নোয়াখালী প্রতিনিধি
ছোট ভাই ভোট করছেন। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকরি করায় আসতে পারছেন না জেলা প্রশাসক বড় ভাই। তাতে কী? ছোট ভাইয়ের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়ার জন্য ঠিক নিজ অফিসের কর্মচারীদের পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। আচরণবিধি লঙ্ঘনের এমন ঘটনা ঘটেছে নোয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে।
১৬ জানুয়ারি নোয়াখালী পৌরসভায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে মোবাইল প্রতীক নিয়ে ভোট করছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী লুৎফুল হায়দার লেলিন। তিনি বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার লিপুর ছোট ভাই। অভিযোগ উঠেছে, এই প্রার্থীর পক্ষে ভোটের প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন বরিশাল জেলা প্রশাসনের কয়েকজন কর্মচারী।
এ ঘটনায় নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজিমুল হায়দারকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী দুই দিনের মধ্যে এ কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, গত সোমবার রাতে কালেক্টরেট সহকারী সমিতির নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ে সদস্যদের নিয়ে লেলিনের (স্বতন্ত্র প্রার্থী) পক্ষে ভোট চেয়ে সভা করেন বরিশাল জেলা প্রশাসনের কয়েকজন কর্মী। সভায় উপস্থিত থাকা কালেক্টরেট সহকারী সমিতির একাধিক সদস্য জানান, সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে সংগঠনের নোয়াখালীর সদস্যদের ব্রিফিং করেন বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এল এ শাখার উচ্চমান সহকারী ও বরিশাল কালেক্টরেট সহকারী সমিতির সভাপতি মাহফুজুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন বরিশাল জেলা প্রশাসকের চতুর্থ শ্রেণির আরও তিন সদস্য। এ সময় মাহফুজুর রহমান নোয়াখালী পৌরসভার স্বতন্ত্র প্রার্থী লেলিনের পক্ষে ভোট করার জন্য নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের কর্মচারীদের আহ্বান জানান এবং কীভাবে প্রচারণা করতে হবে তার দিক-নির্দেশনা দেন বলেও জানা গেছে।
বরিশাল জেলা প্রশাসনের উচ্চমান সহকারীসহ চারজনের ওই দল সোমবার দুপুরে নোয়াখালী আসেন। তাঁরা ওই দিন সন্ধ্যায় নোয়াখালী কালেক্টরেট সহকারী সমিতির সঙ্গে বৈঠক করে জেলা সার্কিট হাউসে রাতযাপন করেন। গতকাল মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মচারীদের বাসায় বাসায় গিয়ে ভোটের প্রচারণায় অংশ নেওয়ার ইচ্ছা ছিল তাঁদের।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এল এ শাখার উচ্চমান সহকারী মাহফুজুর রহমান দাবি করেন, ভোট চাইতে নয়, নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ঘুরতে এসেছেন তাঁরা। কিন্তু জেলা শহর থেকে সুবর্ণচর দূরে হওয়ায় সেদিকে যাননি। তবে সহকর্মীদের (নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ের সদস্য) সঙ্গে কথা হলে কয়েকজনকে শুধু ভোট দেওয়ার অনুরোধ করেছেন বলে স্বীকার করেছেন মাহফুজুর।
এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক খায়রুল আনম সেলিম বলেন, ‘একজন জেলা প্রশাসক কীভাবে তাঁর অধীন কর্মচারীদের অন্য জেলায় পাঠায় নৌকার বিরুদ্ধে ভোট করার জন্য? একজন সরকারি দায়িত্বশীল কর্মকর্তার কাছ থেকে এমন নিন্দনীয় কাজ কেউ আশা করে না। নির্বাচনী আচরণবিধি বহির্ভূত এমন কাজের সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।’
এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান বলেছেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে দিয়ে একটা তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। দুই দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে।’
এদিকে ঘটনা জানাজানির পর এবং গোয়েন্দা নজরদারিতে আসার বিষয়টি টের পেয়ে নোয়াখালী থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন বরিশাল জেলা প্রশাসনের ওই চার কর্মচারী। ফলে পরবর্তী সময়ে তাঁদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে জানতে বরিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দারের মোবাইলে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনিও কল রিসিভ করেননি।
ছোট ভাই ভোট করছেন। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকরি করায় আসতে পারছেন না জেলা প্রশাসক বড় ভাই। তাতে কী? ছোট ভাইয়ের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়ার জন্য ঠিক নিজ অফিসের কর্মচারীদের পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। আচরণবিধি লঙ্ঘনের এমন ঘটনা ঘটেছে নোয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে।
১৬ জানুয়ারি নোয়াখালী পৌরসভায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে মোবাইল প্রতীক নিয়ে ভোট করছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী লুৎফুল হায়দার লেলিন। তিনি বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার লিপুর ছোট ভাই। অভিযোগ উঠেছে, এই প্রার্থীর পক্ষে ভোটের প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন বরিশাল জেলা প্রশাসনের কয়েকজন কর্মচারী।
এ ঘটনায় নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজিমুল হায়দারকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী দুই দিনের মধ্যে এ কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, গত সোমবার রাতে কালেক্টরেট সহকারী সমিতির নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ে সদস্যদের নিয়ে লেলিনের (স্বতন্ত্র প্রার্থী) পক্ষে ভোট চেয়ে সভা করেন বরিশাল জেলা প্রশাসনের কয়েকজন কর্মী। সভায় উপস্থিত থাকা কালেক্টরেট সহকারী সমিতির একাধিক সদস্য জানান, সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে সংগঠনের নোয়াখালীর সদস্যদের ব্রিফিং করেন বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এল এ শাখার উচ্চমান সহকারী ও বরিশাল কালেক্টরেট সহকারী সমিতির সভাপতি মাহফুজুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন বরিশাল জেলা প্রশাসকের চতুর্থ শ্রেণির আরও তিন সদস্য। এ সময় মাহফুজুর রহমান নোয়াখালী পৌরসভার স্বতন্ত্র প্রার্থী লেলিনের পক্ষে ভোট করার জন্য নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের কর্মচারীদের আহ্বান জানান এবং কীভাবে প্রচারণা করতে হবে তার দিক-নির্দেশনা দেন বলেও জানা গেছে।
বরিশাল জেলা প্রশাসনের উচ্চমান সহকারীসহ চারজনের ওই দল সোমবার দুপুরে নোয়াখালী আসেন। তাঁরা ওই দিন সন্ধ্যায় নোয়াখালী কালেক্টরেট সহকারী সমিতির সঙ্গে বৈঠক করে জেলা সার্কিট হাউসে রাতযাপন করেন। গতকাল মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মচারীদের বাসায় বাসায় গিয়ে ভোটের প্রচারণায় অংশ নেওয়ার ইচ্ছা ছিল তাঁদের।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এল এ শাখার উচ্চমান সহকারী মাহফুজুর রহমান দাবি করেন, ভোট চাইতে নয়, নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ঘুরতে এসেছেন তাঁরা। কিন্তু জেলা শহর থেকে সুবর্ণচর দূরে হওয়ায় সেদিকে যাননি। তবে সহকর্মীদের (নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ের সদস্য) সঙ্গে কথা হলে কয়েকজনকে শুধু ভোট দেওয়ার অনুরোধ করেছেন বলে স্বীকার করেছেন মাহফুজুর।
এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক খায়রুল আনম সেলিম বলেন, ‘একজন জেলা প্রশাসক কীভাবে তাঁর অধীন কর্মচারীদের অন্য জেলায় পাঠায় নৌকার বিরুদ্ধে ভোট করার জন্য? একজন সরকারি দায়িত্বশীল কর্মকর্তার কাছ থেকে এমন নিন্দনীয় কাজ কেউ আশা করে না। নির্বাচনী আচরণবিধি বহির্ভূত এমন কাজের সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।’
এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান বলেছেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে দিয়ে একটা তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। দুই দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে।’
এদিকে ঘটনা জানাজানির পর এবং গোয়েন্দা নজরদারিতে আসার বিষয়টি টের পেয়ে নোয়াখালী থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন বরিশাল জেলা প্রশাসনের ওই চার কর্মচারী। ফলে পরবর্তী সময়ে তাঁদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে জানতে বরিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দারের মোবাইলে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনিও কল রিসিভ করেননি।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে