Ajker Patrika

প্রবাসের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সফল তাঁরা

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
প্রবাসের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সফল তাঁরা

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার বেশ কয়েক যুবক প্রবাস থেকে ফিরে সেখানকার কাজের অভিজ্ঞতার আলোকে কেউ কারখানা গড়েছেন, আবার কেউ করেছেন খেজুরবাগান। সফলও হয়েছেন তাঁরা। হয়েছে এলাকার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান।

উপজেলার বিলকৃষ্ণপুর ধোপাপাড়া গ্রামের আব্দুল মজিদ ২০০০ সালে গিয়েছিলেন সৌদি আরবে। ফিরেছেন ২০২০ সালে। তিনি জানান, দীর্ঘ ২০ বছর সৌদি আরবে একটি অফিসে ক্লিনার ছিলেন। তাঁর অফিসের আওতায় একটি খেজুরবাগান ছিল। সময় পেলেই বাগানে শ্রমিকদের সঙ্গে গাছের পরিচর্যাসহ বিভিন্ন কাজ করতেন। দেশে ফিরে খেজুরের বাগান করবেন বলেই মনস্থির করেন। দেশে ফেরার সময় নিয়ে আসেন ১১০টি আজওয়া ও মরিয়ম খেজুরের বীজ। বীজ থেকে ৭৯টি চারা গজায়। ৩০ শতাংশ জমিতে চারাগুলো রোপণ করেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় গত মৌসুমে গাছে খেজুর ধরে।

আব্দুল মজিদ বলেন, বিদেশে প্রতি মাসে আয় হতো ৭০-৮০ হাজার টাকা। আর বাগানে এ পর্যন্ত লক্ষাধিক টাকা খরচ হলেও প্রায় ৪০ হাজার টাকার চারা বিক্রি হয়েছে। গাছের বয়স সাত বছর হলে বাগান থেকেই বছরে প্রায় অর্ধকোটি টাকা আয় হবে।

উপজেলার ভেটি গ্রামের বেলাল উদ্দীনের ছেলে গোলাম রাব্বানী (৪২) ২০০৪ সালে মালয়েশিয়ায় গিয়েছিলেন। সেখানে প্রথমে একটি কোম্পানিতে কাজ করলেও পরে প্রায় ১৩ বছর কাজ করেন আসবাব তৈরির কারখানায়। সেখানে শেখেন ডিজিটাল মেশিনে কাঠে নকশিকাটার কাজ।

রাব্বানী বলেন, দেড় বছর আগে বাড়িতে এসে আবাদপুকুর বাজারে ছয়টি কক্ষ ভাড়া নিয়ে মেসার্স শারমিন ফার্নিচার অ্যান্ড ডোর নামের কারখানা খোলেন। বর্তমানে একজন ডিজাইনারসহ সাতজন কর্মচারী কাজ করছেন। জায়গার অভাবে কারখানা পুরোপুরি চালু করতে পারেননি। তারপরও প্রতি মাসে ৩০-৪০ হাজার টাকা আয় হচ্ছে।

রাব্বানীর মতে, দেশের লাখ লাখ শ্রমিক বিভিন্ন দেশে গিয়ে নানা কাজে যুক্ত হয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করছেন। দেশে ফিরে বসে না থেকে সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ভালো কিছু করা সম্ভব।

উপজেলার উজালপুর গ্রামের সাহেব আলী মালয়েশিয়ায় দড়ি তৈরির কারখানায় ১০ বছর কাজ করেছেন। তিনিও দেশে ফিরে আবাদপুকুর বাজারে দড়ি তৈরির কারখানা চালু করেছেন। প্রথমদিকে প্রায় ২০-২৫ জন শ্রমিক ছিলেন। কিন্তু অর্থনৈতিক সংকট এবং নানা প্রতিকূলতায় ৬ মাস আগে কারখানা বন্ধ করে ফের মালয়েশিয়ায় যান তিনি। সাহেব আলীর স্ত্রী তহমিনা বিবি বলেন, অর্থনৈতিক দৈন্য কেটে গেলে দেশে ফিরে আবারও কারখানা চালু করবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত