টায়ার পুড়িয়ে তেল তৈরি বন্ধের দাবি এলাকাবাসীর

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৩ অক্টোবর ২০২২, ১৩: ২৯

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে পাহাড়ের পাদদেশ-সংলগ্ন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা টায়ার পুড়িয়ে কালো তেল তৈরির কারখানা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন তিনটি এলাকার ভুক্তভোগী স্থানীয়রা।

প্রকৃতি ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এ কালো তেলের কারখানা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহাদাত হোসেনের বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, রাজু, জহির আহাম্মদসহ বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি পাহাড়ের পাদদেশ-সংলগ্ন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় অবৈধভাবে টায়ার পুড়িয়ে কালো তেল তৈরির কারখানা গড়ে তোলেন। কারখানাটির কালো ধোঁয়া ও বিষাক্ত গ্যাসের গন্ধে পরিবেশ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হচ্ছেন স্থানীয়রা।

বিষাক্ত ধোঁয়ার কারণে তিন এলাকার গাছে ফল ধরছে না। অন্যদিকে পাহাড় থেকে নেমে আসা ঝরনার পানিতে বিষাক্ত বর্জ্য ফেলায় ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। ভোগান্তি থেকে রেহাই পেতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতিকার না পেলে কারখানাটি বন্ধে দাবিতে মানববন্ধনসহ নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করবেন স্থানীয়রা।

উপজেলার ভায়েরখীল এলাকার বাসিন্দা রফিক উদ্দিন ছিদ্দিকী বলেন, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাতে অবৈধ এ কারখানা পরিচালিত হয়। বিষাক্ত ধোঁয়ায় ফসলের ক্ষতির পাশাপাশি পেটব্যথা, বমি, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হচ্ছে এলাকাবাসীর। এর আগে এলাকাবাসীর দাবির ভিত্তিতে কারখানাটি বন্ধে চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়েছিল। অভিযানকালে কারখানাটি সিলগালা করার পাশাপাশি অবৈধ কারখানা গড়ে তুলতে জমি ভাড়া দেওয়ায় খাইরুল বশর চৌধুরী নামের জমির মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযানের পর মাসখানেক কারখানাটি বন্ধ থাকায় এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফেরে। তবে এরপর আবার রাতের আঁধারে কারখানাটিতে টায়ার পুড়িয়ে কালো তেল তৈরি শুরু হয়।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর অভিযোগপত্রটি তিনি পেয়েছেন। জনবসতিপূর্ণ এলাকায় এ ধরনের কারখানা থাকা কোনোমতেই সমীচীন নয়। কারখানাটি বন্ধে এর আগেও অভিযান চালানো হয়েছিল। শিগগিরই অভিযান চালিয়ে কারখানাটি স্থায়ীভাবে সিলগালা করা হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত