আবুল আহসান টিটু, ফকিরহাট (বাগেরহাট)
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ঢাকা-খুলনা পুরোনো মহাসড়কে ভৈরব নদের ওপরের ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি সেতুর বেড়া ভেঙে ফেলেছে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা। এখন এই সেতু দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে মানুষ।
ফকিরহাট সদর ও মূলঘর ইউনিয়নের সংযোগকারী সেতুটি দীর্ঘদিন ঝুঁকিপূর্ণ থাকার পর বাগেরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগ এক মাস আগে ব্যারিকেড দিয়ে পথচারী ও যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় এবং বন্ধ বেইলি সেতুটি সওজের পক্ষ থেকে মেরামতের উদ্যোগ না নেওয়ায় এ পথে নিয়মিত যাতায়াতকারী লোকজন গত মঙ্গলবার রাতে বেড়া ভেঙে ফেলে। বুধবার সকাল থেকে আবারও শুরু হয় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার।
উপজেলার পুরোনো ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কাঁঠালতলা মোড়সংলগ্ন ভৈরব নদে গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটি নিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উদাসীনতা রয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। প্রায় তিন যুগ আগে তৈরি সেতুটি ছয় বছর ধরে লোহার পাতের বিভিন্ন স্থানে মরিচা ধরে ভেঙে ও খসে যাওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সেতুটি পার হতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসীর দাবি, সওজ মাঝে মধ্যে দায়সারাভাবে দু-একটি পাত মেরামত করলেও কিছুদিনের মধ্যে তা নষ্ট হয়ে আবার ব্যবহার অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে। সেতুটির পাতগুলো শিডিউল অনুযায়ী দেওয়ার নিয়ম থাকলেও সঠিকভাবে দেওয়া হয় না। এ ক্ষেত্রে ঠিকাদার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ স্থানীয়দের। তাঁরা বলেন, সেতুটি মেরামত না করে গত ১২ ডিসেম্বর বেড়া দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ। এটি মেরামতের কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ব্যারিকেড ভেঙে ফেলেছে।
সেতুসংলগ্ন মূলঘর ইউনিয়নের চরভৈরব গ্রামের বাসিন্দা মো. লতিফ মোল্লা, ভ্যানচালক ফিরোজ আলী, সবজিচাষি কালীদাস বাছাড়সহ অনেকে বলেন, মূলঘর এলাকা থেকে ফকিরহাট সদরে সেতু দিয়ে যাতায়াতের দূরত্ব ১১০ ফুট। অথচ সেটি বন্ধ করায় মানুষকে এক কিলোমিটারের বেশি ঘুরে ফকিরহাট সদরে যেতে হয়।
তা ছাড়া ব্যস্ততম বিশ্বরোড দিয়ে ঘুরে যেতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে। বেইলি সেতুর নিকটবর্তী মূলঘর অংশে একাধিক সরকারি, বেসরকারি স্কুল ও মাদ্রাসা রয়েছে। অন্যদিকে ফকিরহাট সদর এলাকায় একাধিক স্কুল-কলেজের কয়েক শত শিক্ষার্থী এ সেতু দিয়ে যাতায়াত করে।
জানা গেছে, প্রায় তিন যুগ আগে ভৈরব নদীর ওপর ফকিরহাট ও মূলঘর সংযোগকারী বেইলি সেতুটি তৈরি করা হয়। মূলঘর ইউনিয়নসহ আশপাশের এলাকার মানুষ প্রতিদিন এ সেতু দিয়ে ফকিরহাট সদর বাজার, উপজেলা পরিষদ, মডেল থানা, বাগেরহাট ও খুলনা অঞ্চলসমূহে যাতায়াত করেন। বিশেষ করে সেতুটি এসব অঞ্চলের সঙ্গে অন্যতম ব্যবসা কেন্দ্র ফকিরহাট সদর বাজারের যোগসূত্র স্থাপন করে। এসব কারণে সেতুর বেড়া ভেঙে মানুষ ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছে।
ভুক্তভোগী জনসাধারণের মধ্যে বেইলি সেতুটি নিয়ে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। জানা গেছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা বেগম সমস্যা নিরসনে একাধিকবার সওজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তবে প্রয়োজনীয় কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
মূলঘর ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট হিটলার গোলদার বলেন, বেইলি সেতুটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। প্রতি রবি ও বুধবার সাপ্তাহিক হাটে এই সেতু দিয়ে প্রচুর লোকজন ও যানবাহন যাতায়াত করায় চাপ বেড়ে যায়। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বপন দাশ বলেন, সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় পারাপারে ঝুঁকি বেড়েছে। তবে এখানে শিগগিরই কংক্রিটের সেতু নির্মাণ করা হবে।
বাগেরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সাগর সৈকত মণ্ডল বলেন, বেইলি সেতুটি ভেঙে তাঁরা কংক্রিটের সেতু নির্মাণ করবেন। ইতিমধ্যে দরপত্র ও কার্যাদেশ সম্পন্ন হয়েছে। এ সড়কে পর্যায়ক্রমে ১০টি সেতু নির্মাণ করা হবে। ইতিমধ্যে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মাহবুব ব্রাদার্স ফলতিতা এলাকা থেকে ছোট সেতুগুলোর কাজ শুরু করেছে। সেতুর কাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তিনি ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি সেতুটি ব্যবহার না করার জন্য এলাকাবাসীকে অনুরোধ জানান।
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ঢাকা-খুলনা পুরোনো মহাসড়কে ভৈরব নদের ওপরের ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি সেতুর বেড়া ভেঙে ফেলেছে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা। এখন এই সেতু দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে মানুষ।
ফকিরহাট সদর ও মূলঘর ইউনিয়নের সংযোগকারী সেতুটি দীর্ঘদিন ঝুঁকিপূর্ণ থাকার পর বাগেরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগ এক মাস আগে ব্যারিকেড দিয়ে পথচারী ও যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় এবং বন্ধ বেইলি সেতুটি সওজের পক্ষ থেকে মেরামতের উদ্যোগ না নেওয়ায় এ পথে নিয়মিত যাতায়াতকারী লোকজন গত মঙ্গলবার রাতে বেড়া ভেঙে ফেলে। বুধবার সকাল থেকে আবারও শুরু হয় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার।
উপজেলার পুরোনো ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কাঁঠালতলা মোড়সংলগ্ন ভৈরব নদে গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটি নিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উদাসীনতা রয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। প্রায় তিন যুগ আগে তৈরি সেতুটি ছয় বছর ধরে লোহার পাতের বিভিন্ন স্থানে মরিচা ধরে ভেঙে ও খসে যাওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সেতুটি পার হতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসীর দাবি, সওজ মাঝে মধ্যে দায়সারাভাবে দু-একটি পাত মেরামত করলেও কিছুদিনের মধ্যে তা নষ্ট হয়ে আবার ব্যবহার অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে। সেতুটির পাতগুলো শিডিউল অনুযায়ী দেওয়ার নিয়ম থাকলেও সঠিকভাবে দেওয়া হয় না। এ ক্ষেত্রে ঠিকাদার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ স্থানীয়দের। তাঁরা বলেন, সেতুটি মেরামত না করে গত ১২ ডিসেম্বর বেড়া দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ। এটি মেরামতের কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ব্যারিকেড ভেঙে ফেলেছে।
সেতুসংলগ্ন মূলঘর ইউনিয়নের চরভৈরব গ্রামের বাসিন্দা মো. লতিফ মোল্লা, ভ্যানচালক ফিরোজ আলী, সবজিচাষি কালীদাস বাছাড়সহ অনেকে বলেন, মূলঘর এলাকা থেকে ফকিরহাট সদরে সেতু দিয়ে যাতায়াতের দূরত্ব ১১০ ফুট। অথচ সেটি বন্ধ করায় মানুষকে এক কিলোমিটারের বেশি ঘুরে ফকিরহাট সদরে যেতে হয়।
তা ছাড়া ব্যস্ততম বিশ্বরোড দিয়ে ঘুরে যেতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে। বেইলি সেতুর নিকটবর্তী মূলঘর অংশে একাধিক সরকারি, বেসরকারি স্কুল ও মাদ্রাসা রয়েছে। অন্যদিকে ফকিরহাট সদর এলাকায় একাধিক স্কুল-কলেজের কয়েক শত শিক্ষার্থী এ সেতু দিয়ে যাতায়াত করে।
জানা গেছে, প্রায় তিন যুগ আগে ভৈরব নদীর ওপর ফকিরহাট ও মূলঘর সংযোগকারী বেইলি সেতুটি তৈরি করা হয়। মূলঘর ইউনিয়নসহ আশপাশের এলাকার মানুষ প্রতিদিন এ সেতু দিয়ে ফকিরহাট সদর বাজার, উপজেলা পরিষদ, মডেল থানা, বাগেরহাট ও খুলনা অঞ্চলসমূহে যাতায়াত করেন। বিশেষ করে সেতুটি এসব অঞ্চলের সঙ্গে অন্যতম ব্যবসা কেন্দ্র ফকিরহাট সদর বাজারের যোগসূত্র স্থাপন করে। এসব কারণে সেতুর বেড়া ভেঙে মানুষ ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছে।
ভুক্তভোগী জনসাধারণের মধ্যে বেইলি সেতুটি নিয়ে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। জানা গেছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা বেগম সমস্যা নিরসনে একাধিকবার সওজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তবে প্রয়োজনীয় কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
মূলঘর ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট হিটলার গোলদার বলেন, বেইলি সেতুটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। প্রতি রবি ও বুধবার সাপ্তাহিক হাটে এই সেতু দিয়ে প্রচুর লোকজন ও যানবাহন যাতায়াত করায় চাপ বেড়ে যায়। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বপন দাশ বলেন, সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় পারাপারে ঝুঁকি বেড়েছে। তবে এখানে শিগগিরই কংক্রিটের সেতু নির্মাণ করা হবে।
বাগেরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সাগর সৈকত মণ্ডল বলেন, বেইলি সেতুটি ভেঙে তাঁরা কংক্রিটের সেতু নির্মাণ করবেন। ইতিমধ্যে দরপত্র ও কার্যাদেশ সম্পন্ন হয়েছে। এ সড়কে পর্যায়ক্রমে ১০টি সেতু নির্মাণ করা হবে। ইতিমধ্যে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মাহবুব ব্রাদার্স ফলতিতা এলাকা থেকে ছোট সেতুগুলোর কাজ শুরু করেছে। সেতুর কাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তিনি ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি সেতুটি ব্যবহার না করার জন্য এলাকাবাসীকে অনুরোধ জানান।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে