Ajker Patrika

ঋণ জালিয়াতি ধরতে স্বয়ংক্রিয় নজরদারি ব্যবস্থা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২১, ১১: ৪৫
ঋণ জালিয়াতি ধরতে স্বয়ংক্রিয় নজরদারি ব্যবস্থা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে

ঋণ জালিয়াতি প্রতিরোধ ও ঋণ আদায় করতে স্বয়ংক্রিয় ক্রেডিট রিস্ক ডেটাবেইস (সিআরডি) সেন্টার স্থাপন করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ঋণ নিতে যাঁরা আগ্রহী থাকবেন, এই ডেটা সেন্টারে তাঁদের সব ধরনের প্রয়োজনীয় তথ্য জমা থাকবে। আর এ তথ্য ব্যবহার করে দ্রুত সময়ে ঋণ বিতরণ করাও সম্ভব হবে। এতে ঋণগ্রহীতাদের ঋণ পরিশোধ করার তথ্যও সন্নিবেশ করা থাকবে। এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করে যেকোনো ব্যাংক অথবা আর্থিক প্রতিষ্ঠান গ্রাহককে ঋণ দিতে পারবে।

সিআরডি ডেটা সেন্টারের মাধ্যমে ক্রেডিট, সঞ্চয়, বিমা, পাওনা পরিশোধ, অর্থ ব্যবস্থাপনাসহ নানা অর্থনৈতিক সেবা নজরদারিতে আনা হবে এবং এসব কাজ দ্রুত সময়ে করা সম্ভব হবে। এ সেন্টার ব্যবহার করে উপযুক্ত গ্রাহক যাচাই-বাছাই, তাঁদের লেনদেনের ভালো-মন্দ প্রকৃতি, তাঁদের সম্মান ও অবস্থান, দৈনন্দিন কাজের ধরন, আর্থিক অবকাঠামো, এবং বাজার ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি বিষয়ও জানা যাবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি সূত্র জানিয়েছে, এ ডেটা সেন্টার চালু হলে ঋণ বিতরণ এবং আদায় করা অনেক সহজ হবে। পাশাপাশি কোনো গ্রাহক ঋণ ফাঁকি দিতে তথ্য গোপন করার সুযোগও পাবেন না। এর ফলে ঋণ পৌঁছে যাবে প্রকৃত সুবিধাভোগীদের কাছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনার সময় অনেক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রান্তিক পর্যায়ে প্রণোদনার টাকা বিতরণ করতে বাধার মুখোমুখি হয়েছিল। অর্থাৎ প্রান্তিক, ক্ষুদ্র এবং বর্গাচাষিদের মধ্যে ঋণ বিতরণে বড় বাধা ছিল তাঁদের সম্পর্কে সন্নিবেশিত তথ্য না থাকা। এমনকি কুটির, ক্ষুদ্র, ছোট এবং মাঝারি উদ্যোক্তাদের (সিএমএসএমই) মধ্যে ঋণ বিতরণ করতেও তথ্যগত সমস্যা দেখা দেয়। এতে প্রণোদনার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন অনেক প্রকৃত সুবিধাভোগী। এসব বাধা অতিক্রম করতে প্রান্তিক উন্নয়নে সিআরডি ডেটা সেন্টার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

স্বয়ংক্রিয় এই ক্রেডিট রিস্ক ডেটাবেইস সেন্টার স্থাপন করার উদ্যোগ হিসেবে সম্প্রতি জাপানিজ টেকনিক্যাল করপোরেশন ফর জেএফওয়াই-এর সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট গ্রান্টি স্কিম ইউনিট। এ নিয়ে জাপানিজ করপোরেশন এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ কাজ করছে। প্রকল্পের কাজ ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে শুরু করে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, ই-পদ্ধতিতে লেনদেন তথা টাকা আমানত, টাকা উত্তোলন এবং স্থানান্তর হওয়ায় গ্রাহকের তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে সন্নিবেশিত হবে। এতে ঋণ জালিয়াতি দূরীকরণ এবং ঋণের টাকা আদায় সহজ হবে।

ওই কর্মকর্তা আরও জানান, কেউ ঋণ ফাঁকি দিতে স্থান পরিবর্তন করলে তা-ও ডেটা সেন্টার থেকে শনাক্ত করার ব্যবস্থা থাকবে। এতে ঋণগ্রহীতা এবং ঋণদাতা উভয়ই সুফল পাবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের ভিসা নীতি দুই দেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্কে প্রভাব ফেলছে: বলছেন কূটনীতিকেরা

ফাইনালে ভারতের ‘যম’কে খেলানো নিয়ে দোটানায় নিউজিল্যান্ড

বিকেলে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে ছাত্রদল ও এনসিপি

নিষিদ্ধ হিযবুত তাহ্‌রীরের মিছিল, পুলিশের টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেডে ছত্রভঙ্গ

ভারত ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত