যে রাস্তায় কৃষকের ‘অপকারই বেশি’

কচুয়া (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৮: ৪৬
আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৩: ০৫

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ-কচুয়া-গৌরপুর-কড়ইয়া জমির মিয়াজীর বাড়ির রাস্তা নিয়ে কৃষকেরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। স্থানীয় কৃষকদের দাবি, এই রাস্তা তাঁদের কোনো উপকারে আসছে না। উপরন্তু রাস্তাটির কারণে জমিতে পানি জমে থাকছে। তাতে তাঁদের চাষাবাদে সমস্যা হচ্ছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় মনির হোসেন মিয়াজী বাদী হয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জাহাঙ্গীর আলম মোল্লার বিরুদ্ধে কচুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে মনির হোসেন উল্লেখ করেন, ‘এলাকার পেছন দিকে রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়েছে। যার দরুন এই রাস্তা এলাকাবাসীর কোনো উপকারে আসছে না। রাস্তাটি জাহাঙ্গীর মোল্লা তাঁর ব্যক্তিগত স্বার্থে করেছেন। তা ছাড়া আমি প্রবাসে থাকায় আমার ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে ডোবায় পরিণত করেছেন। এখন আবার একই জমি থেকে মাটি কেটে রাস্তার কিছু অংশ সংস্কারের চেষ্টা করেন। তাতে আমি বাধা দিই। এ কারণে তিনি আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। তাই আমি নিজের নিরাপত্তার স্বার্থে আইনের আশ্রয় নিয়েছি।’

কড়ইয়া পশ্চিমপাড়া সোনা মিয়া গাজীর ছেলে কৃষক আমির হোসেন বলেন, ‘আমরা এই মাঠে আগে দুই-তিনটি ফলনসহ সবজি চাষ করতাম। কিন্তু আমাদের মাঠের ওপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা হয়। তাতে বৃষ্টির পানি সরতে না পেরে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। যার দরুন এখন আর আমরা বোরো ধান ছাড়া কোনো ফসল করতে পারি না। রাস্তাটি হওয়ায় আমাদের উপকারের চেয়ে অপকারই বেশি হয়েছে।’

কৃষক আবদুর রহিম, সাব্বির আহমেদ, বাচ্চু মিয়া ও আবুল হোসেন বলেন, ২০১৮ সালে রাস্তাটি নির্মাণের আগে আমাদের এই মাঠে ফসল চাষে কোনো সমস্যা ছিল না। আমরা এখানে নানা ধরনের ফসলের চাষ করতাম। কিন্তু এই রাস্তার কারণে মাঠের পানি সরতে না পারায় আমরা খুব সমস্যায় আছি। আমরা এখন বোরো ধান ছাড়া আর কিছুর আবাদ করতে পারি না।’

এ বিষয়ে কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমি জনগণের প্রতিনিধি। এলাকার জনগণের স্বার্থে মেয়রের প্রচেষ্টায় ২০১৮ সালে ১৫ শ ফুট রাস্তার নির্মাণ শুরু করি। রাস্তার কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের রাস্তার সঙ্গে এই রাস্তাটি সংযুক্ত করা হয়েছে। গত বর্ষায় রাস্তার বিভিন্ন অংশে ফাটলের সৃষ্টি হয়। যে কারণে রাস্তার উভয় পাশের জমি থেকে মাটি দিয়ে রাস্তা মেরামত করি। নতুন এই রাস্তাটি হওয়ায় এ এলাকার মানুষের জীবন যাত্রার মানোন্নয়ন হয়েছে।’

অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা কচুয়া থানার সহকারী উপপরিদর্শক দিদারুল আলম বলেন, অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত