জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার প্রভাব কলা-পাউরুটিতেও

নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২০ আগস্ট ২০২২, ০৬: ২৭
আপডেট : ২০ আগস্ট ২০২২, ১৩: ০০

পাউরুটি ও একটি কলা দিয়ে ১০ টাকার মধ্যে দুপুরের খাবার সেরে নিতেন রিকশাচালক বকুল শেখ। এখন পাঁচ টাকার কোনো পাউরুটি নেই। কলার দাম বেড়ে হয়েছে ৮ টাকা। বকুল শেখের মতো নাটোর শহরে দিন এনে দিন খাওয়া মানুষ ১০ টাকার খাবার এখন ১৫ থেকে ১৮ টাকায় কিনে খান। শুধু জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে জীবনযাত্রার খরচ এতটা বেড়ে যাবে, তা কল্পনাও করেননি কেউ।

শুধু কলা-পাউরুটি নয়, মধ্যবিত্তের নাশতা হিসেবে পরিচিত শিঙাড়া, ডালপুরি, পেঁয়াজুর দামও বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। নাটোর শহরের কোনো দোকানেই আর পাঁচ টাকার শিঙাড়া, ডালপুরি ও পেঁয়াজু নেই। এক লাফে এই তিনটি খাবার পাঁচ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১০ টাকা। পাঁচ টাকার আলুর শিঙাড়া ১০ টাকা, সাত টাকার ডিমের শিঙাড়া ১৫ টাকা ও ১০ টাকার কলিজা শিঙাড়া ২০ টাকা।

নাটোর শহরের ব্যস্ততম এলাকা পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মাস দু-এক আগেও চারটি খাবারের দোকান ছিল। দিনের যেকোনো সময় পথচারীরা দোকান থেকে প্রয়োজনীয় খাবার কিনতেন। কিন্তু হঠাৎ এসব ভ্রাম্যমাণ দোকান বন্ধ করে দেন দোকানিরা। এ ছাড়া হকার্স মার্কেটের ভেতরে একটি ছোট হোটেলে অনেকে আসতেন খাবার খেতে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পরদিন থেকে সেই হোটেলেও বেড়ে যায় খাবারের দাম।

রিকশাচালক সোলাইমান আলী বলেন, ‘সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রিকশা চালান তিনি। দুপুর ১২টার দিকে একবার ১০ টাকার মধ্যে একটা কলা-পাউরুটি খেতাম। রাতে বাসায় গিয়ে ভাত খেতাম। এখন ১০ টাকায় পাউরুটি কিনলে কলা কেনা যায় না। এই হচ্ছে অবস্থা।’

চা বিক্রেতা মজনু মিয়া বলেন, আগে পাঁচ টাকায় একটা সাগর কলা বা অনুপম কলা পাওয়া যেত। অনুপম কলা বাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে। এতে সাগর কলার ওপর চাপ পড়েছে। তাই পাঁচ টাকার কলাও এখন সাত টাকা।

এদিকে ভাতের হোটেলগুলোতে বেড়েছে সব ধরনের রান্না করা খাবারের দাম। ১৫ থেকে ২০ টাকার এক প্লেট ভাতের দাম বর্তমানে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিমের তরকারিও বেড়ে হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। এ ছাড়া মুরগির মাংস ১২০ ও খাসি ১৩০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে।

আবুল কালাম নামের এক ভোক্তা জানান, সম্প্রতি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে দৈনন্দিন খরচ প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। নির্দিষ্ট আয়ে সংসার চালাতে গিয়ে পারিবারিক অন্য খরচ কমাতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু এভাবে আর কত দিন চলা যায়?

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের জেলা সভাপতি রইস উদ্দিন বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার সঙ্গে কলা, পাউরুটি ও ডিমের দাম বাড়ার কোনো সম্পর্ক নেই। জ্বালানির জন্য পরিবহন ব্যয় যে অনুপাতে বাড়ছে, তার চেয়ে কয়েক গুণ বেড়েছে পণ্যের দাম। সবাই যদি জ্বালানির দাম ভোক্তার কাছ থেকে তুলতে চায়, এটা তো হতে পারে না। এর জন্য মনিটরিং দরকার।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত