কাজল সরকার, হবিগঞ্জ
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শায়েস্তাগঞ্জ গোলচত্বরটি সিলেট বিভাগের মূল প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত। দিনরাত চব্বিশ ঘণ্টাই ব্যস্ত থাকে চত্বরটি। হাজারো গণপরিবহনের যাত্রী ওঠানামা এখানে। অথচ গুরুত্বপূর্ণ এ চত্বরটি অবস্থা নাজুক। ময়লা আবর্জনার স্তূপ, অবৈধ পার্কিং এ বিপাকে পড়তে হয় আশপাশের মানুষদের।
এদিকে চত্বরে অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সড়ক বিভাগ। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতে আবারও সেখানে অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠে। বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তিতে রয়েছে সড়ক বিভাগও।
যদিও স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টদের দাবি, সড়ক বিভাগের কঠোরতা না থাকায় শৃঙ্খলা ফেরানো যাচ্ছে না শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ পয়েন্ট। অবৈধ পার্কিং, যানজট ও ময়লা আবর্জনার স্তূপে পরিণত হয়েছে স্থানটি।
বাসের অপেক্ষায় থাকা যাত্রী জাবেদ পাটোয়ারি বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ এই স্থানে ময়লা-আবর্জনা পড়ে আছে। সেখান থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। সঙ্গে মশার উপদ্রব তো আছেই। এ রকম নোংরা স্থানে দাঁড়িয়ে থাকতেও কষ্ট হয়।’
স্থানীয়রা জানান, গুরুত্বপূর্ণ এই স্থানে নেই যাত্রী ছাউনি। জেলা পরিষদের নির্মিত ছোট দুটি যাত্রী ছাউনি থাকলেও তা দখলে নিয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। রাখা হচ্ছে মালামাল। ফলে যাত্রীদের বাসের জন্য খোলা আকাশের নিচেই দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। বৃষ্টির মৌসুমে পড়তে হয় ভোগান্তিতে।
এমনকি ধুলো আর ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে দাঁড়ানো তো দূরের কথা এ জায়গায় পাশ দিয়ে হাঁটাও যায় না। আবর্জনার কারণে মশার উপদ্রবও বেড়েছে। জানান স্থানীয়রা।
শাহজাহান মিয়া নামে এক যাত্রী বলেন, ‘ময়লা আবর্জনা, ধুলা-বালু, মশা কী নেই এখানে? এ ছাড়াও রয়েছে সড়কের অবৈধ গাড়ির স্ট্যান্ড, যত্রতত্র এলোমেলোভাবে গাড়ি পার্কিং। সব মিলিয়ে নতুন ব্রিজ পয়েন্টটি এখন সিলেট বিভাগের যাত্রীদের জন্য বিষফোড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এসব বিষয়ে শৃঙ্খলা আনা দরকার। এর জন্য পরিবহন সংশ্লিষ্ট লোকজন, সড়ক বিভাগ ও ট্রাফিক বিভাগকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
মিতালি ব্যানার্জি বলেন, আধা ঘণ্টা ধরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি। আমার বাচ্চাটাকে মশায় কামড়াচ্ছে। ময়লার দুর্গন্ধে এখানে থাকা যাচ্ছে না।’
স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. ফজল মিয়া বলেন, ‘গোলচত্বরের ওপরে বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ দোকান বসে। তাদের ফেলানো কাগজে শহরের সৌন্দর্যহানি হচ্ছে। এই স্থানটিতে সড়ক বিভাগ, উপজেলা প্রশাসন কিংবা পুলিশ প্রশাসন কারও নজর নেই। ফলে পরিবহনগুলো যেমন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, তেমনি বেড়েছে অপরাধীদের আনাগোনা।’
জানতে চাইলে হবিগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, ‘নতুন ব্রিজ পয়েন্টে শৃঙ্খলা ও সৌন্দর্য ফেরাতে আমরা কাজ করছি। ইতিমধ্যে সেখান থেকে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। পরিবহনের শৃঙ্খলার জন্য এবং চারপাশের সৌন্দর্য ফেরাতে কাজ করা হবে। আশা করি কিছুদিনের মধ্যেই এই পয়েন্টটির সব সমস্যা সমাধান করে জনবান্ধব হয়ে উঠবে।’
শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘শায়েস্তাগঞ্জ পয়েন্ট থেকে অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়া অনেক ব্যক্তি উদ্ধার করা হয়। এ জন্য অনেকে মনে করে শায়েস্তাগঞ্জ পয়েন্টে অপরাধীদের আনাগোনা বেশি। এ অপরাধগুলো এখানে হয় না। পরিবহনে যাত্রীদের অন্য স্থানে অজ্ঞান করে সর্বস্ব লুটে নিয়ে এ স্থানে ফেলে রেখে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে এটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। এখানে শৃঙ্খলা ফেরাতে আমরা অবশ্যই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করব।’
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শায়েস্তাগঞ্জ গোলচত্বরটি সিলেট বিভাগের মূল প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত। দিনরাত চব্বিশ ঘণ্টাই ব্যস্ত থাকে চত্বরটি। হাজারো গণপরিবহনের যাত্রী ওঠানামা এখানে। অথচ গুরুত্বপূর্ণ এ চত্বরটি অবস্থা নাজুক। ময়লা আবর্জনার স্তূপ, অবৈধ পার্কিং এ বিপাকে পড়তে হয় আশপাশের মানুষদের।
এদিকে চত্বরে অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সড়ক বিভাগ। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতে আবারও সেখানে অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠে। বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তিতে রয়েছে সড়ক বিভাগও।
যদিও স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টদের দাবি, সড়ক বিভাগের কঠোরতা না থাকায় শৃঙ্খলা ফেরানো যাচ্ছে না শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ পয়েন্ট। অবৈধ পার্কিং, যানজট ও ময়লা আবর্জনার স্তূপে পরিণত হয়েছে স্থানটি।
বাসের অপেক্ষায় থাকা যাত্রী জাবেদ পাটোয়ারি বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ এই স্থানে ময়লা-আবর্জনা পড়ে আছে। সেখান থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। সঙ্গে মশার উপদ্রব তো আছেই। এ রকম নোংরা স্থানে দাঁড়িয়ে থাকতেও কষ্ট হয়।’
স্থানীয়রা জানান, গুরুত্বপূর্ণ এই স্থানে নেই যাত্রী ছাউনি। জেলা পরিষদের নির্মিত ছোট দুটি যাত্রী ছাউনি থাকলেও তা দখলে নিয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। রাখা হচ্ছে মালামাল। ফলে যাত্রীদের বাসের জন্য খোলা আকাশের নিচেই দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। বৃষ্টির মৌসুমে পড়তে হয় ভোগান্তিতে।
এমনকি ধুলো আর ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে দাঁড়ানো তো দূরের কথা এ জায়গায় পাশ দিয়ে হাঁটাও যায় না। আবর্জনার কারণে মশার উপদ্রবও বেড়েছে। জানান স্থানীয়রা।
শাহজাহান মিয়া নামে এক যাত্রী বলেন, ‘ময়লা আবর্জনা, ধুলা-বালু, মশা কী নেই এখানে? এ ছাড়াও রয়েছে সড়কের অবৈধ গাড়ির স্ট্যান্ড, যত্রতত্র এলোমেলোভাবে গাড়ি পার্কিং। সব মিলিয়ে নতুন ব্রিজ পয়েন্টটি এখন সিলেট বিভাগের যাত্রীদের জন্য বিষফোড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এসব বিষয়ে শৃঙ্খলা আনা দরকার। এর জন্য পরিবহন সংশ্লিষ্ট লোকজন, সড়ক বিভাগ ও ট্রাফিক বিভাগকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
মিতালি ব্যানার্জি বলেন, আধা ঘণ্টা ধরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি। আমার বাচ্চাটাকে মশায় কামড়াচ্ছে। ময়লার দুর্গন্ধে এখানে থাকা যাচ্ছে না।’
স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. ফজল মিয়া বলেন, ‘গোলচত্বরের ওপরে বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ দোকান বসে। তাদের ফেলানো কাগজে শহরের সৌন্দর্যহানি হচ্ছে। এই স্থানটিতে সড়ক বিভাগ, উপজেলা প্রশাসন কিংবা পুলিশ প্রশাসন কারও নজর নেই। ফলে পরিবহনগুলো যেমন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, তেমনি বেড়েছে অপরাধীদের আনাগোনা।’
জানতে চাইলে হবিগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, ‘নতুন ব্রিজ পয়েন্টে শৃঙ্খলা ও সৌন্দর্য ফেরাতে আমরা কাজ করছি। ইতিমধ্যে সেখান থেকে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। পরিবহনের শৃঙ্খলার জন্য এবং চারপাশের সৌন্দর্য ফেরাতে কাজ করা হবে। আশা করি কিছুদিনের মধ্যেই এই পয়েন্টটির সব সমস্যা সমাধান করে জনবান্ধব হয়ে উঠবে।’
শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘শায়েস্তাগঞ্জ পয়েন্ট থেকে অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়া অনেক ব্যক্তি উদ্ধার করা হয়। এ জন্য অনেকে মনে করে শায়েস্তাগঞ্জ পয়েন্টে অপরাধীদের আনাগোনা বেশি। এ অপরাধগুলো এখানে হয় না। পরিবহনে যাত্রীদের অন্য স্থানে অজ্ঞান করে সর্বস্ব লুটে নিয়ে এ স্থানে ফেলে রেখে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে এটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। এখানে শৃঙ্খলা ফেরাতে আমরা অবশ্যই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করব।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে