উবায়দুল্লাহ বাদল, ঢাকা
কৃষিজমি সুরক্ষা আইনের খসড়াতেই কেটে গেছে ১৪ বছর। খসড়াটি এত দিনে আইনে পরিণত না হলেও নামবদল হয়েছে তিনবার। কৃষিজমি-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রভাবশালী মহলের চাপে আইনটি আলোর মুখ দেখছে না। স্বার্থসংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীর মতামত নিতেই বছরের পর বছর পার করছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
তবে মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলছে, প্রথম খসড়ায় সাজার যে বিধান ছিল, তা কমানো হয়েছে। খসড়াটি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে মোট আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ২ কোটি ১ লাখ ৫৭ হাজার একর বা ৮০ লাখ ৩০ হাজার হেক্টর। ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট নির্মাণসহ নানা কারণে প্রতিবছর প্রায় ৮০ হাজার হেক্টর জমি অকৃষি খাতে চলে যাচ্ছে। প্রতিদিন কমছে প্রায় ২১৯ হেক্টর আবাদি জমি। তবে পরিসংখ্যান ব্যুরো এবং কৃষি বিভাগের মতে, বছরে কৃষিজমি কমছে ৬৮ হাজার ৭০০ হেক্টর। অর্থাৎ দিনে কৃষিজমি কমছে ১৮৮ হেক্টর। সরকারের গবেষণা প্রতিষ্ঠান মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের (এসআরডিআই) প্রকাশিত ‘বাংলাদেশের কৃষিজমি বিলুপ্তির প্রবণতা’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনেও একই তথ্য রয়েছে।
দেশে বর্তমানে মোট আবাদি জমি রয়েছে ১ কোটি ৬০ লাখ ৫৬ হাজার হেক্টর। এর মধ্যে তিন ফসলি জমি ১৮ লাখ ৬৬ হাজার হেক্টর। ফসলি জমি রক্ষায় ১৪ বছর আগে ২০০৯ সালে কৃষিজমি সুরক্ষা আইন করার উদ্যোগ নেয় সরকার। প্রথমে নাম ছিল ‘কৃষিজমি সুরক্ষা ও ভূমি জোনিং আইন-২০১০’। পরে নাম বদলে ‘কৃষিজমি সুরক্ষা ও ভূমি ব্যবহার আইন-২০১৫’ এবং ‘কৃষিজমি সুরক্ষা আইন-২০২১’ নামে নামকরণ করা হয়। সর্বশেষ নামকরণ করা হয়েছে ‘ভূমির মালিকানা ও ব্যবহার আইন-২০২৩’।
প্রস্তাবিত এই আইনের খসড়ায় ছিল, প্রতিষ্ঠানের নামে কৃষিজমি কেনা বা হস্তান্তর করা যাবে না। দুই বা তিন ফসলি জমি সরকারি-বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য কোনো অবস্থাতেই অধিগ্রহণ করা যাবে না। কোনোভাবেই জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না। আইন লঙ্ঘনে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড বা সর্বনিম্ন ৩ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখার প্রস্তাব করা হয়েছিল প্রথম খসড়ায়। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলেছে, আইন লঙ্ঘনের শাস্তি কমিয়ে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বা উভয় দণ্ডের বিধান করা হয়েছে।
রাজশাহীর রুরাল আন্ডারপ্রিভিলেজড অ্যান্ড ল্যান্ডলেস ফারমার্স অর্গানাইজেশনের (আরইউএলএফএও) প্রধান নির্বাহী এম আফজাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, দরকারি এই আইনটি অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল। সংসদে সরকারি দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতাও রয়েছে। আইন পাস করতে কোনো বাধাও নেই। কিন্তু প্রতিদিন যেভাবে কৃষিজমিতে পুকুর, আমবাগানে বাণিজ্যিক ভবন, কলকারখানা ও অটোরাইস মিলসহ বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা নির্মাণ হচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে সরকারের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে।
সরকারের উদাসীনতা আর ভূমিদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগের কারণেই আইনটি হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, এ ধারা অব্যাহত থাকলে দেশে ২০৫০ থেকে ২০৭০ সালের মধ্যে আর কৃষিজমি থাকবে না। এই আইন হলে ভূমিদস্যুদের দৌরাত্ম্য কমবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৬ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিন ফসলি জমিতে কোনো ধরনের প্রকল্প না নেওয়ার নির্দেশনা দেন। তিন ফসলি জমিতে সোলার প্যানেলসহ সব ধরনের উন্নয়ন-অবকাঠামো স্থাপন ও নির্মাণ বন্ধ রাখারও নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সব মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়। এর ধারাবাহিকতায় কৃষি মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরগুলোকে চিঠি দেয়। চিঠিতে নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রতি মাসের ২ তারিখের মধ্যে মন্ত্রণালয়কে জানাতে বলা হয়।
কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেন, তিন ফসলি জমি রক্ষায় মন্ত্রিসভার নির্দেশনা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এর পরও যদি তিন ফসলি জমিতে কেউ স্থাপনা নির্মাণ করে, তা মন্ত্রণালয়কে জানাতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, অপরিকল্পিত বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট নির্মাণ, নগরায়ণ, অপরিকল্পিত চাষাবাদ ও দূষণসহ নানা কারণে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ আবাদি জমি কমে যাচ্ছে। বদলে যাচ্ছে জমির প্রকৃতি ও শ্রেণি। পাশাপাশি রাতারাতি ভরাট হয়ে যাচ্ছে খাল-বিল, ডোবা-নালা। কোথাও কোথাও তিন ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে। যা যাচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়ও। গত চার দশকের ব্যবধানে বাংলাদেশে আবাদি জমি কমেছে প্রায় ১০ শতাংশ।
এ প্রসঙ্গে অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্মস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এএলআরডি) নির্বাহী প্রধান শামসুল হুদা বলেন, কৃষিজমি রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাও উপেক্ষা করা হচ্ছে। মহাসড়কের দুই পাশে তাকালেই দেখা যায় শত শত একর কৃষিজমিতে আবাসন কোম্পানি বা বিভিন্ন সংস্থার সাইনবোর্ড। কিছুদিনের মধ্যে সেসব কৃষিজমি ভরাট করে আবাসন প্রকল্প বা কলকারখানা হচ্ছে। হাজার হাজার একর কৃষিজমি নষ্ট হচ্ছে। তিনি বলেন, এসবের সঙ্গে কিছু ব্যবসায়ী আইনপ্রণেতা, প্রশাসনের কর্মকর্তা ও অসাধু ব্যবসায়ীসহ কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত। তাঁদের প্রভাবেই মূলত আইনটি ঝুলে আছে।
আইনটির অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে ভূমিসচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান ভূমি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (আইন) মো. খলিলুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন। মো. খলিলুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, অনেক দিন ধরে আইনটির ওপর অংশীজনদের মতামত নেওয়া হচ্ছে। আইনটির নামও একাধিকবার পরিবর্তন করা হয়েছে। পাশাপাশি আইন লঙ্ঘনের সাজাও কমানো হয়েছে। এখন এটি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
কৃষিজমি সুরক্ষা আইনের খসড়াতেই কেটে গেছে ১৪ বছর। খসড়াটি এত দিনে আইনে পরিণত না হলেও নামবদল হয়েছে তিনবার। কৃষিজমি-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রভাবশালী মহলের চাপে আইনটি আলোর মুখ দেখছে না। স্বার্থসংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীর মতামত নিতেই বছরের পর বছর পার করছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
তবে মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলছে, প্রথম খসড়ায় সাজার যে বিধান ছিল, তা কমানো হয়েছে। খসড়াটি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে মোট আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ২ কোটি ১ লাখ ৫৭ হাজার একর বা ৮০ লাখ ৩০ হাজার হেক্টর। ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট নির্মাণসহ নানা কারণে প্রতিবছর প্রায় ৮০ হাজার হেক্টর জমি অকৃষি খাতে চলে যাচ্ছে। প্রতিদিন কমছে প্রায় ২১৯ হেক্টর আবাদি জমি। তবে পরিসংখ্যান ব্যুরো এবং কৃষি বিভাগের মতে, বছরে কৃষিজমি কমছে ৬৮ হাজার ৭০০ হেক্টর। অর্থাৎ দিনে কৃষিজমি কমছে ১৮৮ হেক্টর। সরকারের গবেষণা প্রতিষ্ঠান মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের (এসআরডিআই) প্রকাশিত ‘বাংলাদেশের কৃষিজমি বিলুপ্তির প্রবণতা’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনেও একই তথ্য রয়েছে।
দেশে বর্তমানে মোট আবাদি জমি রয়েছে ১ কোটি ৬০ লাখ ৫৬ হাজার হেক্টর। এর মধ্যে তিন ফসলি জমি ১৮ লাখ ৬৬ হাজার হেক্টর। ফসলি জমি রক্ষায় ১৪ বছর আগে ২০০৯ সালে কৃষিজমি সুরক্ষা আইন করার উদ্যোগ নেয় সরকার। প্রথমে নাম ছিল ‘কৃষিজমি সুরক্ষা ও ভূমি জোনিং আইন-২০১০’। পরে নাম বদলে ‘কৃষিজমি সুরক্ষা ও ভূমি ব্যবহার আইন-২০১৫’ এবং ‘কৃষিজমি সুরক্ষা আইন-২০২১’ নামে নামকরণ করা হয়। সর্বশেষ নামকরণ করা হয়েছে ‘ভূমির মালিকানা ও ব্যবহার আইন-২০২৩’।
প্রস্তাবিত এই আইনের খসড়ায় ছিল, প্রতিষ্ঠানের নামে কৃষিজমি কেনা বা হস্তান্তর করা যাবে না। দুই বা তিন ফসলি জমি সরকারি-বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য কোনো অবস্থাতেই অধিগ্রহণ করা যাবে না। কোনোভাবেই জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না। আইন লঙ্ঘনে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড বা সর্বনিম্ন ৩ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখার প্রস্তাব করা হয়েছিল প্রথম খসড়ায়। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলেছে, আইন লঙ্ঘনের শাস্তি কমিয়ে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বা উভয় দণ্ডের বিধান করা হয়েছে।
রাজশাহীর রুরাল আন্ডারপ্রিভিলেজড অ্যান্ড ল্যান্ডলেস ফারমার্স অর্গানাইজেশনের (আরইউএলএফএও) প্রধান নির্বাহী এম আফজাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, দরকারি এই আইনটি অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল। সংসদে সরকারি দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতাও রয়েছে। আইন পাস করতে কোনো বাধাও নেই। কিন্তু প্রতিদিন যেভাবে কৃষিজমিতে পুকুর, আমবাগানে বাণিজ্যিক ভবন, কলকারখানা ও অটোরাইস মিলসহ বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা নির্মাণ হচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে সরকারের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে।
সরকারের উদাসীনতা আর ভূমিদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগের কারণেই আইনটি হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, এ ধারা অব্যাহত থাকলে দেশে ২০৫০ থেকে ২০৭০ সালের মধ্যে আর কৃষিজমি থাকবে না। এই আইন হলে ভূমিদস্যুদের দৌরাত্ম্য কমবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৬ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিন ফসলি জমিতে কোনো ধরনের প্রকল্প না নেওয়ার নির্দেশনা দেন। তিন ফসলি জমিতে সোলার প্যানেলসহ সব ধরনের উন্নয়ন-অবকাঠামো স্থাপন ও নির্মাণ বন্ধ রাখারও নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সব মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়। এর ধারাবাহিকতায় কৃষি মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরগুলোকে চিঠি দেয়। চিঠিতে নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রতি মাসের ২ তারিখের মধ্যে মন্ত্রণালয়কে জানাতে বলা হয়।
কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেন, তিন ফসলি জমি রক্ষায় মন্ত্রিসভার নির্দেশনা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এর পরও যদি তিন ফসলি জমিতে কেউ স্থাপনা নির্মাণ করে, তা মন্ত্রণালয়কে জানাতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, অপরিকল্পিত বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট নির্মাণ, নগরায়ণ, অপরিকল্পিত চাষাবাদ ও দূষণসহ নানা কারণে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ আবাদি জমি কমে যাচ্ছে। বদলে যাচ্ছে জমির প্রকৃতি ও শ্রেণি। পাশাপাশি রাতারাতি ভরাট হয়ে যাচ্ছে খাল-বিল, ডোবা-নালা। কোথাও কোথাও তিন ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে। যা যাচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়ও। গত চার দশকের ব্যবধানে বাংলাদেশে আবাদি জমি কমেছে প্রায় ১০ শতাংশ।
এ প্রসঙ্গে অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্মস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এএলআরডি) নির্বাহী প্রধান শামসুল হুদা বলেন, কৃষিজমি রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাও উপেক্ষা করা হচ্ছে। মহাসড়কের দুই পাশে তাকালেই দেখা যায় শত শত একর কৃষিজমিতে আবাসন কোম্পানি বা বিভিন্ন সংস্থার সাইনবোর্ড। কিছুদিনের মধ্যে সেসব কৃষিজমি ভরাট করে আবাসন প্রকল্প বা কলকারখানা হচ্ছে। হাজার হাজার একর কৃষিজমি নষ্ট হচ্ছে। তিনি বলেন, এসবের সঙ্গে কিছু ব্যবসায়ী আইনপ্রণেতা, প্রশাসনের কর্মকর্তা ও অসাধু ব্যবসায়ীসহ কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত। তাঁদের প্রভাবেই মূলত আইনটি ঝুলে আছে।
আইনটির অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে ভূমিসচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান ভূমি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (আইন) মো. খলিলুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন। মো. খলিলুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, অনেক দিন ধরে আইনটির ওপর অংশীজনদের মতামত নেওয়া হচ্ছে। আইনটির নামও একাধিকবার পরিবর্তন করা হয়েছে। পাশাপাশি আইন লঙ্ঘনের সাজাও কমানো হয়েছে। এখন এটি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে