আবুল আহসান টিটু, ফকিরহাট (বাগেরহাট)
অরগানিক পদ্ধতিতে ক্ষীরা চাষ করে লাভবান হয়েছেন বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার চাষিরা। ভালো ফলন ও দাম বেশি হওয়ায় চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। কীটনাশকমুক্ত পদ্ধতিতে কোনো ধরনের রাসায়নিক ছাড়া ক্ষীরা চাষ করায় বাজারে চাহিদা বেড়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ভালো ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছেন চাষিরা।
উপজেলার বেতাগা ইউনিয়নের অরগানিক ক্ষীরাচাষি দেবাতুষ কুমার দাশ বলেন, তিনি কয়েক বছর আগে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে নানা প্রকার সবজি চাষের ওপর প্রশিক্ষণ নেন। এরপর সেখান থেকে বীজ সংগ্রহ করে ক্ষীরা চাষ শুরু করেন। প্রথম বছর ফলন তেমন ভালো না হলেও হাল ছাড়েননি। পরে কৃষি অফিসের পরামর্শে চলতি বছর আবার ক্ষীরা চাষ করেন। এবার তার খেতে ভালো ফলন হয়েছে। তিনি দুই বিঘা জমিতে ক্ষীরা চাষ করে প্রতি দুদিনে প্রায় ১৫ মণ ক্ষীরা উত্তোলন করেন।
চাষি মনোতোষ কুমার দাশ বলেন, বিষাক্ত পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা ও ভালো ফলনের জন্য কৃষি অফিস জৈব সার ও ফেরোমন ফাঁদ সরবরাহ করে। তিনি এবার ১২ কাঠা জমিতে ক্ষীরা চাষ করেন। এ ছাড়া অসিত কুমার দাশ ২ বিঘা, তরিকুল ইসলাম ১৬ কাঠা, শহীদুল ইসলাম ১০ কাঠা, তপন কুমার দাশ ১ বিঘা, সুধাংশু কুমার দাশ ১০ কাঠা, শেখ দেলোয়ার হোসেন ১০ কাঠা, কৃষ্ণ কুমার দাশ ১০ কাঠা, পরেশ কুমার দাশ ১০ কাঠা, হারাধন দাশ ৫ কাঠা, আইয়ুব আলী ১৫ কাঠা ও তনয় কুমার দাশ ৫ কাঠাসহ ৪০ জন চাষি প্রায় ২০ একর জমিতে ক্ষীরা চাষ করেছেন। কীটনাশকমুক্ত হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা বেশি থাকায় তাঁরা লাভবান হচ্ছেন। যে কারণে ক্ষীরা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন চাষিরা।
পাইকারি বিক্রেতা হরিপদ কুমার দাশ বলেন, তিনি বেতাগার অরগানিক ক্ষীরাসহ নানা প্রকার সবজি কেনেন। এগুলো খুলনা, বাগেরহাট ও গোপালগঞ্জসহ বিভিন্ন আড়তে পাইকারি বিক্রি করেন।
বেতাগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইউনুস আলী শেখ বলেন, তাঁরা অরগানিকভাবে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের জন্য ‘অরগানিক বেতাগা’ নামে অরগানিক পল্লি গড়েছিলেন। কিন্তু মহিষ প্রজনন ও উন্নয়ন খামার সম্প্রসারণ করার কারণে অনেক জমি বেহাত হয়ে গেছে। তারপরেও যেটুকু আছে সেখানে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করার চেষ্টা করছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নাছরুল মিল্লাত বলেন, তাঁরা কৃষি অফিস থেকে ক্ষীরাচাষিদের জৈব সার, ফেরোমন ফাঁদ ও চাষিদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেন। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রদীপ মণ্ডল সার্বক্ষণিক চাষিদের পাশে থেকে পরামর্শ দেন। ফলন ভালো হওয়ায় চাষিরা লাভবান হচ্ছেন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান স্বপন দাশ বলেন, তাঁরা নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের জন্য ‘অরগানিক বেতাগা’ প্রতিষ্ঠা করেছেন। সে অনুযায়ী কীটনাশক ছাড়াই কৃষকেরা বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদন করছেন। তাঁরা নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করতে কৃষকদের উৎসাহ দিচ্ছেন। আর তাঁরাও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
অরগানিক পদ্ধতিতে ক্ষীরা চাষ করে লাভবান হয়েছেন বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার চাষিরা। ভালো ফলন ও দাম বেশি হওয়ায় চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। কীটনাশকমুক্ত পদ্ধতিতে কোনো ধরনের রাসায়নিক ছাড়া ক্ষীরা চাষ করায় বাজারে চাহিদা বেড়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ভালো ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছেন চাষিরা।
উপজেলার বেতাগা ইউনিয়নের অরগানিক ক্ষীরাচাষি দেবাতুষ কুমার দাশ বলেন, তিনি কয়েক বছর আগে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে নানা প্রকার সবজি চাষের ওপর প্রশিক্ষণ নেন। এরপর সেখান থেকে বীজ সংগ্রহ করে ক্ষীরা চাষ শুরু করেন। প্রথম বছর ফলন তেমন ভালো না হলেও হাল ছাড়েননি। পরে কৃষি অফিসের পরামর্শে চলতি বছর আবার ক্ষীরা চাষ করেন। এবার তার খেতে ভালো ফলন হয়েছে। তিনি দুই বিঘা জমিতে ক্ষীরা চাষ করে প্রতি দুদিনে প্রায় ১৫ মণ ক্ষীরা উত্তোলন করেন।
চাষি মনোতোষ কুমার দাশ বলেন, বিষাক্ত পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা ও ভালো ফলনের জন্য কৃষি অফিস জৈব সার ও ফেরোমন ফাঁদ সরবরাহ করে। তিনি এবার ১২ কাঠা জমিতে ক্ষীরা চাষ করেন। এ ছাড়া অসিত কুমার দাশ ২ বিঘা, তরিকুল ইসলাম ১৬ কাঠা, শহীদুল ইসলাম ১০ কাঠা, তপন কুমার দাশ ১ বিঘা, সুধাংশু কুমার দাশ ১০ কাঠা, শেখ দেলোয়ার হোসেন ১০ কাঠা, কৃষ্ণ কুমার দাশ ১০ কাঠা, পরেশ কুমার দাশ ১০ কাঠা, হারাধন দাশ ৫ কাঠা, আইয়ুব আলী ১৫ কাঠা ও তনয় কুমার দাশ ৫ কাঠাসহ ৪০ জন চাষি প্রায় ২০ একর জমিতে ক্ষীরা চাষ করেছেন। কীটনাশকমুক্ত হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা বেশি থাকায় তাঁরা লাভবান হচ্ছেন। যে কারণে ক্ষীরা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন চাষিরা।
পাইকারি বিক্রেতা হরিপদ কুমার দাশ বলেন, তিনি বেতাগার অরগানিক ক্ষীরাসহ নানা প্রকার সবজি কেনেন। এগুলো খুলনা, বাগেরহাট ও গোপালগঞ্জসহ বিভিন্ন আড়তে পাইকারি বিক্রি করেন।
বেতাগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইউনুস আলী শেখ বলেন, তাঁরা অরগানিকভাবে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের জন্য ‘অরগানিক বেতাগা’ নামে অরগানিক পল্লি গড়েছিলেন। কিন্তু মহিষ প্রজনন ও উন্নয়ন খামার সম্প্রসারণ করার কারণে অনেক জমি বেহাত হয়ে গেছে। তারপরেও যেটুকু আছে সেখানে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করার চেষ্টা করছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নাছরুল মিল্লাত বলেন, তাঁরা কৃষি অফিস থেকে ক্ষীরাচাষিদের জৈব সার, ফেরোমন ফাঁদ ও চাষিদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেন। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রদীপ মণ্ডল সার্বক্ষণিক চাষিদের পাশে থেকে পরামর্শ দেন। ফলন ভালো হওয়ায় চাষিরা লাভবান হচ্ছেন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান স্বপন দাশ বলেন, তাঁরা নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের জন্য ‘অরগানিক বেতাগা’ প্রতিষ্ঠা করেছেন। সে অনুযায়ী কীটনাশক ছাড়াই কৃষকেরা বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদন করছেন। তাঁরা নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করতে কৃষকদের উৎসাহ দিচ্ছেন। আর তাঁরাও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪