শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
দেশের বহুল পরিচিত ও আলোচিত নৌরুট মাদারীপুরের শিবচরের বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুট। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষকে যোগাযোগের জন্য এই রুট ব্যবহার করতে হতো। নৌরুটের এই ঘাট নিয়ে অসংখ্য তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের। ২০১৪ সালের ৪ আগস্ট এই নৌরুটেই ডুবেছিল পিনাক-৬ নামের একটি লঞ্চ। এ ছাড়া স্পিডবোট ডুবির অসংখ্য ঘটনা রয়েছে এই নৌরুটে।
নৌ পারাপারে ব্যস্ত থাকত দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার করিডর খ্যাত এই নৌরুট। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে গুরুত্ব কমে আসতে শুরু করে ঘাটটির। রাজধানী ঢাকায় যেতে এখন আর নৌযানের প্রয়োজন নেই। তাই প্রয়োজনহীন বাংলাবাজার ঘাট।
জানা গেছে, পদ্মা সেতু চালুর আগে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগের অন্যতম নৌপথ ছিল মাদারীপুরের কাওড়াকান্দি ও মুন্সিগঞ্জের মাওয়া নৌরুট। পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হলে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া থেকে ঘাট সরিয়ে শিমুলিয়ায় নিয়ে আসা হয়। এরপর দূরত্ব কমাতে শিবচরের কাওড়াকান্দি থেকে ঘাট সরিয়ে কাঁঠালবাড়ীতে নেওয়া হয়। পরে পদ্মা সেতুর নদীশাসনকাজের জন্য কাঁঠালবাড়ী থেকে ঘাট সরিয়ে বাংলাবাজারে স্থানান্তর করা হয়। পদ্মা সেতু চালুর আগে বাংলাবাজারেই ছিল আলোচিত ঘাটটি। ঘাটকে কেন্দ্র করে এই এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকার শত শত মানুষের কর্মসংস্থান ছিল। ছিল নানা ধরনের দোকানপাট। বাংলাবাজার ঘাটে লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাটের জন্য যানবাহন রাখার একটি টার্মিনাল এবং চারটি ফেরিঘাটের জন্য ছিল বড় চারটি টার্মিনাল। খাবার হোটেলসহ ঘাট এলাকাতে ছোট-বড় দোকানপাট ছিল ৫ শতাধিক। পদ্মা সেতু চালুর পর এসব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হতে শুরু করে।
২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন হলে এরপর ঘাট বন্ধ হয়ে যায়। অনেকটা হঠাৎ করেই স্তিমিত হয়ে আসে বাংলাবাজার ঘাট। অলস পড়ে থাকে নৌরুটের ৮৭টি লঞ্চ এবং দেড় শতাধিক স্পিডবোট। দেশের অন্য নৌরুটে নিয়ে যাওয়া হয় ফেরি।
বাংলাবাজার ঘাটের হোটেল ব্যবসায়ী মো. ওমর বলেন, ‘সেতু চালু হওয়ার পর ঘাট বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে মানুষের চলাচলও বন্ধ হয়ে আসে। আমাদের ব্যবসায়ও বন্ধ এখন। কেউ কেউ আশপাশের বাজারে দোকানপাটের ব্যবস্থা করলেও অনেকেই এখন বেকার হয়ে পড়েছেন।’
ঘাট এলাকার বাসিন্দারা বলেন, ‘ঘাট এলাকা বন্ধ হওয়ার পর ব্যবসায়িকভাবে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তবে পরিবেশগত দিক নিয়ে বর্তমানে বেশ ভালো আছে এই এলাকা। ধুলাবালি নেই। গাড়ির হর্নের বিরক্তিকর শব্দ নেই।’
কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহসেন উদ্দীন সোহেল ব্যাপারী জানান, ‘এখন বিকেলে ভ্রমণপ্রেমীদের পদ্মার পাড়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। পদ্মা সেতু ঘিরে এই এলাকায় ধীরে ধীরে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে উঠবে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসন থেকে পর্যটনের অংশ হিসেবে বেশ কিছু ভ্রমণতরির ব্যবস্থা করা হয়েছে পদ্মায়। স্থানীয় জেলেরা এসব নৌকা চালান। বিভিন্ন স্থান থেকে ঘুরতে আসা মানুষেরা নৌকায় করে ঘুরতে পারেন এখানে।’শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিবুল ইসলাম বলেন, পদ্মাসেতু চালুর পর স্বাভাবিকভাবে ঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। এই ঘাট এলাকায় সরকারিভাবে কী করা হবে তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। এখন কী অবস্থায় আছে তা জানা নেই।
দেশের বহুল পরিচিত ও আলোচিত নৌরুট মাদারীপুরের শিবচরের বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুট। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষকে যোগাযোগের জন্য এই রুট ব্যবহার করতে হতো। নৌরুটের এই ঘাট নিয়ে অসংখ্য তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের। ২০১৪ সালের ৪ আগস্ট এই নৌরুটেই ডুবেছিল পিনাক-৬ নামের একটি লঞ্চ। এ ছাড়া স্পিডবোট ডুবির অসংখ্য ঘটনা রয়েছে এই নৌরুটে।
নৌ পারাপারে ব্যস্ত থাকত দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার করিডর খ্যাত এই নৌরুট। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে গুরুত্ব কমে আসতে শুরু করে ঘাটটির। রাজধানী ঢাকায় যেতে এখন আর নৌযানের প্রয়োজন নেই। তাই প্রয়োজনহীন বাংলাবাজার ঘাট।
জানা গেছে, পদ্মা সেতু চালুর আগে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগের অন্যতম নৌপথ ছিল মাদারীপুরের কাওড়াকান্দি ও মুন্সিগঞ্জের মাওয়া নৌরুট। পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হলে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া থেকে ঘাট সরিয়ে শিমুলিয়ায় নিয়ে আসা হয়। এরপর দূরত্ব কমাতে শিবচরের কাওড়াকান্দি থেকে ঘাট সরিয়ে কাঁঠালবাড়ীতে নেওয়া হয়। পরে পদ্মা সেতুর নদীশাসনকাজের জন্য কাঁঠালবাড়ী থেকে ঘাট সরিয়ে বাংলাবাজারে স্থানান্তর করা হয়। পদ্মা সেতু চালুর আগে বাংলাবাজারেই ছিল আলোচিত ঘাটটি। ঘাটকে কেন্দ্র করে এই এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকার শত শত মানুষের কর্মসংস্থান ছিল। ছিল নানা ধরনের দোকানপাট। বাংলাবাজার ঘাটে লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাটের জন্য যানবাহন রাখার একটি টার্মিনাল এবং চারটি ফেরিঘাটের জন্য ছিল বড় চারটি টার্মিনাল। খাবার হোটেলসহ ঘাট এলাকাতে ছোট-বড় দোকানপাট ছিল ৫ শতাধিক। পদ্মা সেতু চালুর পর এসব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হতে শুরু করে।
২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন হলে এরপর ঘাট বন্ধ হয়ে যায়। অনেকটা হঠাৎ করেই স্তিমিত হয়ে আসে বাংলাবাজার ঘাট। অলস পড়ে থাকে নৌরুটের ৮৭টি লঞ্চ এবং দেড় শতাধিক স্পিডবোট। দেশের অন্য নৌরুটে নিয়ে যাওয়া হয় ফেরি।
বাংলাবাজার ঘাটের হোটেল ব্যবসায়ী মো. ওমর বলেন, ‘সেতু চালু হওয়ার পর ঘাট বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে মানুষের চলাচলও বন্ধ হয়ে আসে। আমাদের ব্যবসায়ও বন্ধ এখন। কেউ কেউ আশপাশের বাজারে দোকানপাটের ব্যবস্থা করলেও অনেকেই এখন বেকার হয়ে পড়েছেন।’
ঘাট এলাকার বাসিন্দারা বলেন, ‘ঘাট এলাকা বন্ধ হওয়ার পর ব্যবসায়িকভাবে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তবে পরিবেশগত দিক নিয়ে বর্তমানে বেশ ভালো আছে এই এলাকা। ধুলাবালি নেই। গাড়ির হর্নের বিরক্তিকর শব্দ নেই।’
কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহসেন উদ্দীন সোহেল ব্যাপারী জানান, ‘এখন বিকেলে ভ্রমণপ্রেমীদের পদ্মার পাড়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। পদ্মা সেতু ঘিরে এই এলাকায় ধীরে ধীরে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে উঠবে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসন থেকে পর্যটনের অংশ হিসেবে বেশ কিছু ভ্রমণতরির ব্যবস্থা করা হয়েছে পদ্মায়। স্থানীয় জেলেরা এসব নৌকা চালান। বিভিন্ন স্থান থেকে ঘুরতে আসা মানুষেরা নৌকায় করে ঘুরতে পারেন এখানে।’শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিবুল ইসলাম বলেন, পদ্মাসেতু চালুর পর স্বাভাবিকভাবে ঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। এই ঘাট এলাকায় সরকারিভাবে কী করা হবে তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। এখন কী অবস্থায় আছে তা জানা নেই।
১০ বছর ধরে নিজের আত্মজীবনী লিখেছেন বরেণ্য অভিনেতা, নাট্যকার ও নির্মাতা আবুল হায়াত। নাম দিয়েছেন ‘রবি পথ’। অবশেষে প্রকাশ হচ্ছে তাঁর আত্মজীবনী। আগামী ২ নভেম্বর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজন করা হয়েছে রবি পথের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান।
৩ ঘণ্টা আগেপর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে