সড়ক সংস্কার না করায় দুর্ভোগে ১০ হাজার মানুষ

মো. শামীমুল ইসলাম, আগৈলঝাড়া
প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২২, ০৭: ৫০
আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২২, ১২: ০০

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক সংস্কার না হওয়ায় চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চার গ্রামের বাসিন্দাদের। উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের চেঙ্গটিয়া গ্রামের চেঙ্গটিয়া বাজার থেকে রাংতা বাজার সড়ক পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার করা হচ্ছে না। এতে চারটি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

জানা যায়, আগৈলঝাড়া উপজেলা সদর, গৈলা বাজার, রাজিহার ও গৌরনদী উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এটি। সরেজমিন দেখা যায়, চেংঙ্গটিয়া থেকে রাংতা পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে ব্যক্তিগত পুকুর ও ঘেরে মাছ চাষ করায় রাস্তাটির বেশির ভাগ স্থান ভেঙে গিয়ে গর্ত ও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে রাস্তাটিতে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় বেশির ভাগ স্থানে বিটুমিন, পাথর উঠে গেছে। গাড়ি চলাচলে সমস্যা হচ্ছে।

এই রাস্তায় চলাচলকারী শিক্ষার্থী শফিক তালুকদার বলেন, স্কুলে যাতায়াতের সময় গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে। এটি ছাড়া শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়ার কোনো রাস্তাও নেই। তাই বাধ্য হয়ে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ও এলজিইডি বিভাগে বারবার সংস্কারের দাবি জানিয়েও কাজ হয়নি।

রাংতা গ্রামের বাসিন্দা আসিফ রহমান জানান, যত দিন যাচ্ছে তত দুর্ভোগ বাড়ছে। ওই রাস্তায় চলাচলকারী এলাকাবাসী ও পথচারীরা অভিযোগ করে বলেন, জরাজীর্ণ এই রাস্তাটি সংস্কারের পদক্ষেপ নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ, সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কের বিভিন্ন স্থানে পানি জমে যায়।

রাজিহার ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আনোয়ার ফকির জানান, স্থানীয় সাংসদ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর মাধ্যমে ১৯৯৬ সালে রাংতা চেঙ্গটিয়া কাঁচা রাস্তায় ইটের সোলিং করা হয়। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পর ২০১৭ সালে পাকা করা হয়। কিন্তু নির্মাণের ৫ বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও জরাজীর্ণ রাস্তাটির সংস্কারের উদ্যোগ না নেওয়ায় সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

রাজিহার ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইলিয়াস তালুকদার জানান, জনসাধারণের যোগাযোগের ব্যস্ততম রাস্তাটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদের। অতি দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করা যায়, সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সদ্য যোগদানকারী উপজেলা প্রকৌশলী শিবলু কর্মকার বলেন, এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। পাস করলেই সংস্কারকাজ শুরু করা হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত