Ajker Patrika

বিদ্যালয়ের সামনে গেলেই নাকেমুখে গুঁজতে হয় কাপড়

শিপুল ইসলাম, রংপুর
বিদ্যালয়ের সামনে গেলেই নাকেমুখে গুঁজতে হয় কাপড়

কারও কাঁধে ব্যাগ, কারও হাতে বোর্ড এবং কারও হাতে খাতা। সবার লক্ষ্য ক্লাস। তবে বিদ্যালয় ও কলেজের প্রধান ফটকের কাছে গেলেই সবাইকে নাকেমুখে কাপড় গুঁজতে হয়। ময়লার দুর্গন্ধ এতটাই উৎকট যে শিক্ষার্থীরা কখনো কখনো বমি করে দেয়।

এমন চিত্র রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার তারাগঞ্জ ও/এ সরকারি কলেজের প্রধান ফটকের সামনের। এই ফটক পার হয়ে আরও দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যায় এই ভোগান্তি পেরিয়ে।

রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের গা ঘেঁষে তারাগঞ্জ সদরে পাশাপাশি তারাগঞ্জ ও/এ বালিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, তারাগঞ্জ শিশু নিকেতন এবং তারাগঞ্জ ও/এ সরকারি কলেজের অবস্থান। প্রতিষ্ঠান তিনটিতে প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। মহাসড়কের পাশে প্রতিষ্ঠান তিনটিতে প্রবেশের জন্য একটি ফটক নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু এই ফটকের সামনে আশপাশের ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা ফেলেন ময়লা। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

গতকাল সোমবার সরেজমিন দেখা যায়, ফটকের প্রবেশদ্বারে দীর্ঘদিন ময়লা-আবর্জনা পড়ে ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। সেগুলোর প্রকট দুর্গন্ধ চারদিকে ছড়াচ্ছে। শিক্ষার্থীরা নাক-মুখ চেপে ক্লাসের দিকে যাচ্ছে। আশপাশের ব্যবসায়ীরাও নাকেমুখে কাপড় চেপে ব্যবসা করছেন।

নাক-মুখ চেপে কলেজে যাওয়ার সময় কথা হয় ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজা আক্তারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এখানে থাকা ময়লার দুর্গন্ধে বমি আসে। নাকেমুখে কাপড় চেপে হাঁটতে হয়। দীর্ঘদিন এখানে ময়লাগুলো পচে দুর্গন্ধ ছড়ালেও কেউ সরানো উদ্যোগ নিচ্ছেন না।’

তারাগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী প্রতীক দত্ত বলেন, ‘ভাই, কইলে স্যাররা শোনে না, দোকানিরা বুঝে না। সবাই নিজের মতো করি চলে। খালি দুর্গন্ধে হামরাই ভোগাওছি। ভালো করি লেখি দেন তো সরকারি লোক যেন ময়লাগুলা পরিষ্কার করে।’

তারাগঞ্জ ও/এ বালিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মহাসড়কের সঙ্গেই আমাদের এই প্রতিষ্ঠান। আশপাশের দোকানের ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ের পরিণত করেছে। এ ময়লার দুর্গন্ধে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীরা মনোযোগ দিতে পারছে না। দুর্গন্ধের জন্য অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হচ্ছে। আমরাও অফিসে ভালোভাবে থাকতে পারছি না। বিষয়টি ইউএনও মহোদয় বেশ কয়েকবার অবগত করেছি। কিন্তু এখনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’

তারাগঞ্জ ও/এ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল বারী মণ্ডল বলেন, ‘মানুষের সচেতনতার অভাব রয়েছে। এখানে ময়লা-আবর্জনা তো একদিনে উড়ে আসেনি। জেনেশুনে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে এভাবে ময়লা ফেলে স্তূপ করা হয়েছে। যার দুর্গন্ধ আমাদের সহ্য করতে হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদের উচিত ফটকের সামনের রাস্তার পাশের ময়লাগুলো সরিয়ে নেওয়া।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসেল মিয়া বলেন, ‘বিষয়টি জানলাম। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে নিয়ে দ্রুত পরিকল্পনা করে ময়লা অপসরণের ব্যবস্থা করব। পাশাপাশি যাতে ওই স্থানে আর ময়লা না ফেলা হয়, সে জন্য আশপাশের লোকজনকে সচেতন করা হবে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মাসুদ আহমেদের সব পদ স্থগিত

টিআইএন নেওয়ার পরে কিন্তু ঘুমাইতে পারবেন না: এনবিআর চেয়ারম্যান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত