বদরুল ইসলাম মাসুদ, বান্দরবান
দীর্ঘদিন বান্দরবান জেলার সড়কপথের বিভিন্ন খাল-নদীর ওপর ভরসা ছিল ইস্পাতের তৈরি বেইলি সেতু। কিন্তু বছরের পর বছর এসব বেইলি সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচলের কারণে জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। সংস্কারের পর কয়েক বছর ব্যবহার হলেও ইতিমধ্যে অধিকাংশ এসব সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। এসব বিষয় বিবেচনা করে বান্দরবান সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ এসব সেতুর স্থলে পাকা গার্ডার সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। এতে গতি ফিরেছে সড়কে।
বান্দরবান সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ১২টি বেইলি সেতু বাতিল করে সেখানে পাকা গার্ডার সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে এসব পাকা গার্ডার সেতু নির্মাণের প্রাক্কলন তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে দুটি পাকা গার্ডার সেতু নির্মাণকাজ শেষ। এসব সেতু যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।
সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন চৌধুরী জানান, ইতিমধ্যে জেলার লামা উপজেলায় কুমারী এলাকায় ৪১ মিটার একটি পাকা গার্ডার সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। ৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই সেতু যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।
নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, এতদিন এই স্থানে ইস্পাতের পাতে নির্মিত বেইলি সেতু ছিল। দীর্ঘ বছর এই বেইলি সেতু দিয়েই যানবাহন ও পথচারীদের চলাচল করতে হয়েছে। ফলে বেইলি সেতু ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। পাকা গার্ডার সেতু নির্মাণ হওয়ায় এখন ঝুঁকিমুক্তভাবে যানবাহনগুলো দ্রুতবেগে চলাচল করছে। ফলে সড়ক যোগাযোগ ক্ষেত্রে আরও গতিশীলতা আসে।
মোসলেহ উদ্দিন আরও বলেন, বান্দরবান সদর উপজেলার টংকাবতী বেইলি সেতুর স্থলেও ৭ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে পাকা গার্ডার সেতু নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর সুফলও পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া গত ১০ ডিসেম্বর বান্দরবান-রোয়াংছড়ি সড়কের হানসামা এলাকায় নোয়াপতং খালের ওপর ৫০ মিটার দীর্ঘ পাকা গার্ডার সেতু নির্মাণকাজ উদ্বোধন করা হয়েছে। ৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এই পাকা গার্ডার সেতু নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে বান্দরবানের সঙ্গে রোয়াংছড়ি উপজেলার সড়ক যোগাযোগ আরও উন্নত ও গতিশীল হবে।
এ ব্যাপারে উপসহকারী প্রকৌশলী বা ফ্রু আজকের পত্রিকাকে বলেন, বান্দরবান-রোয়াংছড়ি সড়কে ১২টি বেইলি সেতু রয়েছে। এসব সেতু ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সড়ক বিভাগ সেতুগুলোর দুই পাড়ে সর্বোচ্চ ৫ টন মালামাল নিয়ে ট্রাক-যানবাহন চলাচল করতে পারবে বলে বিজ্ঞপ্তি লাগিয়ে দিয়েছিল। তবে এই ১২টি বেইলি সেতুর মধ্যে ১০ ডিসেম্বর নোয়াপতং খালের ওপর পাকা গার্ডার সেতু নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। সেতু নির্মাণ হলে একদিকে ঝুঁকি যেমন চলবে, তেমনি যানবাহন চলাচলে আরও গতি বাড়বে।
বান্দরবান সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্রে আরও জানা গেছে, জেলার ৮টি সড়কে বর্তমানে ১৫৯টি বেইলি সেতু রয়েছে। এর মধ্যে সড়ক বিভাগের আওতায় রয়েছে ৭৬টি সেতু, আর সেনাবাহিনীর প্রকৌশল বিভাগ (ইসিবি) এর আওতায় ৮৩টি বেইলি সেতু ও সড়ক নির্মাণ হবে। বান্দরবান সড়ক বিভাগের ৭৬টি বেইলি সেতু পর্যায়ক্রমে পাকা গার্ডার সেতু নির্মাণ হবে।
বান্দরবান সড়ক ও জনপথ বিভাগের তথ্যমতে, জেলায় ১৯৮০ সালের দিকে অস্থায়ীভাবে নির্মিত সড়কে এসব বেইলি সেতু রয়েছে। এর মধ্যে নতুন আরসিসি সেতু নির্মিত হয়েছে ৮৭টি, বাকি ৭২টি ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর মধ্যে ৪০টি সেতুকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করা হয়।
এ দিকে সরেজমিনে বান্দরবানের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, অনেক বেইলি সেতুই মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে বান্দরবান-চন্দ্রঘোনা সড়কের সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বেইলি সেতুগুলো ক্রমশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এসব সেতুর কোথাও পাটাতন উঠে গেছে, কোথাও পাটাতন পুরোনো হয়ে ভেঙে বা ছিদ্র হয়ে গেছে। বান্দরবান-রোয়াংছড়ি, বান্দরবান-রুমা, বান্দরবান-বাগমারা, বান্দরবান-থানচি সড়কগুলোর অবস্থাও একই। এখানেও বেইলি সেতুগুলো পুরোনো হওয়ায় চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
বান্দরবানে সড়কগুলোর অবস্থা ভালো হলেও বেইলি সেতুগুলোর কারণে ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। এসব বেইলি সেতুর পরিবর্তে আরসিসি সেতু নির্মাণ করা জরুরি বলে এসব সড়কে চলাচলকারী যাত্রী, পরিবহন মালিক-চালক সকলের অভিমত।
বান্দরবানে বেড়াতে আসা পর্যটক বশির আহমদ, সাইফুল, নওশাদসহ কয়েকজন বলেন, তাঁরা বান্দরবানের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেন। তবে বিভিন্ন সড়কে অনেক বেইলি সেতু দেখা যায়, যাদের অনেকটির পাটাতন নষ্ট, গাড়ি যাওয়ার সময় নড়বড়ে মনে হয়। এতে তাঁরা কিছুটা ঝুঁকির মধ্যেই থাকেন।
দীর্ঘদিন বান্দরবান জেলার সড়কপথের বিভিন্ন খাল-নদীর ওপর ভরসা ছিল ইস্পাতের তৈরি বেইলি সেতু। কিন্তু বছরের পর বছর এসব বেইলি সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচলের কারণে জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। সংস্কারের পর কয়েক বছর ব্যবহার হলেও ইতিমধ্যে অধিকাংশ এসব সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। এসব বিষয় বিবেচনা করে বান্দরবান সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ এসব সেতুর স্থলে পাকা গার্ডার সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। এতে গতি ফিরেছে সড়কে।
বান্দরবান সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ১২টি বেইলি সেতু বাতিল করে সেখানে পাকা গার্ডার সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে এসব পাকা গার্ডার সেতু নির্মাণের প্রাক্কলন তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে দুটি পাকা গার্ডার সেতু নির্মাণকাজ শেষ। এসব সেতু যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।
সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন চৌধুরী জানান, ইতিমধ্যে জেলার লামা উপজেলায় কুমারী এলাকায় ৪১ মিটার একটি পাকা গার্ডার সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। ৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই সেতু যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।
নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, এতদিন এই স্থানে ইস্পাতের পাতে নির্মিত বেইলি সেতু ছিল। দীর্ঘ বছর এই বেইলি সেতু দিয়েই যানবাহন ও পথচারীদের চলাচল করতে হয়েছে। ফলে বেইলি সেতু ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। পাকা গার্ডার সেতু নির্মাণ হওয়ায় এখন ঝুঁকিমুক্তভাবে যানবাহনগুলো দ্রুতবেগে চলাচল করছে। ফলে সড়ক যোগাযোগ ক্ষেত্রে আরও গতিশীলতা আসে।
মোসলেহ উদ্দিন আরও বলেন, বান্দরবান সদর উপজেলার টংকাবতী বেইলি সেতুর স্থলেও ৭ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে পাকা গার্ডার সেতু নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর সুফলও পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া গত ১০ ডিসেম্বর বান্দরবান-রোয়াংছড়ি সড়কের হানসামা এলাকায় নোয়াপতং খালের ওপর ৫০ মিটার দীর্ঘ পাকা গার্ডার সেতু নির্মাণকাজ উদ্বোধন করা হয়েছে। ৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এই পাকা গার্ডার সেতু নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে বান্দরবানের সঙ্গে রোয়াংছড়ি উপজেলার সড়ক যোগাযোগ আরও উন্নত ও গতিশীল হবে।
এ ব্যাপারে উপসহকারী প্রকৌশলী বা ফ্রু আজকের পত্রিকাকে বলেন, বান্দরবান-রোয়াংছড়ি সড়কে ১২টি বেইলি সেতু রয়েছে। এসব সেতু ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সড়ক বিভাগ সেতুগুলোর দুই পাড়ে সর্বোচ্চ ৫ টন মালামাল নিয়ে ট্রাক-যানবাহন চলাচল করতে পারবে বলে বিজ্ঞপ্তি লাগিয়ে দিয়েছিল। তবে এই ১২টি বেইলি সেতুর মধ্যে ১০ ডিসেম্বর নোয়াপতং খালের ওপর পাকা গার্ডার সেতু নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। সেতু নির্মাণ হলে একদিকে ঝুঁকি যেমন চলবে, তেমনি যানবাহন চলাচলে আরও গতি বাড়বে।
বান্দরবান সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্রে আরও জানা গেছে, জেলার ৮টি সড়কে বর্তমানে ১৫৯টি বেইলি সেতু রয়েছে। এর মধ্যে সড়ক বিভাগের আওতায় রয়েছে ৭৬টি সেতু, আর সেনাবাহিনীর প্রকৌশল বিভাগ (ইসিবি) এর আওতায় ৮৩টি বেইলি সেতু ও সড়ক নির্মাণ হবে। বান্দরবান সড়ক বিভাগের ৭৬টি বেইলি সেতু পর্যায়ক্রমে পাকা গার্ডার সেতু নির্মাণ হবে।
বান্দরবান সড়ক ও জনপথ বিভাগের তথ্যমতে, জেলায় ১৯৮০ সালের দিকে অস্থায়ীভাবে নির্মিত সড়কে এসব বেইলি সেতু রয়েছে। এর মধ্যে নতুন আরসিসি সেতু নির্মিত হয়েছে ৮৭টি, বাকি ৭২টি ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর মধ্যে ৪০টি সেতুকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করা হয়।
এ দিকে সরেজমিনে বান্দরবানের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, অনেক বেইলি সেতুই মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে বান্দরবান-চন্দ্রঘোনা সড়কের সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বেইলি সেতুগুলো ক্রমশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এসব সেতুর কোথাও পাটাতন উঠে গেছে, কোথাও পাটাতন পুরোনো হয়ে ভেঙে বা ছিদ্র হয়ে গেছে। বান্দরবান-রোয়াংছড়ি, বান্দরবান-রুমা, বান্দরবান-বাগমারা, বান্দরবান-থানচি সড়কগুলোর অবস্থাও একই। এখানেও বেইলি সেতুগুলো পুরোনো হওয়ায় চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
বান্দরবানে সড়কগুলোর অবস্থা ভালো হলেও বেইলি সেতুগুলোর কারণে ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। এসব বেইলি সেতুর পরিবর্তে আরসিসি সেতু নির্মাণ করা জরুরি বলে এসব সড়কে চলাচলকারী যাত্রী, পরিবহন মালিক-চালক সকলের অভিমত।
বান্দরবানে বেড়াতে আসা পর্যটক বশির আহমদ, সাইফুল, নওশাদসহ কয়েকজন বলেন, তাঁরা বান্দরবানের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেন। তবে বিভিন্ন সড়কে অনেক বেইলি সেতু দেখা যায়, যাদের অনেকটির পাটাতন নষ্ট, গাড়ি যাওয়ার সময় নড়বড়ে মনে হয়। এতে তাঁরা কিছুটা ঝুঁকির মধ্যেই থাকেন।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে