Ajker Patrika

প্রতিবাদেও বদলায়নি মান

পাংশা (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
প্রতিবাদেও বদলায়নি মান

রাজবাড়ীর পাংশায় নিম্নমানের ইটের খোয়া দিয়ে সড়ক নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে এর আগে চিঠি দিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সঠিক নিয়ম মেনে মানসম্মত নির্মাণসামগ্রী দিয়ে কাজটি দ্রুত শেষ করা হোক।

উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের সলুয়া গ্রামের মালঠিপাড়া থেকে বড়খোলা পর্যন্ত দুই কিলোমিটারের অধিক সড়কের নির্মাণকাজ চলছে। ১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটির নির্মাণকাজ করছে মেসার্স ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডির) অধীনে নির্মাণকাজটি তদারকির দায়িত্বে রয়েছে উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান।

গত সোমবার সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানান, গত রমজান মাসে সড়ক নির্মাণকাজ শুরু হয়। শুরু থেকেই মাঝেমধ্যে কাজ বন্ধ করে রাখা হয়। কাজের শুরু থেকেই বিভিন্ন অনিয়ম করে আসছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নির্মাণকাজ চলাকালীন বেশির ভাগ সময়ই থাকেন না কাজের তদারকি কর্মকর্তা। এই কাজ শুরুর দিকে বালুর পরিবর্তে মাটি ব্যবহার ও নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। বিষয়টি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায়ও প্রকাশিত হয়েছিল। সম্প্রতি তদারকি কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে নিম্নমানের ইটের খোয়া দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয় মো. মসলেম উদ্দিন মণ্ডল বলেন, ‘যে খোয়া দিয়ে কাজ করা হচ্ছে, তা খুবই নিম্নমানের। আমরা এলাকার লোকজন অনেকবার বলেছি। তারা বলে, এর থেকে ভালো খোয়া দেশে নেই।’

স্থানীয় আরেকজন বিপুল বলেন, ‘২-৩ নম্বর ইটের খোয়া দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। যেই ইটের খোয়া দিয়ে কাজ করা হচ্ছে, হাত দিয়ে ভেঙে ফেলা যাচ্ছে। ইটের খোয়া নয় যেন একেবারেই পোড়ামাটি। এই রাস্তা ১ বছরও টিকবে না।’

স্থানীয় আতর আলী মোল্লা বলেন, ‘আমাদের বাড়ি নদী এলাকায়। এই এলাকার রাস্তাটা ভালো করে করা দরকার এবং রাস্তার কাজটি দ্রুত শেষে করা প্রয়োজন। অনেক দিন ধরে কাজ চলছে। আমাদের খুব ভোগান্তি হচ্ছে।’

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মো. সাচ্ছু। তিনি বলেন, সঠিক নিয়ম মেনে এবং মানসম্মত সামগ্রী দিয়েই কাজ করা হচ্ছে। 
উপসহকারী প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে অফিশিয়ালি কথা বলব। আপনি ফোনে রেকর্ড করবেন? এ ধরনের কথা বলা যাবে না। অফিসের বাইরে কোনো কথা বলব না। আপনি অফিসে আসেন।’ পরে তাঁর অফিসে গেলে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁকে আবারও ফোন দেওয়া হলে তিনি বলেন, ‘আমি অফিসের বাইরে চলে আসছি। এখন কথা বলা যাবে না।’

উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাকির হাসান বলেন, ‘নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে এর আগে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল থেকে নির্মাণকাজ তদারকির জন্য সব সময়ই একজন কর্মকর্তা উপস্থিত থাকবেন এবং এই কাজে কোনো প্রকার অনিয়ম হলে কাজ বাতিলের জন্য সুপারিশ পাঠাব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মাসুদ আহমেদের সব পদ স্থগিত

টিআইএন নেওয়ার পরে কিন্তু ঘুমাইতে পারবেন না: এনবিআর চেয়ারম্যান

আ. লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, তারাই সিদ্ধান্ত নেবে: বিবিসিকে প্রধান উপদেষ্টা

এনআইডির তথ্য ফাঁস করে ২০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ জিয়াউলের বিরুদ্ধে

সাতকানিয়ায় নিহত জামায়াত কর্মীর লাশের পাশে ব্রাজিলের তৈরি অত্যাধুনিক পিস্তল

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত