মেহেরপুরের গাংনীর তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনী প্রচারকে কেন্দ্র করে দুই সদস্য প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার সকালে ও গত বৃহস্পতিবার রাতে দুই দফায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষে আহত হয়েছেন এক ইউপি সদস্য প্রার্থীসহ উভয় পক্ষের তিনজন। আহতরা হলেন তেঁতুলবাড়ীয়া ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী রফিকুল ইসলামসহ একই ওয়ার্ডের আরেক ইউপি সদস্য প্রার্থী মোজাম্মেল হকের কর্মী হবিবর রহমান ও ফড়ং হোসেন।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রফিকুল ইসলাম তাঁর নির্বাচনী প্রচারের অংশ হিসাবে মথুরাপুর গ্রামে গিয়ে ভোটারদের কাছে ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছিলেন। ভোট চাওয়া শেষে বৃহস্পতিবার রাতে মথুরাপুর থেকে নিজ গ্রাম রামদেবপুরে ফিরছিলেন। ফেরার পথে রাত ৯টার দিকে মথুরাপুর গ্রামের আব্দুস সামাদের দোকানের সামনে পৌঁছালে কয়েকজন ব্যক্তি তাঁকে পিটিয়ে জখম করে পালিয়ে যান। পরে আশপাশের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করেন।

আহত রফিকুল ইসলাম বলেন, আগামী ১১ নভেম্বর তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে জনসমর্থন না পেয়ে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মথুরাপুর গ্রামের মোজাম্মেল হক আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর কর্মী মনিরুল ইসলাম, মহাবুল, ফড়ং হোসেন, মহিদুল, ফরিদুলকে দিয়ে আমার ওপর এই হামলা করেছেন। স্থানীয়রা এগিয়ে না আসলে তাঁরা আমাকে মেরে ফেলতেন।’

এ দিকে মোজাম্মেল বলেন, ‘রফিকুল ইসলাম তাঁর লোকজন নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে আমার কর্মী ফড়ং হোসেনকে পিটিয়ে আহত করেন। শুক্রবার সকালেও সে তাঁর কর্মী বাদলকে দিয়ে আমার কর্মী হবিবর রহমানকে পিটিয়ে জখম করেছেন। রফিকুলের উসকানিতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে।

মেহেরপুরের গাংনী থানার ওসি বজলুর রহমান জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।