Ajker Patrika

নির্বাচন থেকে সরিয়ে দিতেই হত্যার চেষ্টা

ঈশ্বরগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩: ৩১
নির্বাচন থেকে সরিয়ে দিতেই হত্যার চেষ্টা

ঈশ্বরগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপ্রত্যাশী আহাম্মদ উল্লাহ সিদ্দিকী সোহেলকে (৪৫) নির্বাচন থেকে সরিয়ে দিতেই হামলা করা হয়েছিল বলে জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেপ্তার সোহেল মিয়া। তাঁকে হত্যা করতেই গ্রেপ্তার সোহেলকে ভাড়া করা হয়। বর্তমান চেয়ারম্যান জুবের আলম রুপকের ভাই দিপক গ্রেপ্তার সোহেলকে ভাড়া করেন।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর উপজেলার আঠারবাড়ি ইউনিয়নের উত্তরবনগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহাম্মদ উল্লাহ সিদ্দিকী সোহেল প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমানের ছেলে। মতিউর রহমান আঠারবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। হামলার ঘটনায় সোহেলের বড় ভাই আশরাফ সিদ্দিকী জুয়েল অজ্ঞাত ১৫-২০ জনকে আসামি করে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় মামলা করেন। বর্তমানে মামলা তদন্ত করছে জেলা ডিবি পুলিশ।

জেলা ডিবি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, একজন জনপ্রতিনিধিসহ কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে ডিবি। এঁদের মধ্যে ছয়জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের মধ্যে উপজেলার সরাতি গ্রামের সোহেল মিয়া (৩৫) গত ১৪ ও ১৮ নভেম্বর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দি সূত্রে জানা গেছে, আহাম্মদ উল্লাহর বাড়ির পেছনে দা হাতে অপেক্ষা করছিলেন সোহেল মিয়া। তাঁকে দা সরবরাহ করেন আঠারবাড়ি ইউপি সদস্য হাদিস মিয়া। আহাম্মদ উল্লাহ সিদ্দিকীর ওপর হামলা চালানোর জন্য তাঁকে ভাড়া করেন বর্তমান আঠারবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান জুবের আলম রুপকের ভাই নুরে আলম কবীর দিপক। এ ছাড়াও হামলার ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে।

আহাম্মদ উল্লাহ সিদ্দিকী সোহেল বলেন, ‘হামলাকারীদের আমি চিনতে পারিনি। হামলার সময় তাঁরা মুখোশপরা ছিলেন। তবে আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে জানতে পারলাম, বর্তমান চেয়ারম্যানের ভাই দীপক জড়িত।’

আঠারবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান জুবের আলম রুপক বলেন, ‘আমাকে হেয় করার জন্য আমার ভাইকে জড়িয়ে মিথ্যা ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমি সুষ্ঠু তদন্ত চাই। প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করা হোক।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত