গেজেটভুক্ত হচ্ছে হাতি চলাচলের ১২ করিডর

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
প্রকাশ : ০২ মার্চ ২০২২, ০৬: ৩৪
আপডেট : ০২ মার্চ ২০২২, ১৮: ৫৬

অবশেষে হাতির করিডর (চলাচলের পথ) রক্ষায় উদ্যোগী হয়েছে বন সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) হাতির চলাচলের পথ চিহ্নিত করার পাঁচ বছর পর অবশেষে ওই ১২টি করিডর গেজেট আকারে সংরক্ষণ করার উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি।

এ জন্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বন বিভাগের অধীনে থাকা ১২টি করিডরের জায়গা চিহ্নিত করতে মাঠে নামছে বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ চট্টগ্রামের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা একটি চিঠি পেয়েছি। ওই চিঠিতে করিডরগুলোর দাগ, খতিয়ান, কী পরিমাণ জায়গা আছে এসব তথ্য চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি করিডরের ওই জায়গাগুলোর মালিকানায় কারা আছেন এসব তথ্য দিতে বলা হয়েছে। এ জন্য একটি কমিটি করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে আমরা (কমিটি) একটা মিটিং করবো। এরপরই মাঠ পর্যায় থেকে এসব তথ্য সংগ্রহ করা শুরু হবে।’

২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মাঠ পর্যায়ে জরিপ করে হাতির ১২টি করিডরের সন্ধান পায় আইইউসিএন। কিন্তু এসব করিডর সংরক্ষণ না করায় হাতির চলাচল পথে মানুষ বসতিসহ নানা ধরনের স্থাপনা তৈরি করে। সংরক্ষণের অভাবে এই ১২টি করিডরের মধ্যে বেশ কয়েকটি ইতিমধ্যে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।

১২টি করিডরের মধ্যে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের অধীনে থাকা উখিয়া-ঘুমধুম, পানেরছড়া-তুলাবাগান ও নাইক্ষ্যংছড়ি-রাজারকুল করিডর দিয়ে উখিয়া-টেকনাফ ও রামুর বনভূমির হাতিগুলো বান্দরবান ও মিয়ানমারে চলাচল করতো। ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা সংকট শুরু হওয়ার পর উখিয়া-ঘুমধুম করিডরটি একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। রামুতে বিশাল জায়গা বরাদ্দ নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট তৈরির কারণে তুলাবাগান-পানেরছড়া করিডরটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর এই কারণে হাতির চলাচল পথগুলো ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় সম্প্রতি বেড়েছে হাতি-মানুষের সংঘর্ষ।

এক বন থেকে অন্য বনে যেতে না পেরে হাতি চলে আসছে লোকালয়ে। আর তাতে ঘটছে প্রাণহানি। গত তিন বছরে হাতির আক্রমণে মারা গেছে ২৪ জন। অন্যদিকে একই সময়ে ৪৪টি হাতি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় হাতির চলাচল পথ সংরক্ষণের দাবি উঠে। সম্প্রতি এই ১২টি করিডর সংরক্ষণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করেন হাতি নিয়ে কাজ করা ঢাকার তিন বাসিন্দা। গত ২১ নভেম্বর করা ওই রিটে করিডরগুলো সরকারি প্রজ্ঞাপন দিয়ে গেজেটভুক্ত করতেও আদেশ চাওয়া হয়।

বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক মোল্যা রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আইইউসিএন তাদের মাঠ পর্যায়ের জরিপে হাতির যে ১২টি করিডরের তথ্য দিয়েছিল আমরা ওই ১২টি করিডর গেজেটভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছি।’ আদালতের নির্দেশনার পর এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি চাকরিজীবীরা সম্পদের হিসাব না দিলে যেসব শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন

শেখ হাসিনাকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে এম সাখাওয়াতের বিস্ফোরক মন্তব্য, কী বলেছেন এই উপদেষ্টা

শিক্ষকের নতুন ২০ হাজার পদ, প্রাথমিকে আসছে বড় পরিবর্তন

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতাকে অতিথি করায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

শ্রীপুরে পিকনিকের বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু, আহত ৩

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত