সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রসাল লিচু বাজারে আসতে শুরু করেছে। বাজারে আগাম আসে বলে অন্য অঞ্চলের লিচুর তুলনায় এখানকার লিচুর কদর অনেক বেশি। তবে দাম বেশ চড়া। এ বছর খরা ও ঝড়-বৃষ্টি তেমন না থাকায় লিচুর ফলন ভালো হয়েছে। তা ছাড়া করোনার প্রাদুর্ভাব না থাকায় বাগানমালিক ও ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
কয়েকটি লিচুবাগান ঘুরে দেখা যায়, বাগানের প্রতিটি গাছে থোকায় থোকায় লিচু ঝুলছে। ঝাঁকড়া গাছের ডালে ডালে ঝুলন্ত লাল রঙের ছোট এই ফলের গুচ্ছ দেখতে বেশ মনোরম। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন বাগান। বাদুড় ও কাকের উপদ্রব থেকে বাঁচাতে তাঁরা গাছের চূড়ায় ইলেকট্রিক বাতি, পলিথিন কাগজ, বাস ও টিনের তৈরি বিভিন্ন ধরনের বাজনা (ঠাঠা) লাগিয়ে বাগান পাহারা দিয়ে আসছেন।
সোনারগাঁ উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, সোনারগাঁ পৌরসভা, বৈদ্যেরবাজার, মোগরাপাড়া, বারদী, সনমান্দি ও সাদিপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে লিচুবাগান রয়েছে। তবে পৌরসভার সরদার বাড়ি, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন, দুলালপুর, বাড়ি মজলিশ, দীঘিরপাড়, পানাম, অর্জুন্দি, বাগমুছা, দত্তপাড়া, গোবিন্দপুর, হাতকোপা, দরপত, ছাপেরবন্ধ, গোয়ালদী, টিপরদী, হরিষপুর, ইছাপাড়া, চিলারবাগ, কৃষ্ণপুরা, হাঁড়িয়া, পানাম গাবতলী, ষোলপাড়া ও ভট্টপুর এলাকায় উৎকৃষ্ট মানের লিচুর চাষ হয়।
লিচুচাষিরা জানান, সোনারগাঁয়ে বর্তমানে কদমী, মোজাফফরপুরী, চায়না-৩, এলাচি ও পাতি এই পাঁচ ধরনের লিচুর চাষ হয়ে থাকে। তবে কদমী লিচু চাষের প্রতি চাষিরা মনোযোগী বেশি। প্রতিবছর একেকটি বাগান ৩-৪ লাখ টাকায় বিক্রি হয়। তাই কোথাও একটু খালি জায়গা পেলেই চাষিরা সেখানে কদমী লিচুর গাছ লাগান বা বাগান তৈরি করেন। আগে সাধারণত শখের বসে বাড়ির আশপাশে লিচুগাছ লাগানো হতো। এখন তা বাণিজ্যিকভাবে নিচু জমি ভরাট করে লিচুবাগান তৈরি করা হচ্ছে। বাড়ির আঙিনায় ও কৃষিজমির পাশেও লিচুর চাষ করছেন অনেকেই। লিচুর মধ্যে সবার আগে বাদামি (পাতি) লিচু পাকে। এরপর পর্যায়ক্রমে অন্যান্য লিচু পাকতে শুরু করে। স্বাদে ও রসে পাতি লিচুর কদর রয়েছে বেশ। সোনারগাঁয়ে ছোট-বড় মিলিয়ে তিন শতাধিক লিচুবাগান রয়েছে। এসব বাগানের বেশির ভাগেই কদমী লিচুর চাষ হয়।
লিচুবাগান মালিক সাইফুল আলম জানান, সোনারগাঁয়ে বিভিন্ন প্রজাতির লিচুর চাষ হলেও কদমী লিচুর চাষে অধিক মুনাফা পাওয়া যায়।
সোনারগাঁ পৌরসভার পানাম এলাকার লিচুবাগান মালিক কামাল হোসেন বলেন, ‘আমার ৩০ শতাংশ জমিতে ২৭টি লিচুর গাছ। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর ভালো ফলন হয়েছে।’
স্থানীয় লোকজন জানান, অন্যান্য এলাকার লিচুর চেয়ে সোনারগাঁয়ের লিচু আকারে বড় ও সুস্বাদু হওয়ায় চাহিদা বেশি।
লিচু ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে বাজারে পুরোপুরিভাবে পাতি লিচু নেমেছে। রাজধানী ঢাকা ছাড়াও বিভিন্ন জেলায় এখানকার লিচু নিয়ে যাচ্ছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। এখন প্রতি হাজার পাতি লিচু বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায় আর কদমী লিচু বিক্রি হচ্ছে প্রতি হাজার সাড়ে ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকায়।
সোনারগাঁ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরা আক্তার জানান, এ বছর সোনারগাঁয়ের লিচুর ফলন বেশ ভালো হয়েছে। আশা করা যায় লিচুর বাগানমালিক ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা এবার বেশ লাভবান হবেন।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রসাল লিচু বাজারে আসতে শুরু করেছে। বাজারে আগাম আসে বলে অন্য অঞ্চলের লিচুর তুলনায় এখানকার লিচুর কদর অনেক বেশি। তবে দাম বেশ চড়া। এ বছর খরা ও ঝড়-বৃষ্টি তেমন না থাকায় লিচুর ফলন ভালো হয়েছে। তা ছাড়া করোনার প্রাদুর্ভাব না থাকায় বাগানমালিক ও ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
কয়েকটি লিচুবাগান ঘুরে দেখা যায়, বাগানের প্রতিটি গাছে থোকায় থোকায় লিচু ঝুলছে। ঝাঁকড়া গাছের ডালে ডালে ঝুলন্ত লাল রঙের ছোট এই ফলের গুচ্ছ দেখতে বেশ মনোরম। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন বাগান। বাদুড় ও কাকের উপদ্রব থেকে বাঁচাতে তাঁরা গাছের চূড়ায় ইলেকট্রিক বাতি, পলিথিন কাগজ, বাস ও টিনের তৈরি বিভিন্ন ধরনের বাজনা (ঠাঠা) লাগিয়ে বাগান পাহারা দিয়ে আসছেন।
সোনারগাঁ উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, সোনারগাঁ পৌরসভা, বৈদ্যেরবাজার, মোগরাপাড়া, বারদী, সনমান্দি ও সাদিপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে লিচুবাগান রয়েছে। তবে পৌরসভার সরদার বাড়ি, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন, দুলালপুর, বাড়ি মজলিশ, দীঘিরপাড়, পানাম, অর্জুন্দি, বাগমুছা, দত্তপাড়া, গোবিন্দপুর, হাতকোপা, দরপত, ছাপেরবন্ধ, গোয়ালদী, টিপরদী, হরিষপুর, ইছাপাড়া, চিলারবাগ, কৃষ্ণপুরা, হাঁড়িয়া, পানাম গাবতলী, ষোলপাড়া ও ভট্টপুর এলাকায় উৎকৃষ্ট মানের লিচুর চাষ হয়।
লিচুচাষিরা জানান, সোনারগাঁয়ে বর্তমানে কদমী, মোজাফফরপুরী, চায়না-৩, এলাচি ও পাতি এই পাঁচ ধরনের লিচুর চাষ হয়ে থাকে। তবে কদমী লিচু চাষের প্রতি চাষিরা মনোযোগী বেশি। প্রতিবছর একেকটি বাগান ৩-৪ লাখ টাকায় বিক্রি হয়। তাই কোথাও একটু খালি জায়গা পেলেই চাষিরা সেখানে কদমী লিচুর গাছ লাগান বা বাগান তৈরি করেন। আগে সাধারণত শখের বসে বাড়ির আশপাশে লিচুগাছ লাগানো হতো। এখন তা বাণিজ্যিকভাবে নিচু জমি ভরাট করে লিচুবাগান তৈরি করা হচ্ছে। বাড়ির আঙিনায় ও কৃষিজমির পাশেও লিচুর চাষ করছেন অনেকেই। লিচুর মধ্যে সবার আগে বাদামি (পাতি) লিচু পাকে। এরপর পর্যায়ক্রমে অন্যান্য লিচু পাকতে শুরু করে। স্বাদে ও রসে পাতি লিচুর কদর রয়েছে বেশ। সোনারগাঁয়ে ছোট-বড় মিলিয়ে তিন শতাধিক লিচুবাগান রয়েছে। এসব বাগানের বেশির ভাগেই কদমী লিচুর চাষ হয়।
লিচুবাগান মালিক সাইফুল আলম জানান, সোনারগাঁয়ে বিভিন্ন প্রজাতির লিচুর চাষ হলেও কদমী লিচুর চাষে অধিক মুনাফা পাওয়া যায়।
সোনারগাঁ পৌরসভার পানাম এলাকার লিচুবাগান মালিক কামাল হোসেন বলেন, ‘আমার ৩০ শতাংশ জমিতে ২৭টি লিচুর গাছ। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর ভালো ফলন হয়েছে।’
স্থানীয় লোকজন জানান, অন্যান্য এলাকার লিচুর চেয়ে সোনারগাঁয়ের লিচু আকারে বড় ও সুস্বাদু হওয়ায় চাহিদা বেশি।
লিচু ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে বাজারে পুরোপুরিভাবে পাতি লিচু নেমেছে। রাজধানী ঢাকা ছাড়াও বিভিন্ন জেলায় এখানকার লিচু নিয়ে যাচ্ছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। এখন প্রতি হাজার পাতি লিচু বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায় আর কদমী লিচু বিক্রি হচ্ছে প্রতি হাজার সাড়ে ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকায়।
সোনারগাঁ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরা আক্তার জানান, এ বছর সোনারগাঁয়ের লিচুর ফলন বেশ ভালো হয়েছে। আশা করা যায় লিচুর বাগানমালিক ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা এবার বেশ লাভবান হবেন।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে