ওসমানীনগর প্রতিনিধি
ওসমানীনগরে আশ্রয়ণ প্রকল্পে ভুয়া হলফনামা দিয়ে ঘর পেয়েছে সচ্ছল এক পরিবার। এ ঘটনায় আছিয়া বেগম নামে এক ভূমিহীন ৪ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেছেন।
মামলায় আসামি করা হয়েছে আহবাব মিয়া, ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা অনিল সিংহ এবং আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাওয়া হাসুরা বেগমের ২ ছেলে নুর মোহাম্মদ ও নুর জামানকে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় সাদিপুর ইউনিয়নের বাংলাবাজারে সম্মানপুর মৌজার ৮৩৫ দাগের খাস ভূমিতে ৩টি ঘর নির্মাণের উদ্যোগে নেওয়া হয়। এই জমিতে ২২ বছর ধরে মোছা. আছিয়া বেগম ও তাঁর পরিবার বাস করছিলেন। আছিয়া বেগমের স্বামী রিকশাচালক রুবেল মিয়া সাদিপুর ইউনিয়ন থেকে আগেই ভূমিহীনের স্বীকৃতি পেয়েছেন। ২ এপ্রিল ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা অনিল সিংহ, আহবাব মিয়াসহ কয়েকজন আছিয়া বেগমকে জানান, ওই জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩টি ঘর নির্মাণ হবে। একটি ঘর তাঁকে (আছিয়া বেগম) দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে তিনি সরকারি জমি ছেড়ে দেন।
পরবর্তীতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে খরচ বাবদ আছিয়া বেগমের কাছে ৩০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। ১১ জুন আছিয়া বেগম আহবাব মিয়া, আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর বরাদ্দপ্রাপ্ত নুর মোহাম্মদ ও নুর জামানের হাতে টাকা তুলে দেন। আগস্টের শেষ দিকে ঘর নির্মাণ শেষ হলে একটি ঘর আছিয়া বেগমকে মৌখিকভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। ১ অক্টোবর বিকেলে আরও ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন অভিযুক্তরা। আছিয়া বেগম টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে স্বামী-সন্তানসহ তাঁকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দরজায় তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আশ্রয়ণ প্রকল্পে নির্মিত ৩টি ঘর দিনমজুর নজরুল মিয়া, টমটমচালক নূর মোহাম্মদ ও হাসুরা বেগম (নুর মোহাম্মদের মা) বরাদ্দ পেয়েছেন। প্রকল্পের অদূরেই ৩ ছেলের মা হাসুরা বেগমের নামে ৫ শতক জমি ও তার ওপর নির্মিত একটি টিনশেড পাকা ভবন রয়েছে।
অভিযুক্ত আহবাব মিয়া বলেন, ‘আমি জনপ্রতিনিধি নই। ঘর বরাদ্দের ব্যাপারে কোথাও আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। আছিয়া বেগম উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমার নামে অভিযোগ দিয়েছেন।’
হাসুরা বেগম আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর বরাদ্দের দলিল দেখিয়ে বলেন, তাঁর ছেলে নূর মোহাম্মদ পরিবার থেকে আলাদা। তাই নুর মোহাম্মদের নামে আলাদা ঘর দেওয়া হয়েছে। তাঁর (হাসুরা বেগমের) মালিকানায় ভূমির দলিল রয়েছে জানালে তিনি বলেন, এসব মিথ্যা।
হাসুরা বেগমকে ভূমিহীন সনদ প্রদান প্রসঙ্গে ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য আলেয়া বেগম বলেন, ‘আমি মহিলা হওয়ায় সব জায়গায় যেতে বা সবকিছু ভালো করে যাচাই করা সম্ভব নয়। স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার শনাক্তের ভিত্তিতে আমি হাসুরা বেগমকে ভূমিহীন সনদ দিয়েছি। পরবর্তীতে জেনেছি হাসুরার নিজস্ব বাড়ি রয়েছে।’
ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা অনিল সিংহ বলেন, ভূমিহীন সনদ পেয়েই হাসুরা বেগমের নামে ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ঘর ৩টি, দাবিদার ৪ জন। তাই যাঁরা আগে যোগাযোগ করেছেন তাঁরা ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন। আছিয়া বেগমের জন্য অন্যত্র ঘরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কবির উদ্দিন আহমদ বলেন, আছিয়া বেগমের ঘর না পাওয়ার বিষয়টি অমানবিক। এতে জননেত্রী শেখ হাসিনার মহৎ উদ্যোগটি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ইউএনও মহোদয়সহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে একাধিকবার কথা হয়েছে। ভূমিহীন আছিয়া বেগমের জন্য ঘর নির্মাণে প্রশাসন আন্তরিক রয়েছে।
হাসুরা বেগমের বিষয়ে তিনি বলেন, ওই মহিলা ভুয়া হলফনামা দিয়ে ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন।
ইউএনও নীলিমা রায়হানা বলেন, ‘এটি আমার যোগদানের আগের ঘটনা। তাই সব স্পষ্ট বলতে পারব না। তবে আছিয়া বেগমের বিষয়টি জেনে তাঁর জন্য ঘর বানিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছি। আর হাসুরা বেগমের যদি নিজস্ব বাড়ি থেকে থাকে তবে তিনি কীভাবে ঘর পেলেন বা কোনো প্রকার দুর্নীতি রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ওসমানীনগরে আশ্রয়ণ প্রকল্পে ভুয়া হলফনামা দিয়ে ঘর পেয়েছে সচ্ছল এক পরিবার। এ ঘটনায় আছিয়া বেগম নামে এক ভূমিহীন ৪ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেছেন।
মামলায় আসামি করা হয়েছে আহবাব মিয়া, ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা অনিল সিংহ এবং আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাওয়া হাসুরা বেগমের ২ ছেলে নুর মোহাম্মদ ও নুর জামানকে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় সাদিপুর ইউনিয়নের বাংলাবাজারে সম্মানপুর মৌজার ৮৩৫ দাগের খাস ভূমিতে ৩টি ঘর নির্মাণের উদ্যোগে নেওয়া হয়। এই জমিতে ২২ বছর ধরে মোছা. আছিয়া বেগম ও তাঁর পরিবার বাস করছিলেন। আছিয়া বেগমের স্বামী রিকশাচালক রুবেল মিয়া সাদিপুর ইউনিয়ন থেকে আগেই ভূমিহীনের স্বীকৃতি পেয়েছেন। ২ এপ্রিল ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা অনিল সিংহ, আহবাব মিয়াসহ কয়েকজন আছিয়া বেগমকে জানান, ওই জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩টি ঘর নির্মাণ হবে। একটি ঘর তাঁকে (আছিয়া বেগম) দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে তিনি সরকারি জমি ছেড়ে দেন।
পরবর্তীতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে খরচ বাবদ আছিয়া বেগমের কাছে ৩০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। ১১ জুন আছিয়া বেগম আহবাব মিয়া, আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর বরাদ্দপ্রাপ্ত নুর মোহাম্মদ ও নুর জামানের হাতে টাকা তুলে দেন। আগস্টের শেষ দিকে ঘর নির্মাণ শেষ হলে একটি ঘর আছিয়া বেগমকে মৌখিকভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। ১ অক্টোবর বিকেলে আরও ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন অভিযুক্তরা। আছিয়া বেগম টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে স্বামী-সন্তানসহ তাঁকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দরজায় তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আশ্রয়ণ প্রকল্পে নির্মিত ৩টি ঘর দিনমজুর নজরুল মিয়া, টমটমচালক নূর মোহাম্মদ ও হাসুরা বেগম (নুর মোহাম্মদের মা) বরাদ্দ পেয়েছেন। প্রকল্পের অদূরেই ৩ ছেলের মা হাসুরা বেগমের নামে ৫ শতক জমি ও তার ওপর নির্মিত একটি টিনশেড পাকা ভবন রয়েছে।
অভিযুক্ত আহবাব মিয়া বলেন, ‘আমি জনপ্রতিনিধি নই। ঘর বরাদ্দের ব্যাপারে কোথাও আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। আছিয়া বেগম উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমার নামে অভিযোগ দিয়েছেন।’
হাসুরা বেগম আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর বরাদ্দের দলিল দেখিয়ে বলেন, তাঁর ছেলে নূর মোহাম্মদ পরিবার থেকে আলাদা। তাই নুর মোহাম্মদের নামে আলাদা ঘর দেওয়া হয়েছে। তাঁর (হাসুরা বেগমের) মালিকানায় ভূমির দলিল রয়েছে জানালে তিনি বলেন, এসব মিথ্যা।
হাসুরা বেগমকে ভূমিহীন সনদ প্রদান প্রসঙ্গে ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য আলেয়া বেগম বলেন, ‘আমি মহিলা হওয়ায় সব জায়গায় যেতে বা সবকিছু ভালো করে যাচাই করা সম্ভব নয়। স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার শনাক্তের ভিত্তিতে আমি হাসুরা বেগমকে ভূমিহীন সনদ দিয়েছি। পরবর্তীতে জেনেছি হাসুরার নিজস্ব বাড়ি রয়েছে।’
ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা অনিল সিংহ বলেন, ভূমিহীন সনদ পেয়েই হাসুরা বেগমের নামে ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ঘর ৩টি, দাবিদার ৪ জন। তাই যাঁরা আগে যোগাযোগ করেছেন তাঁরা ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন। আছিয়া বেগমের জন্য অন্যত্র ঘরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কবির উদ্দিন আহমদ বলেন, আছিয়া বেগমের ঘর না পাওয়ার বিষয়টি অমানবিক। এতে জননেত্রী শেখ হাসিনার মহৎ উদ্যোগটি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ইউএনও মহোদয়সহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে একাধিকবার কথা হয়েছে। ভূমিহীন আছিয়া বেগমের জন্য ঘর নির্মাণে প্রশাসন আন্তরিক রয়েছে।
হাসুরা বেগমের বিষয়ে তিনি বলেন, ওই মহিলা ভুয়া হলফনামা দিয়ে ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন।
ইউএনও নীলিমা রায়হানা বলেন, ‘এটি আমার যোগদানের আগের ঘটনা। তাই সব স্পষ্ট বলতে পারব না। তবে আছিয়া বেগমের বিষয়টি জেনে তাঁর জন্য ঘর বানিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছি। আর হাসুরা বেগমের যদি নিজস্ব বাড়ি থেকে থাকে তবে তিনি কীভাবে ঘর পেলেন বা কোনো প্রকার দুর্নীতি রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে