আ.লীগ প্রার্থীদের ভরাডুবি ‘ভুল’ মনোনয়ন, কোন্দলে

নীলফামারী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ ডিসেম্বর ২০২১, ০৪: ২৬
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬: ০২

চতুর্থ ধাপে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে। গত রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা মাত্র দুটি ইউপিতে জয় পেয়েছেন। বাকিগুলোর মধ্যে দুটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও তিনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। অথচ ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে ডিমলা উপজেলার সাতটি ইউপির মধ্যে পাঁচটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছিলেন।

আওয়ামী লীগে নেতাদের একটি অংশ মনে করেন, তৃণমূল নেতা কর্মীদের সমর্থিত প্রার্থীকে মনোনয়ন না দেওয়ার কারণে ভরাডুবি হয়েছে।

এ ছাড়া নির্বাচনে অবৈধ টাকার ছড়াছড়ি আর দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের কারণেই নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বর্তমান চেয়ারম্যানদেরই নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। একাধিকবার চেয়ারম্যান পদে থাকায় অনেকের বিরুদ্ধে আছে নানা অভিযোগ। তৃণমূলের নেতা কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের ছিল না কোনো সম্পর্ক।

পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী আব্দুস সাত্তার বুলু পরাজয়ের কারণ হিসেবে দলীয় কোন্দলকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা কর্মীরা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে কাজ করেছেন। অনেকে নৌকার নির্বাচনী মঞ্চে বক্তব্য দিলেও গোপনে তাঁরা বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন।

ডিমলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক সরকার মিন্টু বলেন, গতবার যাঁরা চেয়ারম্যান ছিলেন, তাদেরই আবার মনোনয়ন দেওয়ায় দলের মধ্যে বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা বেড়ে যায়।

অপরদিকে সৈয়দপুরে ভরাডুবির দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন উপজেলার খাতামধুপুর ইউপির আওয়ামী লীগ প্রার্থী হাসিনা বেগম। তিনি মাত্র ৯৩ ভোট পেয়েছেন।

ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের কর্মী নজু মিয়া জানান, নৌকা প্রতীকের নারী প্রার্থী হিসেবে এমন কম ভোট কেউ বাংলাদেশের কোথাও পেয়েছেন কিনা জানা নেই।

তিনি বলেন, আমরা তৃণমূল থেকে প্রার্থী প্রস্তাব করেছিলাম সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মোখলেছুর রহমান সরকারের ছেলে এবং ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাসুদ রানা পাইলটকে।

ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাদের অভিযোগ, ‘তৃণমূলের মতামতকে উপেক্ষা করে একজন অযোগ্য প্রার্থীকে নৌকা দেওয়ায় এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।

পরাজিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হাসিনা বেগম বলেন, ‘দলীয় নেতা কর্মীরা দিনে লোক দেখানো কাজ করে আমার পক্ষে। আর রাতে তাঁরা বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে।

সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোখছেদুল মোমিন বলেন, খাতামধুপুরে রাজনৈতিক টানাপোড়েন আছে। আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মাসুদ রানা পাইলটকে মনোনয়ন দেওয়ার সুপারিশ করেছিলাম।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত