ফারুক মেহেদী, ঢাকা
দেশে আমদানি করা হয় এমন বেশ কিছু অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দাম কমছে বিশ্ববাজারে। জ্বালানি তেল, ভোজ্যতেল, গ্যাস, সার, তুলা, গমসহ এসব পণ্যের কোনো কোনোটির দাম গত এক সপ্তাহে ১০ শতাংশের বেশি কমেছে। মাসের হিসাবে কমার হার আরও বেশি। ডলার-সংকটের বর্তমান সময়ে এসব জরুরি পণ্যের দাম কমা দেশের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা। তবে দেশে দাম সমন্বয় না করায় ভোক্তারা এর সুফল পাচ্ছেন না। বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর বিষয়ে কোনো সুখবর দিতে পারছে না বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)।
বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম কমলেও দেশে সমন্বয় না করার বিষয়ে পোশাকমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর ভাইস প্রেসিডেন্ট শহীদ উল্লাহ আজিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখন শীত মৌসুম হওয়ায় বিদ্যুৎ-জ্বালানির চাহিদা কম। তাই সমস্যা কিছুটা কম। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল-গ্যাসসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম কমছে বলে আমরা শুনছি; কিন্তু তা এখানে সমন্বয় হচ্ছে না। সরকারের দিক থেকেও কোনো আভাস পাচ্ছি না। বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় না করা হলে সামনে গ্রীষ্ম মৌসুমে পরিস্থিতি কী হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। আমরা শঙ্কিত।’
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল, গ্যাসসহ অত্যাবশ্যকীয় প্রায় সব পণ্যের দামে অস্থিরতা দেখা দেয়। ফলে দেশে দেশে মূল্যস্ফীতি বাড়তে থাকে। টান পড়ে ডলারের মজুতে। কোনো কোনো দেশ দেউলিয়া হওয়ার মুখে পড়ে। আঁচ লাগে দেশেও। বাংলাদেশ চাহিদা সামাল দিতে হিমশিম খায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে চাপ পড়ে। আমদানি পণ্যের দায় শোধ করতে গিয়ে রিজার্ভ নেমে আসে ৩৪ বিলিয়ন (৩,৪০০ কোটি) ডলারে। দেশে জ্বালানি তেলের দাম এক লাফে প্রায় দ্বিগুণ করা হয়। এর প্রভাবে নিত্যপণ্যের দামও বাড়ে। এতে নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত স্তরের মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ে।
এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ববাজারে অত্যাবশ্যকীয় প্রায় সব পণ্যের দামই কমতির দিকে। পণ্যের দাম ও বাজার পরিস্থিতি নিয়ে গবেষণা করে এবং পূর্বাভাস দেয় এমন কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের তথ্য পর্যালেচনা করে জানা যায়, দেশে দেশে মন্দার আভাস থাকায় পণ্যগুলোর দাম এখন কমতির দিকে। গবেষণা সংস্থা ট্রেডিং ইকনোমিকস গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, অপরিশোধিত তেলের দাম কয়েক মাস ধরেই কমতির দিকে। প্রায় ১০০ ডলারে পৌঁছে যাওয়া প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেল গতকাল বিক্রি হয়েছে ৭৪ দশমিক ১৭ ডলারে। এক সপ্তাহে এর দাম কমেছে ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এক বছর আগের চেয়েও বর্তমান দাম প্রায় ৬ ডলার কম। ব্রেন্ট অয়েলের দামও এক সপ্তাহে কমেছে ৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
আর এক বছর আগের চেয়ে কম ২ দশমিক ১৮ শতাংশ। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার অজুহাত দেখিয়ে সরকার দেশে বাড়িয়ে দাম প্রায় দ্বিগুণ করে। গত কয়েক মাসে দাম কমতে কমতে প্রায় আগের অবস্থায় ফিরে গেলেও দেশের বাজারে সমন্বয়ের কোনো আভাসই নেই। বরং এ নিয়ে এখনও কোনো পদক্ষেপই নেই বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান।
বিপিসির চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিশ্ববাজারের দাম যে রকমই থাকুক না কেন, সরকার আমদানি স্বাভাবিক রেখে চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করছে। তবে এখন দাম কমছে, সেটা আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। একেকটি চালান দেশে আসতেও কয়েক মাস লাগে। তাই দাম যদি আরও কমে এবং তা স্থায়ী হয়, তাহলে তা পর্যালোচনা করে সরকার হয়তো দাম কমানো বা সমন্বয় করার বিষয়টি চিন্তা করবে। এখনই এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেই।’
বিশ্ববাজারে গ্যাসের দামও কমছে। গতকাল প্রায় ৬ শতাংশ কমেছে। এক সপ্তাহে ১৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ আর এক মাসে কমেছে ২৬ দশমিক ৯১ শতাংশ। এক বছর আগের চেয়ে দাম ২ দশমিক ৭৫ ডলার বেশি থাকলেও তা আরও কমার পূর্বাভাস আছে। যুদ্ধের কারণে গ্যাসের দাম কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছিল বিশ্ববাজারে। সেটি এখন কমে আসা স্বস্তিদায়ক বলে মনে করছেন বিশ্লষকরা। তবে ডলার-সংকটের কারণে সরকার তরল গ্যাস বা এলএনজি আমদানি বন্ধ করে রেখেছে।
বাংলাদেশ ভোজ্যতেলেও আমদানিনির্ভর। বিদায়ী বছরের অনেকটা সময় মানুষকে দারুণ ভুগিয়েছে পণ্যটির দাম। পরে দাম কমতে থাকলেও দেশে আর তেমন কমেনি। সম্প্রতি বিশ্ববাজারে পাম অয়েল আর সয়াবিনের দাম অনেক কমেছে। গত এক বছরে পাম অয়েলের দাম কমেছে ১৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ। গতকালও ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ কমেছে। সয়াবিনের দাম গত এক সপ্তাহে কমেছে ২ দশমিক ১৭ শতাংশ। গতকাল কমেছে শূন্য দশমিক ১ শতাংশ। বাড়তি দামের কারণে ব্যবসায়ীদের চাপে সরকার গত জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাসে প্রায় ৪,১০০ কোটি টাকার রাজস্ব ছাড় দিয়েছে। কিন্তু এর সুফল ভোক্তারা পাননি।
গমের দামও বেড়েছিল অনেক। তবে এখন এক বছর আগের অবস্থানে প্রায়। গতকালও দাম কমেছে ৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ। এর সুফল পাচ্ছে কেবল সরকার ও আমদানিকারকরা।
বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানিকারক হলেও এর কাঁচামাল তুলা আমদানির ওপর নির্ভরশীল। তুলার দামও বিশ্ববাজারে বেড়েছিল। এখন দাম এক বছর আগের চেয়েও প্রায় ২৮ দশমিক ১২ শতাংশ কম।
বিশ্ববাজারে সারের দামও কমতির দিকে। জানা যায়, গত এক বছরে ইউরিয়া সারের দাম কমেছে প্রায় ৪২ শতাংশ। গতকালই কমেছে ৪ শতাংশ। এক সপ্তাহে ৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ আর এক মাসে কমেছে ১৩ দশমিক ৯০ শতাংশ।
এ ব্যাপারে অর্থনীতিবিদ ও পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকার এখনও বলছে, ডিজেলে ভর্তুকি দিচ্ছে। এ জন্যই সরকার দাম কমাচ্ছে না। যেহেতু ডিজেলের দাম কমছে না, ফলে অন্য নিত্যপণ্যের দামও কমছে না। তাছাড়া ডলার-সংকটের কারণে অন্য পণ্যও ঠিকমতো আমদানি করা যাচ্ছে না। ফলে বিশ্বে দাম কমলেও আমদানি কম হওয়ায় সরবরাহ কম। তাই দাম কমছে না। এতে সামনে আমদানি আরও সহজ করতে হবে। এ জন্য ডলারের সরবরাহও বাড়াতে হবে। এই কৌশল কীভাবে নেওয়া যায় সেদিকে নজর দিতে হবে সরকারকে।’
দেশে আমদানি করা হয় এমন বেশ কিছু অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দাম কমছে বিশ্ববাজারে। জ্বালানি তেল, ভোজ্যতেল, গ্যাস, সার, তুলা, গমসহ এসব পণ্যের কোনো কোনোটির দাম গত এক সপ্তাহে ১০ শতাংশের বেশি কমেছে। মাসের হিসাবে কমার হার আরও বেশি। ডলার-সংকটের বর্তমান সময়ে এসব জরুরি পণ্যের দাম কমা দেশের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা। তবে দেশে দাম সমন্বয় না করায় ভোক্তারা এর সুফল পাচ্ছেন না। বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর বিষয়ে কোনো সুখবর দিতে পারছে না বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)।
বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম কমলেও দেশে সমন্বয় না করার বিষয়ে পোশাকমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর ভাইস প্রেসিডেন্ট শহীদ উল্লাহ আজিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখন শীত মৌসুম হওয়ায় বিদ্যুৎ-জ্বালানির চাহিদা কম। তাই সমস্যা কিছুটা কম। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল-গ্যাসসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম কমছে বলে আমরা শুনছি; কিন্তু তা এখানে সমন্বয় হচ্ছে না। সরকারের দিক থেকেও কোনো আভাস পাচ্ছি না। বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় না করা হলে সামনে গ্রীষ্ম মৌসুমে পরিস্থিতি কী হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। আমরা শঙ্কিত।’
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল, গ্যাসসহ অত্যাবশ্যকীয় প্রায় সব পণ্যের দামে অস্থিরতা দেখা দেয়। ফলে দেশে দেশে মূল্যস্ফীতি বাড়তে থাকে। টান পড়ে ডলারের মজুতে। কোনো কোনো দেশ দেউলিয়া হওয়ার মুখে পড়ে। আঁচ লাগে দেশেও। বাংলাদেশ চাহিদা সামাল দিতে হিমশিম খায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে চাপ পড়ে। আমদানি পণ্যের দায় শোধ করতে গিয়ে রিজার্ভ নেমে আসে ৩৪ বিলিয়ন (৩,৪০০ কোটি) ডলারে। দেশে জ্বালানি তেলের দাম এক লাফে প্রায় দ্বিগুণ করা হয়। এর প্রভাবে নিত্যপণ্যের দামও বাড়ে। এতে নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত স্তরের মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ে।
এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ববাজারে অত্যাবশ্যকীয় প্রায় সব পণ্যের দামই কমতির দিকে। পণ্যের দাম ও বাজার পরিস্থিতি নিয়ে গবেষণা করে এবং পূর্বাভাস দেয় এমন কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের তথ্য পর্যালেচনা করে জানা যায়, দেশে দেশে মন্দার আভাস থাকায় পণ্যগুলোর দাম এখন কমতির দিকে। গবেষণা সংস্থা ট্রেডিং ইকনোমিকস গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, অপরিশোধিত তেলের দাম কয়েক মাস ধরেই কমতির দিকে। প্রায় ১০০ ডলারে পৌঁছে যাওয়া প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেল গতকাল বিক্রি হয়েছে ৭৪ দশমিক ১৭ ডলারে। এক সপ্তাহে এর দাম কমেছে ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এক বছর আগের চেয়েও বর্তমান দাম প্রায় ৬ ডলার কম। ব্রেন্ট অয়েলের দামও এক সপ্তাহে কমেছে ৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
আর এক বছর আগের চেয়ে কম ২ দশমিক ১৮ শতাংশ। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার অজুহাত দেখিয়ে সরকার দেশে বাড়িয়ে দাম প্রায় দ্বিগুণ করে। গত কয়েক মাসে দাম কমতে কমতে প্রায় আগের অবস্থায় ফিরে গেলেও দেশের বাজারে সমন্বয়ের কোনো আভাসই নেই। বরং এ নিয়ে এখনও কোনো পদক্ষেপই নেই বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান।
বিপিসির চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিশ্ববাজারের দাম যে রকমই থাকুক না কেন, সরকার আমদানি স্বাভাবিক রেখে চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করছে। তবে এখন দাম কমছে, সেটা আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। একেকটি চালান দেশে আসতেও কয়েক মাস লাগে। তাই দাম যদি আরও কমে এবং তা স্থায়ী হয়, তাহলে তা পর্যালোচনা করে সরকার হয়তো দাম কমানো বা সমন্বয় করার বিষয়টি চিন্তা করবে। এখনই এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেই।’
বিশ্ববাজারে গ্যাসের দামও কমছে। গতকাল প্রায় ৬ শতাংশ কমেছে। এক সপ্তাহে ১৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ আর এক মাসে কমেছে ২৬ দশমিক ৯১ শতাংশ। এক বছর আগের চেয়ে দাম ২ দশমিক ৭৫ ডলার বেশি থাকলেও তা আরও কমার পূর্বাভাস আছে। যুদ্ধের কারণে গ্যাসের দাম কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছিল বিশ্ববাজারে। সেটি এখন কমে আসা স্বস্তিদায়ক বলে মনে করছেন বিশ্লষকরা। তবে ডলার-সংকটের কারণে সরকার তরল গ্যাস বা এলএনজি আমদানি বন্ধ করে রেখেছে।
বাংলাদেশ ভোজ্যতেলেও আমদানিনির্ভর। বিদায়ী বছরের অনেকটা সময় মানুষকে দারুণ ভুগিয়েছে পণ্যটির দাম। পরে দাম কমতে থাকলেও দেশে আর তেমন কমেনি। সম্প্রতি বিশ্ববাজারে পাম অয়েল আর সয়াবিনের দাম অনেক কমেছে। গত এক বছরে পাম অয়েলের দাম কমেছে ১৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ। গতকালও ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ কমেছে। সয়াবিনের দাম গত এক সপ্তাহে কমেছে ২ দশমিক ১৭ শতাংশ। গতকাল কমেছে শূন্য দশমিক ১ শতাংশ। বাড়তি দামের কারণে ব্যবসায়ীদের চাপে সরকার গত জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাসে প্রায় ৪,১০০ কোটি টাকার রাজস্ব ছাড় দিয়েছে। কিন্তু এর সুফল ভোক্তারা পাননি।
গমের দামও বেড়েছিল অনেক। তবে এখন এক বছর আগের অবস্থানে প্রায়। গতকালও দাম কমেছে ৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ। এর সুফল পাচ্ছে কেবল সরকার ও আমদানিকারকরা।
বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানিকারক হলেও এর কাঁচামাল তুলা আমদানির ওপর নির্ভরশীল। তুলার দামও বিশ্ববাজারে বেড়েছিল। এখন দাম এক বছর আগের চেয়েও প্রায় ২৮ দশমিক ১২ শতাংশ কম।
বিশ্ববাজারে সারের দামও কমতির দিকে। জানা যায়, গত এক বছরে ইউরিয়া সারের দাম কমেছে প্রায় ৪২ শতাংশ। গতকালই কমেছে ৪ শতাংশ। এক সপ্তাহে ৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ আর এক মাসে কমেছে ১৩ দশমিক ৯০ শতাংশ।
এ ব্যাপারে অর্থনীতিবিদ ও পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকার এখনও বলছে, ডিজেলে ভর্তুকি দিচ্ছে। এ জন্যই সরকার দাম কমাচ্ছে না। যেহেতু ডিজেলের দাম কমছে না, ফলে অন্য নিত্যপণ্যের দামও কমছে না। তাছাড়া ডলার-সংকটের কারণে অন্য পণ্যও ঠিকমতো আমদানি করা যাচ্ছে না। ফলে বিশ্বে দাম কমলেও আমদানি কম হওয়ায় সরবরাহ কম। তাই দাম কমছে না। এতে সামনে আমদানি আরও সহজ করতে হবে। এ জন্য ডলারের সরবরাহও বাড়াতে হবে। এই কৌশল কীভাবে নেওয়া যায় সেদিকে নজর দিতে হবে সরকারকে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে