প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত শিল্পীরা

অনিক সিকদার, বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী)
আপডেট : ২৯ জানুয়ারি ২০২২, ১২: ৫৩
Thumbnail image

আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম পূজা সরস্বতী। প্রতিবছরের মতো এবারও জ্ঞানের আলো ছড়াতে আসছেন দেবী সরস্বতী। তাই রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার শিল্পীরা প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। চলছে বাঁশ, খড় ও কাদামাটি দিয়ে প্রতিমার অবকাঠামো তৈরি ও তাতে প্রলেপ দেওয়ার কাজ।

বালিয়াকান্দির প্রায় প্রতি হিন্দু বাড়িতেই সরস্বতী পূজা হওয়ায় প্রতিমার বেশ চাহিদা রয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন বাজার ও পালপাড়াতে সরস্বতী প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত শিল্পীরা। কর পাড়ার শিল্পী তাপস পাল ও খোকন পালের কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, ছোট-বড় বিভিন্ন আকারের প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে। সময়মতো প্রতিমা তৈরি করতে শিল্পীরা দিন-রাত কাজ করছেন।

শিল্পী তাপস পাল বলেন, সারা বছর বিভিন্ন প্রতিমা তৈরি করেন। সামনে সরস্বতী পূজা উপলক্ষে প্রতিমা বানাচ্ছেন। এবার বিভিন্ন আকারের সরস্বতী প্রতিমা তৈরি করছেন। কিছু বায়না নেওয়া থাকে আর কিছু প্রতিমা বানানো থাকে, যাতে শেষ মুহূর্তে বায়না না দিয়েও অনেকে প্রতিমা কিনতে পারেন।

শিল্পী খোকন পাল বলেন, ঠাকুর তৈরি ও সাজসজ্জার কাঁচামালের দাম বেড়েছে। এতে ঠাকুর তৈরির খরচ অনেকটাই বেড়েছে। যারা আগে থেকে বায়না করছেন তারা অতিরিক্ত দাম দিতে রাজি না। তার ওপর বিক্রিতে ভাটা পড়েছে, তাই ঠাকুরের দাম বাড়াতে পারছেন না। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তাঁরা।

বালিয়াকান্দি মহাশ্মশান ও কেন্দ্রীয় মন্দিরে প্রতিমা তৈরির করা শিল্পী সাধন পাল বলেন, শীতের মধ্যে প্রতিদিন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত প্রতিমা তৈরি ও রং করছেন তাঁরা। এবার ৩৩টি প্রতিমা তৈরি করছেন, যা সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হবে।

হিন্দুধর্ম মতে, বিদ্যার দেবী সরস্বতী। হিন্দু শিক্ষার্থীরা দেবীর আশীর্বাদ লাভের আশায় প্রতিবছর পঞ্জিকা মতে মাঘ মাসের পঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী দেবীর পূজা করা হয়। এ পূজা উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িতে বাড়িতে নির্মাণ করা হয় অস্থায়ী মন্দির। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পূজা উদ্যাপনের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা রয়েছে।

শিক্ষার্থী ইতি ভট্ট বলে, প্রতিবছরই দেবীর কাছে তারা বিদ্যার জন্য প্রার্থনা করে। এবারও তারা দেবীর কাছে বিদ্যা ও দেশ-জাতির মঙ্গল কামনা করে প্রার্থনা করবে।

বালিয়াকান্দি মহাশ্মশান ও কেন্দ্রীয় মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রনাথ কণ্ডু চন্দন বলেন, উপজেলা সদর ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বাসা-বাড়িতে সরস্বতী পূজা উদ্যাপিত হবে। কোনো ধরনের বাধা-বিপত্তি ছাড়াই শান্তিপূর্ণ ও জাঁকজমক পরিবেশে সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা সম্পন্ন হবে বলে তাঁরা আশা করেন তাঁরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত