রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা পেয়ার মোহাম্মদের বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তভার দেওয়া হয়েছে নোয়াখালী জেলা অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স কর্মকর্তা ইকবাল মোর্শেদকে। ডিভিশনাল কন্ট্রোলার অব অ্যাকাউন্টস কার্যালয়, চট্টগ্রাম বিভাগের হিসাব শাখার অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস কর্মকর্তা নাছরিন আক্তার স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে ১৭ মে দৈনিক আজকের পত্রিকায় ‘টাকা ছাড়া ফাইল নড়ে না’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর একদিন পর গত ১৮ মে অনিয়মের বিষয় তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করা হয়। আজ মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।

এদিকে, গত রোববার সকাল ১০টার দিকে তদন্তের জন্য বাঘাইছড়ি উপজেলায় উপস্থিত হন নোয়াখালী জেলা অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স কর্মকর্তা ইকবাল মোর্শেদ। প্রথমে তিনি অভিযুক্ত হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা পেয়ার মোহাম্মদের কার্যালয়ে যান। পরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন, শিক্ষক সমিতির নেতা মোহাম্মদ হুসেন (বাবুল) এবং মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূরমোহম্মদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মংশিনু মারমার সঙ্গে কথা বলেন। কথা বলেন অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তা ও ভুক্তভোগী লোকজনের সঙ্গেও।

এ সময় তদন্ত কর্মকর্তা মো. ইকবাল মোর্শেদ স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘তদন্ত চলমান রয়েছে, এই মুহূর্তে কিছু বলা যাবে না। তদন্ত শেষে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াসউদ্দিন মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয়েছে। এলাকার শান্তি শৃঙ্খলার স্বার্থে অভিযুক্ত হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা পেয়ার মোহাম্মদকে যত দ্রুত সম্ভব বাঘাইছড়ি থেকে সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করেছি। বাঘাইছড়িবাসী তাঁর অনিয়ম দুর্নীতিতে বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ।’