বিদ্যালয়ে শিক্ষক মাত্র একজন

কুড়িগ্রাম ও চিলমারী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৭ আগস্ট ২০২২, ০৬: ৩৪
আপডেট : ০৭ আগস্ট ২০২২, ১৩: ৫৫

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার অষ্টমীরচর ইউনিয়নের দক্ষিণ নটারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ২১৫ জন। ৬ জন শিক্ষকের পদ থাকলেও ৩ মাস ধরে একজন শিক্ষক পাঠদান করছেন। এতে ঠিকমতো পাঠদান না চলায় অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসছে না।

স্থানীয় প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ বিষয়টি অবগত থাকলেও বিদ্যালয়টিতে শিক্ষক পদায়নের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকা একমাত্র সহকারী শিক্ষক রোজিনা খাতুন।

বিদ্যালয় সূত্র জানায়, ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় দক্ষিণ নটারকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এটি ২০১৩ সালে জাতীয়করণ হয়। ওই সময় বিদ্যালয়টিতে পাঁচজন শিক্ষক কর্মরত ছিলেন। ২০১৯ সালের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় বিদ্যালয়টি থেকে তিনজন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ অর্জন করে। এরপর একে একে অন্য শিক্ষকেরা অবসরে গেলে শিক্ষার্থীরা পাঠগ্রহণ থেকে বঞ্চিত হতে থাকে। এক বছর আগে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষক ছিলেন দুজন। সর্বশেষ চলতি বছরের মে মাসে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অবসরে গেলে বর্তমান সহকারী শিক্ষক রোজিনা খাতুন একমাত্র শিক্ষক হিসেবে পাঠদান চালিয়ে আসছেন। সংকট সামাল দিতে স্থানীয় একজনকে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে পাঠদানে সংযুক্ত করা হলেও তাঁকে কোনো পারিশ্রমিক দেওয়া হয় না।

শিক্ষার্থীরা জানায়, শিক্ষক না থাকায় সব বিষয়ে পাঠদান হয় না। মাঝে মাঝে কোনো পাঠদানই হয় না। তখন সবাই বাড়িতে চলে যায়। ঠিকমতো পাঠদান না চলায় অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে দিয়েছে।

মোহাম্মদ আলী নামের এক অভিভাবক বলেন, ‘শিক্ষক না থাকায় স্কুলে আর আগের মতো ক্লাস হয় না। এ জন্য ছেলেমেয়েরাও আসতে চায় না। এভাবে চলতে থাকলে ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যাবে।’

প্রতিষ্ঠানের একমাত্র সহকারী শিক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রোজিনা খাতুন বলেন, ‘শিক্ষক হিসেবে আমি একাই রয়েছি। স্থানীয় একজনকে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে নিয়েছি। কিন্তু এরপরও সামাল দেওয়া যায় না। এক ক্লাসে বাচ্চাদের কিছু একটা লিখতে দিয়ে আরেক ক্লাসে যেতে হয়।’

বিষয়টি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ অবগত রয়েছে জানিয়ে ওই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘চলমান শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হলে শিক্ষক দেওয়া হবে বলে আমাকে আশ্বস্ত করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সালেহ বলেন, ‘ওই স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ দিতে আরও কয়েক মাস সময় লেগে যেতে পারে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত