পরীক্ষা ছাড়াই পশু জবাই

চারঘাট প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ ডিসেম্বর ২০২১, ০৬: ৪৪
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২১, ০৯: ৪৭

চারঘাটে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসকের ছাড়পত্র ছাড়াই বাজারগুলোতে গবাদিপশু জবাই করে মাংস বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জবাই করা পশুর শরীরে কোনো রোগ-বালাই রয়েছে কি না এমন কোনো ধারণা নেই ক্রেতা-বিক্রেতাদের।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৌরসভা এলাকায় প্রতিদিন অন্তত চারটি গরু ও দুটি ছাগল জবাই করা হয়। বুধবার ও শনিবার সাপ্তাহিক হাট বসে। হাটের দিনে জবাই করা পশুর সংখ্যা আরও বেড়ে যায়। প্রতিটি গবাদিপশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার দায়িত্বে একজন চিকিৎসক থাকার কথা।

সম্প্রতি চারঘাটের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কয়েকটি বাজারে ব্যবসায়ীরা গরু, মহিষ ও ছাগল জবাই করে মাংস বিক্রি করছেন।

নন্দনগাছী বাজারের সেলিম রেজা নামে একজন ক্রেতা বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী, পশু জবাই করার আগে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ছাড়পত্র এবং পশুর শরীরে সিল দেবেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের রোগ নির্ণয়ে কোনো ধরনের তদারকি না থাকার ফলে সাধারণ ক্রেতারা ভেজালমুক্ত মাংস কেনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’

পৌর শহরের বাসিন্দা তোফায়েল বলেন, ‘লোকজন মারা যাওয়া গরুর মাংস খাচ্ছে নাকি রোগাক্রান্ত গরু-মহিষের মাংস খাচ্ছে, তা বোঝার কোনো উপায় নেই। তারপরও এ মাংস কেনা ছাড়া উপায় নেই।’

গবাদিপশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কোনো ছাড়পত্র আছে কি নেই-এমন প্রশ্নের জবাবে মাংস ব্যবসায়ী হেফাজ উদ্দীন বলেন, ‘বেশির ভাগ গরু ভালো থাকায় ছাড়পত্র নেওয়া হয় না।’ তবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করলেও পৌরসভার কর্মচারীরা এসে মাঝে মাঝে পশুর গায়ে সিল মেরে যায় বলে জানান তিনি।

চারঘাট উপজেলা স্যানিটারি কর্মকর্তা আফজাল হোসেন বলেন, ‘আমরা কিছুদিন পর পর বাজার তদারকি করে থাকি। গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্রাণিসম্পদ অফিসের কাজ। এ ব্যাপারে মাংস বিক্রেতাদের আমরা শুধু বোঝাতে পারি।’

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান বলেন, ‘প্রতিদিন পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার মতো জনবল আমাদের নেই। তবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়া গবাদিপশুর মাংস খাওয়া ঠিক না। স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা ও ছাড়পত্র দেওয়া পৌরসভার কাজ।’

চারঘাট পৌরসচিব রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের গবাদিপশু পরীক্ষার জন্য নিজস্ব কোনো জনবল ও শেডঘর নেই। এ জন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় না।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত