গাজী আব্দুল কুদ্দুস, ডুমুরিয়া
গত ১১ নভেম্বর ডুমুরিয়া উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এ নির্বাচনের ফলাফলে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের চরম ভরাডুবি হয়েছে। ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে মাত্র ২টিতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সামান্য ব্যবধানে জয়লাভ করেছে। এ ছাড়া রুদাঘরা ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী খান শাকুর উদ্দিন ও গুটুদিয়া ইউনিয়নের কাজী আলমগীর জামানত হারিয়েছেন। অর্থাৎ তারা মোট প্রদত্ত ভোটের সাড়ে ৮ শতাংশ ভোটেরও কম পেয়েছেন। দলীয় নেতা-কর্মীদের অসহযোগিতাসহ বেশ কয়েকটি কারণে ডুমুরিয়ায় নৌকার এ ভরাডুবি হয়েছে।
পরাজিত ১২ জনের মধ্যে ৬ জন বর্তমান চেয়ারম্যান রয়েছেন। তথ্যানুসন্ধানে দেখা গেছে, নৌকা প্রতীকের ভরাডুবির অন্যতম কারণ নির্বাচিত চেয়ারম্যানেরা সেবক না হয়ে শাসক হয়েছেন। তৃণমূলে আওয়ামী লীগের শৃঙ্খলা ঘাটতি, সালিস বৈঠকের নামে অর্থ বাণিজ্য, জমি দখল, চাকরির নামে টাকা আত্মসাৎ ইত্যাদি কারণও কাজ করেছে।
এসব কারণে সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে জনপ্রতিনিধিদের দূরত্ব সৃষ্টি হওয়ায় জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। ডুমুরিয়ায় নৌকা প্রতীকের ভরাডুরির নৈপথ্যে আরও কারণ বিদ্রোহী প্রার্থীকে সামাল দিতে পারছে না আওয়ামীলীগ
এর মধ্যে দীর্ঘদিন ক্ষমতার থাকার কারণে দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে সমন্বয়হীনতা সৃষ্টি হয়েছে। নেতাদের মাঝে প্রতিযোগিতার কারণে কর্মীরা বিভক্তি হয়ে পড়েছে। আর এই প্রতিযোগিতা প্রতিহিংসায় রূপ নিয়েছে। দলীয় চেয়ারম্যানেরা শাসক না হয়ে শোষকে পরিণত হয়েছে। নেতাদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তারা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে। একাধিক প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে সরাসরি বা গোপনে হাইকমান্ডের নির্দেশ অমান্য করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছে।
এ ব্যাপারে খর্ণিয়া ইউনিয়ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিম আবেদ বলেন, তার ইউনিয়নে নৌকার ভরাডুবি হয়েছে মূলত দলীয় শৃঙ্খলার অভাবে। জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যক্ষ এবিএম শফিকুল ইসলাম বলেন, আটলিয়া ইউনিয়নে প্রথমে নৌকা আমি পেয়েছিলাম। কিন্তু সাবেক চেয়ারম্যান আমার নাম পরিবর্তন করে তিনি নৌকা প্রতীক এনেছেন। তারপরও আমরা নীরব ছিলাম।
নির্বাচনের মাত্র ৩ দিন আগে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমাকেসহ একাধিক নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করিয়েছে।
এ কারণে তারা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ নেওয়াজ হোসেন জোয়ারদার বলেন, ডুমুরিয়ার ১৪টি ইউনিয়নে নৌকার ভরাডুবির কারণ বিশ্লেষণ করে শেষ করা যাবে না। তবে দলীয় শৃঙ্খলা, কর্মীদের অবমূল্যায়ন ও প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য নৌকা প্রতীকের চরম ভরাডুবি হয়েছে।
এদিকে ডুমুরিয়া উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৬৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৭ জনই জামানত হারিয়েছেন। এদের মধ্যে হাতপাখা প্রতীকে ইসলামি শাসনতন্ত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর ৭ জন এবং নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগ মনোনীত ২ জন প্রার্থী রয়েছেন। অপরদিকে ৩ জন বর্তমান চেয়ারম্যান হ্যাটট্রিক বিজয় অর্জন করেছেন। জামানত হারানো ব্যক্তিদের মধ্যে ২ নং রঘুনাথপুর ইউপির নৌকা প্রতীকের খান সাকুর উদ্দিন ৩ নং রুদাঘরা ইউপির মাহাবুবুল আলম, ৪ নং খর্ণিয়া ইউপির আহম্মদ আলী গাজী, ৫ নং আটলিয়া ইউপির বিএনপি নেতা দৌলত হোসেন, ৬ নং মাগুরাঘোনা ইউপির শফিকুল ইসলাম, আবদুল আজিজ, আব্দুল হালিম, আশরাফুল শেখ এবং শহিদুল ইসলাম। ৮ নং শরাফপুর ইউপির আলমগীর কবির ও ওয়াহিদুজ্জামানেরও একই অবস্থা।
৯ নং সাহস ইউপির মোস্তাফিজুর রহমান, আমিনুর রহমান ও শাহাজালাল মোড়ল, ১০ নং ভান্ডারপাড়া ইউপির বিপুল মন্ডল, ১১ নং ডুমুরিয়া সদর ইউপির আব্দুস সালাম, মাসুদ রানা নান্টু, শেখ রবিউল এবং জাহাঙ্গীর আলম এবং ১২ নং রংপুর ইউপির স্বতন্ত্র আনারস প্রতীকের কাজল বিশ্বাস জামানত হারান।
১৩ নং গুটুদিয়া ইউপির নৌকা প্রতীকের কাজি আলমগীর, হাতপাখা প্রতীকের মোঃ কবির সানা, স্বতন্ত্র ঘোড়া প্রতীকের সুস্মিতা রানি গাইন ও মোটরসাইকেল প্রতীকের কাজী আব্দুল্লাহ জামানত হারিয়েছেন।
গত ১১ নভেম্বর ডুমুরিয়া উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এ নির্বাচনের ফলাফলে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের চরম ভরাডুবি হয়েছে। ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে মাত্র ২টিতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সামান্য ব্যবধানে জয়লাভ করেছে। এ ছাড়া রুদাঘরা ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী খান শাকুর উদ্দিন ও গুটুদিয়া ইউনিয়নের কাজী আলমগীর জামানত হারিয়েছেন। অর্থাৎ তারা মোট প্রদত্ত ভোটের সাড়ে ৮ শতাংশ ভোটেরও কম পেয়েছেন। দলীয় নেতা-কর্মীদের অসহযোগিতাসহ বেশ কয়েকটি কারণে ডুমুরিয়ায় নৌকার এ ভরাডুবি হয়েছে।
পরাজিত ১২ জনের মধ্যে ৬ জন বর্তমান চেয়ারম্যান রয়েছেন। তথ্যানুসন্ধানে দেখা গেছে, নৌকা প্রতীকের ভরাডুবির অন্যতম কারণ নির্বাচিত চেয়ারম্যানেরা সেবক না হয়ে শাসক হয়েছেন। তৃণমূলে আওয়ামী লীগের শৃঙ্খলা ঘাটতি, সালিস বৈঠকের নামে অর্থ বাণিজ্য, জমি দখল, চাকরির নামে টাকা আত্মসাৎ ইত্যাদি কারণও কাজ করেছে।
এসব কারণে সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে জনপ্রতিনিধিদের দূরত্ব সৃষ্টি হওয়ায় জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। ডুমুরিয়ায় নৌকা প্রতীকের ভরাডুরির নৈপথ্যে আরও কারণ বিদ্রোহী প্রার্থীকে সামাল দিতে পারছে না আওয়ামীলীগ
এর মধ্যে দীর্ঘদিন ক্ষমতার থাকার কারণে দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে সমন্বয়হীনতা সৃষ্টি হয়েছে। নেতাদের মাঝে প্রতিযোগিতার কারণে কর্মীরা বিভক্তি হয়ে পড়েছে। আর এই প্রতিযোগিতা প্রতিহিংসায় রূপ নিয়েছে। দলীয় চেয়ারম্যানেরা শাসক না হয়ে শোষকে পরিণত হয়েছে। নেতাদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তারা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে। একাধিক প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে সরাসরি বা গোপনে হাইকমান্ডের নির্দেশ অমান্য করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছে।
এ ব্যাপারে খর্ণিয়া ইউনিয়ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিম আবেদ বলেন, তার ইউনিয়নে নৌকার ভরাডুবি হয়েছে মূলত দলীয় শৃঙ্খলার অভাবে। জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যক্ষ এবিএম শফিকুল ইসলাম বলেন, আটলিয়া ইউনিয়নে প্রথমে নৌকা আমি পেয়েছিলাম। কিন্তু সাবেক চেয়ারম্যান আমার নাম পরিবর্তন করে তিনি নৌকা প্রতীক এনেছেন। তারপরও আমরা নীরব ছিলাম।
নির্বাচনের মাত্র ৩ দিন আগে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমাকেসহ একাধিক নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করিয়েছে।
এ কারণে তারা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ নেওয়াজ হোসেন জোয়ারদার বলেন, ডুমুরিয়ার ১৪টি ইউনিয়নে নৌকার ভরাডুবির কারণ বিশ্লেষণ করে শেষ করা যাবে না। তবে দলীয় শৃঙ্খলা, কর্মীদের অবমূল্যায়ন ও প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য নৌকা প্রতীকের চরম ভরাডুবি হয়েছে।
এদিকে ডুমুরিয়া উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৬৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৭ জনই জামানত হারিয়েছেন। এদের মধ্যে হাতপাখা প্রতীকে ইসলামি শাসনতন্ত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর ৭ জন এবং নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগ মনোনীত ২ জন প্রার্থী রয়েছেন। অপরদিকে ৩ জন বর্তমান চেয়ারম্যান হ্যাটট্রিক বিজয় অর্জন করেছেন। জামানত হারানো ব্যক্তিদের মধ্যে ২ নং রঘুনাথপুর ইউপির নৌকা প্রতীকের খান সাকুর উদ্দিন ৩ নং রুদাঘরা ইউপির মাহাবুবুল আলম, ৪ নং খর্ণিয়া ইউপির আহম্মদ আলী গাজী, ৫ নং আটলিয়া ইউপির বিএনপি নেতা দৌলত হোসেন, ৬ নং মাগুরাঘোনা ইউপির শফিকুল ইসলাম, আবদুল আজিজ, আব্দুল হালিম, আশরাফুল শেখ এবং শহিদুল ইসলাম। ৮ নং শরাফপুর ইউপির আলমগীর কবির ও ওয়াহিদুজ্জামানেরও একই অবস্থা।
৯ নং সাহস ইউপির মোস্তাফিজুর রহমান, আমিনুর রহমান ও শাহাজালাল মোড়ল, ১০ নং ভান্ডারপাড়া ইউপির বিপুল মন্ডল, ১১ নং ডুমুরিয়া সদর ইউপির আব্দুস সালাম, মাসুদ রানা নান্টু, শেখ রবিউল এবং জাহাঙ্গীর আলম এবং ১২ নং রংপুর ইউপির স্বতন্ত্র আনারস প্রতীকের কাজল বিশ্বাস জামানত হারান।
১৩ নং গুটুদিয়া ইউপির নৌকা প্রতীকের কাজি আলমগীর, হাতপাখা প্রতীকের মোঃ কবির সানা, স্বতন্ত্র ঘোড়া প্রতীকের সুস্মিতা রানি গাইন ও মোটরসাইকেল প্রতীকের কাজী আব্দুল্লাহ জামানত হারিয়েছেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৯ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪