Ajker Patrika

প্রত্যাবর্তন, না পরিবর্তন

মারুফ কিবরিয়া, ঢাকা
আপডেট : ১৬ জানুয়ারি ২০২২, ০৯: ৪৬
প্রত্যাবর্তন, না পরিবর্তন

২৮ ডিসেম্বর থেকে ১৪ জানুয়ারি। ১৮ দিনের এক যাত্রা। এ যাত্রা এক লড়াইয়ের পূর্বপ্রস্তুতির। সেই লড়াই শুধু প্রার্থীদের জয়-পরাজয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, তার চেয়ে বড় দায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রত্যেক ভোটারের নিজের ভোটটি দেওয়ার অধিকার নিশ্চিত করা, যা নারায়ণগঞ্জের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে গত ১৮ দিন মেয়র পদে নিজেদের কথা তুলে ধরেছেন সাত প্রার্থী। তবে সব ছাপিয়ে বারবার আলোচনায় এসেছেন দুজন—আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং বিএনপির পদ হারানো স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার। টানা তিনবারের মেয়রের দায়িত্ব পালন করা আইভীর কাছে আজকের চূড়ান্ত লড়াই ভাবমূর্তি আর ধারাবাহিকতা রক্ষার। তবে ‘চাচা’ তৈমুরের কাছে তা ‘পরিবর্তন’-এর।

শুরু থেকে সুষ্ঠু পরিবেশ থাকলেও শেষ দিকে এসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধরপাকড়ে শঙ্কার কথা বলেছেন প্রার্থীরা। নারায়ণগঞ্জের সুশীল ব্যক্তিরাও বলেছেন একই কথা। তবে আইভী শেষ দিন পর্যন্ত অনেকটা নির্ভার ছিলেন। একইভাবে নির্ভার বিপক্ষকে হারাতে আত্মবিশ্বাসী তৈমুর। শেষ হাসি কে হাসবেন, কার হাতে আগামী পাঁচ বছর নাসিকের দায়িত্ব থাকবে, তা আজ জানিয়ে দেবেন নারায়ণগঞ্জবাসী।

আজ সকাল আটটা থেকে ভোট শুরু হবে। চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত। এই সময়ে প্রার্থীরা সহিংসতার আশঙ্কা করলেও রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার তেমনটা মনে করছেন না। তিনি বলেন, ভোটাররা স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে কেন্দ্রে আসবেন। উৎসবমুখর, শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে ভোট দেবেন। ভোট শেষে নিরাপদে ফিরে যাবেন।

সুষ্ঠু ভোটের স্বার্থে আজ নারায়ণগঞ্জে বহিরাগতদের চলতে দেবে না বলে জানিয়েছে পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার মো. জায়েদুল ইসলাম বলেন, ‘কোনো বহিরাগতকে আমরা ভোটের দিন নারায়ণগঞ্জে প্রবেশ করতে দেব না। প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় পুলিশের মোবাইল টিম থাকবে, চেকপোস্ট থাকবে, জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে মানুষকে চলাচল করতে দেওয়া হবে।’ তিনি ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সবাইকে অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে বের হওয়ার অনুরোধ করেন।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রস্তুতি
নাসিক নির্বাচনে ১৯২টি ভোটকেন্দ্রে ও কেন্দ্রের বাইরে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাঁচ হাজারের বেশি সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। প্রতি কেন্দ্রে থাকবেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ২৬ সদস্য। নির্বাচন কমিশন জানায়, ১৯২টি ভোটকেন্দ্রের প্রতিটিতে একজন এসআইয়ের নেতৃত্বে পাঁচজন পুলিশ সদস্য থাকবেন। এ ছাড়া আটজন পুরুষ ও চারজন নারী আনসার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। পুলিশের ২৭টি ইউনিট স্ট্রাইকিং ফোর্স ছাড়াও মোবাইল টিম থাকবে ৬৪টি। এ ছাড়া র‍্যাবের স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে তিনটি, চেকপোস্ট থাকবে ছয়টি, টহল টিম থাকবে সাতটি ও স্ট্যাটিক টিম থাকবে দুটি। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ১৪ প্লাটুন সদস্য থাকবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গণপিটুনিতে নিহত জামায়াত কর্মী নেজাম ও তাঁর বাহিনী গুলি ছোড়ে, মিলেছে বিদেশি পিস্তল: পুলিশ

এক ছাতায় সব নাগরিক সেবা

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত