবে ইউএনও বিষয়টি অবগত হওয়ার পর দ্রুত সমাধানের তাগিদ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে ইউএনও মো. উজ্জ্বল হোসেন বলেন, ‘পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়নের ছয়বাড়িয়া গ্রামের রাস্তা নির্মাণের ফলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে তা জানতে পেরেছি। তবে এটা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’