Ajker Patrika

তরমুজে সফল হওয়ার স্বপ্ন

বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২২, ১৪: ৩৮
তরমুজে সফল হওয়ার স্বপ্ন

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের বেউরঝাড়ী এলাকায় নাগর নদীর তীরে ২০ বিঘা জমিতে তরমুজ লাগিয়েছেন চার শ্রমিক বন্ধু। গাছের লতায় লতায় ভালোই ফল ধরেছে। এখন তাঁরা এই তরমুজ বেচে সফল হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।

চার বন্ধু হলেন রশিদ আলী, সাদ্দাম হোসেন, দিলিপ পাল ও আজিজুল হক। তাঁদের বাড়ি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকার বেউরঝাড়ী গ্রামে। তাঁরা সীমান্তে রনবাগ টিএস্টেট লিমিটেডে চা শ্রমিক হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি তরমুজ চাষ করছেন।

চার বন্ধুর তরমুজখেতে গিয়ে দেখা গেছে, চা বাগানের পাশে বাংলাদেশ-ভারতের বেউরঝাড়ী সীমান্তের মাঝখানে নাগর নদীর ধারে পড়ে থাকা বালুর চর চাষাবাদ করা হয়েছে তরমুজ। খেত ফলনে ভরে গেছে। বড় আকারের তরমুজের ওজন প্রায় ২০ কেজি। আর ১০ দিন পরে তরমুজের আকার আরও বড় হবে। সেই সঙ্গে বাজারে বিক্রি করা যাবে এসব তরমুজ। তাই সেচ দেওয়াসহ খেত পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন চার বন্ধু।

আজিজুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিন বছর ধরে আমি একাই তরমুজ চাষ করে আসছিলাম। তবে পাঁচ বিঘার বেশি জমি একাই চাষাবাদ করতে পারিনি। চলতি মৌসুমে চার বন্ধু মিলে এক হয়ে নাগর নদীর ধারে ১২ বিঘা এবং ৮ বিঘা আবাদি জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। এখন পর্যন্ত সাড়ে ৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ৫ গাড়ি তরমুজ হবে। যার বাজার মূল্য ১৫ লাখ টাকার বেশি।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ্র রায় বলেন, ‘গত বছর তরমুজের দাম ভালো ছিল। এবার উপজেলায় ১২ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষাবাদ বেড়েছে।’ চার বন্ধুর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করলে সফলতা আসবেই। অন্য খেতের তুলনায় চার বন্ধুর খেতের ফলন তুলনামূলকভাবে ভালো।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা হলেই মেয়াদ শেষ নতুন পরিচালনা কমিটির

‘মবের হাত থেকে বাঁচাতে’ পলকের বাড়ি হয়ে গেল অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প

ভ্যানিটি ব্যাগ ধরে টান, সন্তানসহ ছিটকে পড়তেই তরুণীর গালে ছুরিকাঘাত

এনসিপিকে চাঁদা দিচ্ছেন ধনীরা, ক্রাউডফান্ডিং করেও অর্থ সংগ্রহ করা হবে: নাহিদ ইসলাম

আ. লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, তারাই সিদ্ধান্ত নেবে: বিবিসিকে প্রধান উপদেষ্টা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত