নাজিম আল শমষের
প্রশ্ন: শিরোপা জয়ের পর নানা আনুষ্ঠানিকতা আর ব্যস্ততা শেষে হয়তো ক্লান্তি স্পর্শ করেছে। এ ক্লান্তির মাঝেও অনেক বড় প্রাপ্তির অনুভূতিটা কেমন?
শামসুন্নাহার: এমন একটা জয়ের পর সবাই আমাদের যেভাবে সমর্থন করেছেন, সেটা খুব দরকার ছিল। তাঁরা যে সমর্থনটা দিয়েছেন, এত কষ্টের মাঝেও সবাইকে স্মরণ করা উচিত। নিজের কষ্টের মাঝেও তাই তাঁদের কথাটা বলতে চাই।
প্রশ্ন: কষ্ট বলতে, একটু যদি খুলে বলতেন বিষয়টা।
শামসুন্নাহার: ফাইনালে ৯০ মিনিট ম্যাচ খেলেছি। সেই ম্যাচের পর এতটুকুও বিশ্রাম পাইনি। ক্যাম্পে এসে অল্প বিশ্রাম নিয়েই রাতে একটা টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে হয়েছে। ক্যাম্পে ফিরে অনেক রাতে ঘুমিয়েছি। অল্প ঘুম, ভালো হয়নি। সকালে উঠেছি। আজ (গতকাল) শুক্রবার হওয়ায় হাতে ফোন পেয়েছি। অন্য শুক্রবারগুলোয় আমরা পরিবারের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাই। কিন্তু আজ ফোনের সময়টা সবাইকে দিতে হয়েছে। অনেক জায়গায় কথা বলতে হয়েছে। একটু পর ফোন জমা দিয়ে দিতে হবে। পরিবারের সঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব কথা বলতে চাই।
প্রশ্ন: শিরোপা জয়ের পরও একটু নিজেদের মতো সময় কাটানো তো আশা করাই যায়?
শামসুন্নাহার: আমরা একটা নিয়মের মধ্যে চলি। কঠিন নিয়মের মধ্যে থাকতে হয়। সবার জন্যই সেই নিয়ম সমান। যা করার, আমাদের এই সময়ের মধ্যেই করতে হবে।
প্রশ্ন: এত ব্যস্ততার মাঝে তাহলে পরিবারের সঙ্গে কথা বলার সময়ই পাননি?
শামসুন্নাহার: বোন ও দুলাভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। বাবাকে ফোন দিয়েছিলাম, কিন্তু তিনি নামাজে গিয়েছিলেন। এরপর রুম থেকে যে সেই নিচে নেমেছি, কারও সঙ্গেই কথা বলার সুযোগ হয়নি।
প্রশ্ন: অল্প বয়সে মাকে হারিয়েছেন। এমন সুখের একটা অনুভূতি মায়ের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে না পারায় অনেক আফসোস হচ্ছে নিশ্চয়ই?
শামসুন্নাহার: যখন মা মারা যান, তখন খুবই অল্প বয়স ছিল আমার। মায়ের অভাবটা তখন টের পাইনি। বড় হওয়ার পর ধীরে ধীরে তা বুঝতে পেরেছি। যাদের মা নেই, তারাই আসলে কষ্টটা বুঝতে পারবেন। মায়ের অভাব বড় বোন আমাকে বুঝতে দেননি। যা কিছু তাঁর সঙ্গেই ভাগাভাগি করি। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে ভালো লাগছে।
প্রশ্ন: কথায় বলে, দানে দান তিন দান। আপনিও তৃতীয়বারে অধিনায়ক হিসেবে শিরোপা জিতলেন। এই জিততে না পারার আক্ষেপ কতটা ছিল?
শামসুন্নাহার: সবাই একটা কথা বলছিল যে তোমার নেতৃত্বে দুটি শিরোপা হাতছাড়া হয়ে গেছে, এবার এই শিরোপা জিততেই হবে। শিরোপা জয়ের পেছনে আমার যেমন ভূমিকা ছিল, তেমনি বাকিদেরও সমান ভূমিকা ছিল। সবচেয়ে বড় কথা, দেশের মাঠে টুর্নামেন্ট ছিল। দেশের মানুষের জন্য হলেও আমাদের এই শিরোপা ধরে রাখতে হতো। এরপর আমাদের এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ বাছাই পর্ব আছে, কিন্তু সাফে হয়তো আর বয়সভিত্তিক পর্যায়ে খেলতে পারব না। সতীর্থরা আমার জন্য খুব চেষ্টা করেছে এই শিরোপা জিততে। আর এ কারণেই আমরা ট্রফিটা ধরে রাখতে পেরেছি।
প্রশ্ন: বয়সভিত্তিক ফুটবলে আপনার দায়িত্বটা প্রায় শেষের পথে। এরপর নতুন চ্যালেঞ্জ জাতীয় দল। জাতীয় দলে আপনি ইতিমধ্যে খেলছেন। জাতীয় দলে আপনার যে পজিশন, সেখানে সাবিনা খাতুন, সিরাত জাহান স্বপ্নাদের মতো খেলোয়াড় আছেন। জাতীয় দলে নিয়মিত খেলতে পারা, নিজের জায়গা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ কতটা?
শামসুন্নাহার: অবশ্যই চেষ্টা থাকবে জাতীয় দলে নিজের অবস্থান ধরে রাখার। জাতীয় দলে খেলতে পারাটা অনেক গৌরবের। জাতীয় দলে যতবারই সুযোগ পেয়েছি, তা কাজে লাগিয়েছি। আমার চেষ্টাটা করেছি। যদি কারও চেয়ে ভালো করতে পারি, আমাকে খেলাতে হবেই। চেষ্টা থাকবে ভবিষ্যতে আরও ভালো কিছু করার।
প্রশ্ন: জাতীয় দলে প্রতিযোগিতাটা দিন দিন কঠিন হচ্ছে এখন। সেই প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে আনুচিং মগিনি, সাজেদা খাতুনরা ফুটবল ছেড়েছেন। এই টিকে থাকার প্রতিযোগিতা কীভাবে দেখছেন?
শামসুন্নাহার: প্রতিটি অনুশীলন সেশনেই আসলে এটা হচ্ছে। যে ভালো করবে, সে টিকে থাকবে। ফুটবলটাই আসলে এমন। যত দিন পারফর্ম করবেন, আপনি তত দিন খেলতে পারবেন। প্রতিদিনই আমরা লড়াই করছি একে অন্যের সঙ্গে। যত দিন খেলব, এই লড়াইটা করে যাব। মূল দলে সুযোগ পেলেই নিজের সর্বোচ্চটা দেব।
প্রশ্ন: যদি এমন মনে হয়, আর পারছেন না, তখন ভবিষ্যতের চিন্তাটা কী হবে?
শামসুন্নাহার: প্রতিদিনই যে সবার অনুশীলনই ভালো হবে, তা কিন্তু নয়। এমনও দিন আসে, যেদিন রানিংয়ে আমারও মনে হয়, আর পারছি না। দু-এক দিন খারাপ হওয়াটা স্বাভাবিক। অনুশীলনে ঢিলেমি করলেও ম্যাচে গিয়ে তো আপনাকে ভালো করতে হবে। ভবিষ্যতে কী হবে জানি না, ভালো খেলাটাই লক্ষ্য।
প্রশ্ন: শিরোপা জয়ের পর নানা আনুষ্ঠানিকতা আর ব্যস্ততা শেষে হয়তো ক্লান্তি স্পর্শ করেছে। এ ক্লান্তির মাঝেও অনেক বড় প্রাপ্তির অনুভূতিটা কেমন?
শামসুন্নাহার: এমন একটা জয়ের পর সবাই আমাদের যেভাবে সমর্থন করেছেন, সেটা খুব দরকার ছিল। তাঁরা যে সমর্থনটা দিয়েছেন, এত কষ্টের মাঝেও সবাইকে স্মরণ করা উচিত। নিজের কষ্টের মাঝেও তাই তাঁদের কথাটা বলতে চাই।
প্রশ্ন: কষ্ট বলতে, একটু যদি খুলে বলতেন বিষয়টা।
শামসুন্নাহার: ফাইনালে ৯০ মিনিট ম্যাচ খেলেছি। সেই ম্যাচের পর এতটুকুও বিশ্রাম পাইনি। ক্যাম্পে এসে অল্প বিশ্রাম নিয়েই রাতে একটা টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে হয়েছে। ক্যাম্পে ফিরে অনেক রাতে ঘুমিয়েছি। অল্প ঘুম, ভালো হয়নি। সকালে উঠেছি। আজ (গতকাল) শুক্রবার হওয়ায় হাতে ফোন পেয়েছি। অন্য শুক্রবারগুলোয় আমরা পরিবারের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাই। কিন্তু আজ ফোনের সময়টা সবাইকে দিতে হয়েছে। অনেক জায়গায় কথা বলতে হয়েছে। একটু পর ফোন জমা দিয়ে দিতে হবে। পরিবারের সঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব কথা বলতে চাই।
প্রশ্ন: শিরোপা জয়ের পরও একটু নিজেদের মতো সময় কাটানো তো আশা করাই যায়?
শামসুন্নাহার: আমরা একটা নিয়মের মধ্যে চলি। কঠিন নিয়মের মধ্যে থাকতে হয়। সবার জন্যই সেই নিয়ম সমান। যা করার, আমাদের এই সময়ের মধ্যেই করতে হবে।
প্রশ্ন: এত ব্যস্ততার মাঝে তাহলে পরিবারের সঙ্গে কথা বলার সময়ই পাননি?
শামসুন্নাহার: বোন ও দুলাভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। বাবাকে ফোন দিয়েছিলাম, কিন্তু তিনি নামাজে গিয়েছিলেন। এরপর রুম থেকে যে সেই নিচে নেমেছি, কারও সঙ্গেই কথা বলার সুযোগ হয়নি।
প্রশ্ন: অল্প বয়সে মাকে হারিয়েছেন। এমন সুখের একটা অনুভূতি মায়ের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে না পারায় অনেক আফসোস হচ্ছে নিশ্চয়ই?
শামসুন্নাহার: যখন মা মারা যান, তখন খুবই অল্প বয়স ছিল আমার। মায়ের অভাবটা তখন টের পাইনি। বড় হওয়ার পর ধীরে ধীরে তা বুঝতে পেরেছি। যাদের মা নেই, তারাই আসলে কষ্টটা বুঝতে পারবেন। মায়ের অভাব বড় বোন আমাকে বুঝতে দেননি। যা কিছু তাঁর সঙ্গেই ভাগাভাগি করি। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে ভালো লাগছে।
প্রশ্ন: কথায় বলে, দানে দান তিন দান। আপনিও তৃতীয়বারে অধিনায়ক হিসেবে শিরোপা জিতলেন। এই জিততে না পারার আক্ষেপ কতটা ছিল?
শামসুন্নাহার: সবাই একটা কথা বলছিল যে তোমার নেতৃত্বে দুটি শিরোপা হাতছাড়া হয়ে গেছে, এবার এই শিরোপা জিততেই হবে। শিরোপা জয়ের পেছনে আমার যেমন ভূমিকা ছিল, তেমনি বাকিদেরও সমান ভূমিকা ছিল। সবচেয়ে বড় কথা, দেশের মাঠে টুর্নামেন্ট ছিল। দেশের মানুষের জন্য হলেও আমাদের এই শিরোপা ধরে রাখতে হতো। এরপর আমাদের এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ বাছাই পর্ব আছে, কিন্তু সাফে হয়তো আর বয়সভিত্তিক পর্যায়ে খেলতে পারব না। সতীর্থরা আমার জন্য খুব চেষ্টা করেছে এই শিরোপা জিততে। আর এ কারণেই আমরা ট্রফিটা ধরে রাখতে পেরেছি।
প্রশ্ন: বয়সভিত্তিক ফুটবলে আপনার দায়িত্বটা প্রায় শেষের পথে। এরপর নতুন চ্যালেঞ্জ জাতীয় দল। জাতীয় দলে আপনি ইতিমধ্যে খেলছেন। জাতীয় দলে আপনার যে পজিশন, সেখানে সাবিনা খাতুন, সিরাত জাহান স্বপ্নাদের মতো খেলোয়াড় আছেন। জাতীয় দলে নিয়মিত খেলতে পারা, নিজের জায়গা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ কতটা?
শামসুন্নাহার: অবশ্যই চেষ্টা থাকবে জাতীয় দলে নিজের অবস্থান ধরে রাখার। জাতীয় দলে খেলতে পারাটা অনেক গৌরবের। জাতীয় দলে যতবারই সুযোগ পেয়েছি, তা কাজে লাগিয়েছি। আমার চেষ্টাটা করেছি। যদি কারও চেয়ে ভালো করতে পারি, আমাকে খেলাতে হবেই। চেষ্টা থাকবে ভবিষ্যতে আরও ভালো কিছু করার।
প্রশ্ন: জাতীয় দলে প্রতিযোগিতাটা দিন দিন কঠিন হচ্ছে এখন। সেই প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে আনুচিং মগিনি, সাজেদা খাতুনরা ফুটবল ছেড়েছেন। এই টিকে থাকার প্রতিযোগিতা কীভাবে দেখছেন?
শামসুন্নাহার: প্রতিটি অনুশীলন সেশনেই আসলে এটা হচ্ছে। যে ভালো করবে, সে টিকে থাকবে। ফুটবলটাই আসলে এমন। যত দিন পারফর্ম করবেন, আপনি তত দিন খেলতে পারবেন। প্রতিদিনই আমরা লড়াই করছি একে অন্যের সঙ্গে। যত দিন খেলব, এই লড়াইটা করে যাব। মূল দলে সুযোগ পেলেই নিজের সর্বোচ্চটা দেব।
প্রশ্ন: যদি এমন মনে হয়, আর পারছেন না, তখন ভবিষ্যতের চিন্তাটা কী হবে?
শামসুন্নাহার: প্রতিদিনই যে সবার অনুশীলনই ভালো হবে, তা কিন্তু নয়। এমনও দিন আসে, যেদিন রানিংয়ে আমারও মনে হয়, আর পারছি না। দু-এক দিন খারাপ হওয়াটা স্বাভাবিক। অনুশীলনে ঢিলেমি করলেও ম্যাচে গিয়ে তো আপনাকে ভালো করতে হবে। ভবিষ্যতে কী হবে জানি না, ভালো খেলাটাই লক্ষ্য।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে