ফের হামলার আশঙ্কায় আহতের পরিবার

দাউদকান্দি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২১, ০৭: ৩১
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২১, ১৪: ৫২

হামলাকারীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় আবার হামলার আতঙ্কে দাউদকান্দির জিংলাতলী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য প্রার্থীর আহত কর্মীর পরিবার। এ কারণে দ্রুত সময়ের মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। গত বুধবার দুপুরে হাটখোলা নিজ বাড়িতে এক সাংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।

এর আগে গত বুধবার সকালে ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য প্রার্থী (আপেল মার্কা) মো. মাইনুদ্দিনের পক্ষে প্রচারে অংশ নেন কর্মী মো. জাহাঙ্গীর সরকার ও তাঁর ভাই মো. কুদ্দুস সরকার। এ কারণে বিভিন্ন সময়ে তাঁদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকির অভিযোগ নির্বাচনী বিজয়ী সদস্য প্রার্থী (মোরগ মার্কা) মো. ইলিয়াছ ও তাঁর কর্মীদের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, ইলিয়াছ নির্বাচনে বিজয় লাভ করার পর তার ক্যাডার বাহিনীসহ জাহাঙ্গীর ও কুদ্দুসের ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর সরদারের তাছলিমা আক্তার বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে দাউদকান্দি থানায় মামলা করেন।

মামলায় তিনচিটা গ্রামের দুই আসামি গ্রেপ্তার হলেও প্রকৃত অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। এ কারণে যেকোনো সময়ে পুনরায় সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা করছেন তাছলিমাসহ তাঁর পরিবারের সদস্যরা।

সংবাদ সম্মেলনে তাছলিমা আক্তার জানান, নির্বাচনে বিজয় লাভ করার পর নির্বাচনে তাঁর বিরোধী প্রার্থীর প্রচারে অংশ নেওয়ার প্রতিশোধ নিতে ডেগারের (বড় দা) আঘাতে জাহাঙ্গীর ও কুদ্দুসকে মারাত্মক জখম করে। পরে ইলিয়াছ ও রিপন মিলে জাহাঙ্গীর ও সরকারকে তাঁর দায়িত্বে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে হাটখোলার পাকা পুলের ওপরে আসলে দুজনকে দুই দফা মারধর করে। পরে সকাল আনুমানিক ৮টার দিকে তৃতীয় দফায় পূর্ব থেকে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর ও কুদ্দুসকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি হামলা চালায়।

তাসলিমা বলেন, এ ঘটনার বিষয়ে কেউ কোনো প্রকার মামলা-মোকদ্দমা করলে চরম মূল্য দিতে হবে বলে হুমকি দেয় সন্ত্রাসীরা। এ কারণে সকল আসামির দ্রুত গ্রেপ্তার দাবি করছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক সৈয়দ ফারুক আহমেদ বলেন, মামলায় উল্লেখিত আসামিদের গ্রেপ্তার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত