সিলেট নগরীতে এক কিশোরকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে নগরীর জল্লার পাড় পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আরমান হোসেন (১৭) পরিবারের সঙ্গে নগরীর জল্লার পাড় ও জামতলা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া বাসায় বাস করে আসছে। তার বাবা আবুল কালাম আজাদের ওই এলাকায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র সারাইয়ের দোকান আছে।

তাদের গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্রীপুর গ্রামে।

নিহত আরমান হোসেন ময়মনসিংহের একটি স্কুলে পড়ালেখা করত। এর আগে সে সিলেট নগরীর কাজির বাজার মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের ছাত্র ছিল। করোনার সময় মাদ্রাসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তার পরিবার আরমানের নানাবাড়ি ময়মনসিংহের একটি স্কুলে নিয়ে ভর্তি করে। সেখান থেকে এবার সে অষ্টম শ্রেণি পাস করেছে বলে জানায় নিহতের পরিবার।

আরমানের বাবা আবুল কালাম আজাদ জানান, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে আরমান ওরস্যালাইন কেনার জন্য জল্লারপাড় পয়েন্টে যায়। সেখানে ৫-৬ জন কিশোর তাকে ডেকে নিয়ে পয়েন্ট সংলগ্ন ওয়াকওয়ের একটু ভেতরে যায়। সেখানে আরমানকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে তাকে রাস্তায় ফেলে চলে যায় কিশোরেরা। এ সময় তার চিৎকার শুনে পথচারীরা এগিয়ে গিয়ে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরমানকে মৃত ঘোষণা করেন।

সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

ওসি আরও জানান, গভীর রাতে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে শিপলু নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার কারণ ও জড়িতদের শনাক্তসহ গ্রেপ্তার করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে ৬-৭ জনের নাম উল্লেখসহ ১৫-১৬ জনকে আসামি করে সিলেট কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেছেন।