সজল সরকার, টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ)
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া উপজেলার ১৩ কিলোমিটার সড়ক বেহাল। এই সড়কে চলাচলকারী হাজারো মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। ২০২০ সালে এই সড়কের সংস্কারকাজ শুরু করেন ঠিকাদার সাজ্জাদ ও বরকত। পরে তাঁরা বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে পড়েন। বর্তমানে তাঁরা কারাগারে। বন্ধ রয়েছে সড়কটির কাজ। এতে দুর্ভোগে পড়েছে দুই উপজেলার মানুষ।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) অফিস সূত্রে জানা যায়, টুঙ্গিপাড়ার বাঁশবাড়িয়া, ঝনঝনিয়া ও কোটালীপাড়ার ঘাঘর জিসি সড়ক উন্নয়নের কাজ শুরু করে সাজ্জাদ বরকত কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশন (জেভি)। রাস্তা সংস্কারের প্রাক্কলিত মূল্য ধরা হয় ১২ কোটি ৩০ লাখ ৩৭ হাজার ৩২০ টাকা। কাজটি ২০১৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে ২০২১ সালের ২৯ জুন শেষ হওয়ার কথা ছিল।
ডুমুরিয়া ইউনিয়নের সোহান আল শান্ত (২২) বলেন, ‘টুঙ্গিপাড়ার বাঁশবাড়িয়া থেকে কোটালীপাড়ার বড়ইভিটা পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার রাস্তা দুই বছর ধরে চলাচলের অযোগ্য। রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হলেও অজ্ঞাত কারণে কিছুদিন পর আবার বন্ধ হয়ে যায়। এই রাস্তা দিয়ে যখনই চলাচল করি, তখন মনে হয় আমরা এখনো আদিযুগে বসবাস করছি। কিন্তু করব কী? চলাচল না করে উপায় নেই। টুঙ্গিপাড়ায় বাস করে এই রকম রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়, এর চেয়ে দুঃখ আর কী থাকে।’
টুঙ্গিপাড়ার ডুমুরিয়া ইউনিয়নের আশিকুর রহমান বলেন, রাস্তা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ছাড়া সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। কিন্তু তাঁদের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে চলাচলে শিক্ষার্থীসহ দুই উপজেলার মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। এক বছর আগে রাস্তার কাজ শুরু হলেও অজ্ঞাত কারণে কিছুদিন পরে বন্ধ হয়ে যায়।
টুঙ্গিপাড়ার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের কবির মিয়া (৫৫) বলেন, উপজেলার ডুমুরিয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া থেকে কোটালীপাড়া যাওয়ার একমাত্র রাস্তা এটি। বাঁশবাড়িয়া থেকে বড়ইভিটা যাওয়ার ১৩ কিলোমিটার রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ছোটবড় পাঁচ শতাধিক যানবাহন চলাচল করে। বাঁশবাড়িয়া সেতুর মোড় থেকে তারাইল বাজার, বড়ইভিটা হয়ে কোটালীপাড়া যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি বহু বছর ধরে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। রাস্তার দুই পাশের কার্পেটিং উঠে গেছে অনেক আগেই। বিভিন্ন জায়গায় ছোটবড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তে প্রায়ই যানবাহন উল্টে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে। আর বৃষ্টি হলেই গর্তে পানি জমে।
উপজেলার ডুমুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর বুলবুল বসু বলেন, চাকরির সুবাদে প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে কতবার যে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন তার ঠিক নেই। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই রাস্তা দিয়ে টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়ার মানুষ ভয়ে চলাচল করে। তাই রাস্তাটির কাজ দ্রুত শুরু করে মানুষের ভোগান্তি লাঘবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
টুঙ্গিপাড়া স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডির) প্রকৌশলী ফয়সাল আহম্মেদ বলেন, ২০২০ সালের মার্চ মাসে রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন অনৈতিক কাজের জন্য আগের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক দুদকের মামলায় জেলে থাকায় কাজ বন্ধ হয়ে যায়। শিগগির পুনরায় দরপত্র আহ্বান করে এই রাস্তার কাজ শুরু হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া উপজেলার ১৩ কিলোমিটার সড়ক বেহাল। এই সড়কে চলাচলকারী হাজারো মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। ২০২০ সালে এই সড়কের সংস্কারকাজ শুরু করেন ঠিকাদার সাজ্জাদ ও বরকত। পরে তাঁরা বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে পড়েন। বর্তমানে তাঁরা কারাগারে। বন্ধ রয়েছে সড়কটির কাজ। এতে দুর্ভোগে পড়েছে দুই উপজেলার মানুষ।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) অফিস সূত্রে জানা যায়, টুঙ্গিপাড়ার বাঁশবাড়িয়া, ঝনঝনিয়া ও কোটালীপাড়ার ঘাঘর জিসি সড়ক উন্নয়নের কাজ শুরু করে সাজ্জাদ বরকত কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশন (জেভি)। রাস্তা সংস্কারের প্রাক্কলিত মূল্য ধরা হয় ১২ কোটি ৩০ লাখ ৩৭ হাজার ৩২০ টাকা। কাজটি ২০১৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে ২০২১ সালের ২৯ জুন শেষ হওয়ার কথা ছিল।
ডুমুরিয়া ইউনিয়নের সোহান আল শান্ত (২২) বলেন, ‘টুঙ্গিপাড়ার বাঁশবাড়িয়া থেকে কোটালীপাড়ার বড়ইভিটা পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার রাস্তা দুই বছর ধরে চলাচলের অযোগ্য। রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হলেও অজ্ঞাত কারণে কিছুদিন পর আবার বন্ধ হয়ে যায়। এই রাস্তা দিয়ে যখনই চলাচল করি, তখন মনে হয় আমরা এখনো আদিযুগে বসবাস করছি। কিন্তু করব কী? চলাচল না করে উপায় নেই। টুঙ্গিপাড়ায় বাস করে এই রকম রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়, এর চেয়ে দুঃখ আর কী থাকে।’
টুঙ্গিপাড়ার ডুমুরিয়া ইউনিয়নের আশিকুর রহমান বলেন, রাস্তা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ছাড়া সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। কিন্তু তাঁদের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে চলাচলে শিক্ষার্থীসহ দুই উপজেলার মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। এক বছর আগে রাস্তার কাজ শুরু হলেও অজ্ঞাত কারণে কিছুদিন পরে বন্ধ হয়ে যায়।
টুঙ্গিপাড়ার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের কবির মিয়া (৫৫) বলেন, উপজেলার ডুমুরিয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া থেকে কোটালীপাড়া যাওয়ার একমাত্র রাস্তা এটি। বাঁশবাড়িয়া থেকে বড়ইভিটা যাওয়ার ১৩ কিলোমিটার রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ছোটবড় পাঁচ শতাধিক যানবাহন চলাচল করে। বাঁশবাড়িয়া সেতুর মোড় থেকে তারাইল বাজার, বড়ইভিটা হয়ে কোটালীপাড়া যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি বহু বছর ধরে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। রাস্তার দুই পাশের কার্পেটিং উঠে গেছে অনেক আগেই। বিভিন্ন জায়গায় ছোটবড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তে প্রায়ই যানবাহন উল্টে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে। আর বৃষ্টি হলেই গর্তে পানি জমে।
উপজেলার ডুমুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর বুলবুল বসু বলেন, চাকরির সুবাদে প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে কতবার যে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন তার ঠিক নেই। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই রাস্তা দিয়ে টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়ার মানুষ ভয়ে চলাচল করে। তাই রাস্তাটির কাজ দ্রুত শুরু করে মানুষের ভোগান্তি লাঘবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
টুঙ্গিপাড়া স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডির) প্রকৌশলী ফয়সাল আহম্মেদ বলেন, ২০২০ সালের মার্চ মাসে রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন অনৈতিক কাজের জন্য আগের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক দুদকের মামলায় জেলে থাকায় কাজ বন্ধ হয়ে যায়। শিগগির পুনরায় দরপত্র আহ্বান করে এই রাস্তার কাজ শুরু হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে