ফারিয়া এজাজ
হেমন্তের মিষ্টি হাওয়া বইতে শুরু করেছে। বছরের এই শেষভাগেই থাকে নানা উপলক্ষ—পানচিনি, বিয়ে, বউভাত, এটা-সেটা আরও কত-কী! দাওয়াত, বিয়ের অনুষ্ঠান কিংবা কোনো উৎসবের আয়োজনে বাঙালি নারীদের আজ পর্যন্ত প্রথম পছন্দ শাড়ি। সাজের পূর্ণতার জন্য মাথা থেকে পা পর্যন্ত সবকিছুই সুন্দর করে সাজিয়ে-গুছিয়ে টিপটপ পরিপাটি হওয়া চাই। এর মধ্যে চুলের সাজটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আগে শুধু খোলা চুল, খোঁপা, বেণি, আধো খোলা, আধো বাঁধা চুলের স্টাইলই শাড়ির সঙ্গে বেশি প্রচলিত ছিল। সময় বদলেছে। এখন যতই দিন যাচ্ছে, চুলের সাজে আসছে নিত্যনতুন স্টাইল। নানান রংঢঙের এসব চুলের সাজ কোন শাড়ির সঙ্গে, কোন অনুষ্ঠানে কীভাবে করলে মানানসই হবে, তা-ও জেনে রাখা চাই। নইলে সাজটা ঠিক মনের মতো হবে না।
বেনারসি, কাতান, কাঞ্চিপুরম, গাদোয়াল শাড়ির সঙ্গে
বেনারসি শাড়ি এমনিতেই অনেক অভিজাত। তাই এর সঙ্গে চুলের সাজটা হওয়া চাই টিপটপ ও সুরুচিপূর্ণ। মাঝে সিঁথি করে চাপিয়ে চুল বেঁধে একটু নিচু করে খোঁপাতে গজরা, বেলি ফুল লাগাতে পারেন। এখন আবার খোঁপায় পরার মতো কৃত্রিম ফুল পাওয়া যায়। চাইলে সেগুলোও পরতে পারেন। এ ছাড়া চুল সামনে থেকে হালকা পাফ করে পেছনে টাইট খোঁপা বা এলোমেলো খোঁপাও দারুণ মানাবে বেনারসি শাড়ির সঙ্গে। কাতান বা গাদোয়ালের সঙ্গেও একই রকম চুলের সাজ মানিয়ে যায়। তবে কাঞ্চিপুরম শাড়ির সঙ্গে দক্ষিণ ভারতের হেয়ারস্টাইল, যেমন পুলা জাদা, লেয়ারড বান স্টাইল, ফিশটেইল ব্রেইড উইথ অ্যা টুইস্ট, ফুল এবং চুলের গয়না দিয়ে কনসেন্ট্রিক বান, স্পাইরাল বান উইথ ফ্লাওয়ারসও ভালো লাগবে।
সুতি, জামদানি, তাঁত, খাদি, কোটা শাড়ির সঙ্গে
এই শাড়িগুলোর সুতা প্রায় একই। তাই এগুলোর সঙ্গে চুলের সাজটাও কম-বেশি একই ধাঁচের হলে ভালো মানিয়ে যাবে। এলোমেলো খোঁপা, সামনের চুল কিছুটা পাফ করে দুই পাশে চাপিয়ে চুল বেঁধে খোঁপা, সাইড খোঁপা, মাঝে সিঁথি করে সামনের কিছু চুল নিয়ে বেণি করে পেছনে নিচু করে বাঁধা খোঁপা। আর এই খোঁপাগুলোর সঙ্গে গজরা বা বেলি ফুল—সুতি, খাদি বা কোটা শাড়িতে স্নিগ্ধ সুন্দর একটা লুক আনতে আর কী চাই! এ ছাড়া এই শাড়িগুলোর সঙ্গে সাধারণ বেণি, ফ্রেঞ্চ বেণি এবং খোলা চুলও বেশ মানাবে।
নেট, জর্জেট, সিল্ক ও শিফন শাড়ির সঙ্গে
এই শাড়িগুলোর সঙ্গে চুলের লুজ কার্ল, ব্যারেল কার্ল, বিচ ওয়েভস, হাফ আপ কার্ল, ভিনটেজ কার্ল করলে খুব ভালো মানাবে। এই শাড়িগুলো সাধারণত গায়ের সঙ্গে একটু সেঁটে থাকে। তাই এই পাফড হেয়ারস্টাইলগুলো করলে সামগ্রিকভাবে একটা সুন্দর লুক আসে। এ ছাড়া যদি এই শাড়িগুলোর সঙ্গে স্মোকি আই মেকআপ করে রাতের অনুষ্ঠানের জন্য অভিজাত লুক আনতে চান, তাহলে চুলে জেল দিয়ে চাপিয়ে স্লিক লো পনিটেইল, স্ট্রেইট হাই পনিটেইল, পাফি পনিটেইলও করতে পারেন।
অরগাঞ্জা, মসলিন, তসর, চান্দেরি শাড়ির সঙ্গে
এই শাড়িগুলো এমনিতেই একটু ফুলে থাকে। তাই এগুলোর সঙ্গে হেয়ারস্টাইল এমন হওয়া চাই যেন সামগ্রিক লুকে একটা টিপটপ, পরিপাটি ব্যাপার থাকে। ব্রেইডেড লো বান, সাউথ ইন্ডিয়ান স্টাইল বান উইথ গাজরা, ফ্লোরাল রিংলেট বান, নটেড বান, রেট্রো বান কিংবা বুকে বান করে নিতে পারেন এই শাড়িগুলোর সঙ্গে। তবে এই হেয়ারস্টাইলের মধ্যে আজকাল বুকে বানটাই খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। নানান রঙের বা এক রঙের গোলাপ দিয়ে পুরো খোঁপা সাজানো হয় এই হেয়ারস্টাইলে।
চুল সাজানোর আগে ও পরে
আমাদের দেশে দূষণের ফলে বাতাসে ধুলার পরিমাণ বেশি থাকে। তাই চুল সাজানোর আগে এর পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিতে হবে।
হেমন্তের মিষ্টি হাওয়া বইতে শুরু করেছে। বছরের এই শেষভাগেই থাকে নানা উপলক্ষ—পানচিনি, বিয়ে, বউভাত, এটা-সেটা আরও কত-কী! দাওয়াত, বিয়ের অনুষ্ঠান কিংবা কোনো উৎসবের আয়োজনে বাঙালি নারীদের আজ পর্যন্ত প্রথম পছন্দ শাড়ি। সাজের পূর্ণতার জন্য মাথা থেকে পা পর্যন্ত সবকিছুই সুন্দর করে সাজিয়ে-গুছিয়ে টিপটপ পরিপাটি হওয়া চাই। এর মধ্যে চুলের সাজটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আগে শুধু খোলা চুল, খোঁপা, বেণি, আধো খোলা, আধো বাঁধা চুলের স্টাইলই শাড়ির সঙ্গে বেশি প্রচলিত ছিল। সময় বদলেছে। এখন যতই দিন যাচ্ছে, চুলের সাজে আসছে নিত্যনতুন স্টাইল। নানান রংঢঙের এসব চুলের সাজ কোন শাড়ির সঙ্গে, কোন অনুষ্ঠানে কীভাবে করলে মানানসই হবে, তা-ও জেনে রাখা চাই। নইলে সাজটা ঠিক মনের মতো হবে না।
বেনারসি, কাতান, কাঞ্চিপুরম, গাদোয়াল শাড়ির সঙ্গে
বেনারসি শাড়ি এমনিতেই অনেক অভিজাত। তাই এর সঙ্গে চুলের সাজটা হওয়া চাই টিপটপ ও সুরুচিপূর্ণ। মাঝে সিঁথি করে চাপিয়ে চুল বেঁধে একটু নিচু করে খোঁপাতে গজরা, বেলি ফুল লাগাতে পারেন। এখন আবার খোঁপায় পরার মতো কৃত্রিম ফুল পাওয়া যায়। চাইলে সেগুলোও পরতে পারেন। এ ছাড়া চুল সামনে থেকে হালকা পাফ করে পেছনে টাইট খোঁপা বা এলোমেলো খোঁপাও দারুণ মানাবে বেনারসি শাড়ির সঙ্গে। কাতান বা গাদোয়ালের সঙ্গেও একই রকম চুলের সাজ মানিয়ে যায়। তবে কাঞ্চিপুরম শাড়ির সঙ্গে দক্ষিণ ভারতের হেয়ারস্টাইল, যেমন পুলা জাদা, লেয়ারড বান স্টাইল, ফিশটেইল ব্রেইড উইথ অ্যা টুইস্ট, ফুল এবং চুলের গয়না দিয়ে কনসেন্ট্রিক বান, স্পাইরাল বান উইথ ফ্লাওয়ারসও ভালো লাগবে।
সুতি, জামদানি, তাঁত, খাদি, কোটা শাড়ির সঙ্গে
এই শাড়িগুলোর সুতা প্রায় একই। তাই এগুলোর সঙ্গে চুলের সাজটাও কম-বেশি একই ধাঁচের হলে ভালো মানিয়ে যাবে। এলোমেলো খোঁপা, সামনের চুল কিছুটা পাফ করে দুই পাশে চাপিয়ে চুল বেঁধে খোঁপা, সাইড খোঁপা, মাঝে সিঁথি করে সামনের কিছু চুল নিয়ে বেণি করে পেছনে নিচু করে বাঁধা খোঁপা। আর এই খোঁপাগুলোর সঙ্গে গজরা বা বেলি ফুল—সুতি, খাদি বা কোটা শাড়িতে স্নিগ্ধ সুন্দর একটা লুক আনতে আর কী চাই! এ ছাড়া এই শাড়িগুলোর সঙ্গে সাধারণ বেণি, ফ্রেঞ্চ বেণি এবং খোলা চুলও বেশ মানাবে।
নেট, জর্জেট, সিল্ক ও শিফন শাড়ির সঙ্গে
এই শাড়িগুলোর সঙ্গে চুলের লুজ কার্ল, ব্যারেল কার্ল, বিচ ওয়েভস, হাফ আপ কার্ল, ভিনটেজ কার্ল করলে খুব ভালো মানাবে। এই শাড়িগুলো সাধারণত গায়ের সঙ্গে একটু সেঁটে থাকে। তাই এই পাফড হেয়ারস্টাইলগুলো করলে সামগ্রিকভাবে একটা সুন্দর লুক আসে। এ ছাড়া যদি এই শাড়িগুলোর সঙ্গে স্মোকি আই মেকআপ করে রাতের অনুষ্ঠানের জন্য অভিজাত লুক আনতে চান, তাহলে চুলে জেল দিয়ে চাপিয়ে স্লিক লো পনিটেইল, স্ট্রেইট হাই পনিটেইল, পাফি পনিটেইলও করতে পারেন।
অরগাঞ্জা, মসলিন, তসর, চান্দেরি শাড়ির সঙ্গে
এই শাড়িগুলো এমনিতেই একটু ফুলে থাকে। তাই এগুলোর সঙ্গে হেয়ারস্টাইল এমন হওয়া চাই যেন সামগ্রিক লুকে একটা টিপটপ, পরিপাটি ব্যাপার থাকে। ব্রেইডেড লো বান, সাউথ ইন্ডিয়ান স্টাইল বান উইথ গাজরা, ফ্লোরাল রিংলেট বান, নটেড বান, রেট্রো বান কিংবা বুকে বান করে নিতে পারেন এই শাড়িগুলোর সঙ্গে। তবে এই হেয়ারস্টাইলের মধ্যে আজকাল বুকে বানটাই খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। নানান রঙের বা এক রঙের গোলাপ দিয়ে পুরো খোঁপা সাজানো হয় এই হেয়ারস্টাইলে।
চুল সাজানোর আগে ও পরে
আমাদের দেশে দূষণের ফলে বাতাসে ধুলার পরিমাণ বেশি থাকে। তাই চুল সাজানোর আগে এর পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিতে হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে