Ajker Patrika

কাদের মির্জার বিরুদ্ধে ৮ প্রার্থীর লিখিত অভিযোগ

নোয়াখালী প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ জানুয়ারি ২০২২, ১২: ৩০
কাদের মির্জার বিরুদ্ধে ৮ প্রার্থীর লিখিত অভিযোগ

নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন ইউপি নির্বাচনের আটজন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলার আট ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) উপজেলা আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপার (এসপি) কার্যালয়ে লিখিত এই অভিযোগ দেন।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা আসন্ন ইউপি নির্বাচনে তাঁর অনুসারী প্রার্থীদের কেন্দ্র দখল করে বিজয়ী করার চেষ্টা করছেন। ইতিমধ্যে তিনি তাঁর সন্ত্রাসীদের দিয়ে এবং নিজে বিভিন্ন ইউপির বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে দলের নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটারদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। মোবাইল ফোনেও অনেককে হুমকি দিচ্ছেন। এতে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, পৌর মেয়র নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে পৌরসভার সরকারি গাড়িসহ তাঁর সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের নিয়ে গাড়িবহরসহ গণসংযোগ করছেন। তিনি সেখানে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার মাধ্যমে নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করছেন। ফলে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে দাঙ্গা-হাঙ্গামাসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কাদের মির্জার এসব কর্মকাণ্ড বন্ধসহ তাঁর গাড়িবহরে থাকা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানানো হয়।

লিখিত অভিযোগ দেওয়া প্রার্থীরা হলেন সিরাজপুর ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী মাঈন উদ্দিন মামুন, চরপার্বতী ইউপির মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু, ৩ নম্বর চরহাজারী ইউপির নুরুজ্জামান স্বপন, চরকাঁকড়া ইউপির হানিফ সবুজ, চরফকিরা ইউপির জায়দল হক কচি, রামপুর ইউপির সিরাজিস সালেকীন রিমন, মুছাপুর ইউপির নজরুল ইসলাম চৌধুরী শাহীন এবং চর এলাহী ইউপির আবদুর রাজ্জাক।

মুছাপুর ইউপিতে চেয়ারম্যান প্রার্থী নজরুল ইসলাম চৌধুরী শাহীন বলেন, ‘আমি এ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান। আমাকে উপজেলা আওয়ামী লীগ সমর্থন দেওয়ায় কাদের মির্জা তাঁর অনুসারী এক আমেরিকা প্রবাসীকে প্রার্থী দিয়েছেন। তিনি সরকারি গাড়ি ও সহযোগী ব্যবহার করে ভোটারদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান বলেন, ‘উপজেলা আওয়ামী লীগ সমর্থিত আটজন প্রার্থীর জয়ের সম্ভাবনা দেখে কাদের মির্জা তাঁর অনুসারী প্রার্থীদের পক্ষে কেন্দ্র দখলের পাঁয়তারা করছেন। আমাদের প্রার্থীরা বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানিয়েছেন।’

এ বিষয়ে জানতে মেয়র কাদের মির্জাকে ফোন করা হয়। তাঁর সহকারী পরিচয় দিয়ে একজন রিসিভ করে কেন ফোন দেওয়া হয়েছে জানতে চেয়ে তিনি বলেন, ‘মেয়র এখন বিশ্রামে আছেন। পরে ফোন করেন।’

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত (বিকেল ৫টা) কোনো লিখিত পাইনি। অভিযোগের বিষয়ে খবর নেওয়া হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত