রানা আহমেদ, নলডাঙ্গা (নাটোর)
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার হালতি বিলের পানি নিষ্কাশনের পথে অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে জাল বসিয়ে মাছ শিকার করছেন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। এতে করে বিলের জমি অগ্রহায়ণ মাসেও তলিয়ে রয়েছে। সেখানকার প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে সময়মতো রবিশস্য ও বোরো ধান চাষ নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন হাজারো কৃষক।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বছরের অন্যান্য সময় বিল শুকিয়ে গেলেও এবার বন্যায় সময় জমা হওয়া পানি এখনো থই থই করছে। চলছে ইঞ্জিনচালিত নৌকা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিলের পাশের সিংড়া উপজেলার ত্রিমোহিনীর সোনাইডাঙ্গা খালের অন্তত ছয়টি স্থানে বাঁশের বেড়ার বাঁধ দিয়ে সুতি জাল বসিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। এ কারণে বিলের পানি নামছে ধীরগতিতে। এভাবে পানি নামলে তিন মাসেও বিল শুকাবে না।
স্থানীয় কৃষকেরা এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। তাঁরা বাঁশের বেড়ার বাঁধ দিয়ে বসানো সুতি জাল স্থায়ীভাবে অপসারণ ও স্লুইসগেটের সবগুলো মুখ খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
চরহাঁফানিয়া গ্রামের বাসিন্দা জাকির হোসেন ও সাইফুল ইসলাম জানান, স্থানীয় মৎস্য বিভাগ মাঝেমধ্যে অভিযান চালিয়ে এসব জাল অপসারণ করে; কিন্তু কর্মকর্তারা চলে যাওয়ার পর আবার বাঁশের বাঁধ দিয়ে জাল পাতা হয়।
মাধনগর গ্রামের চাষি এবাদুল প্রামাণিক বলেন, ‘আমি বিলের ৩০ বিঘা জমিতে বছরের একমাত্র ফসল বোরো ধান চাষ করি। গত বছর এ সময় বিলের সব পানি নেমে গিয়েছিল। এবার পানি এখনো নামেনি। জমি প্রস্তুত করে রোপণের কাজ শুরু করতে পারিনি।’
দুর্লভপুর গ্রামের কৃষক সেলিম উদ্দিন জানান, বিলের পানি নেমে না যাওয়ায় সরিষা, পেঁয়াজ, ভুট্টাসহ বিভিন্ন রবিশস্য চাষ শুরু করা সম্ভব হয়নি।
এ নিয়ে কথা হলে সিংড়া উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন বলেন, ‘আমরা অবৈধ বাঁশের বেড়ার সুতি জাল ছয়বার উচ্ছেদ করেছি। পরে আবার জাল বসিয়ে মাছ শিকার করছেন প্রভাবশালীরা। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার জাল কেটে দেওয়া হয়। এর বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফৌজিয়া ফেরদৌস জানান, হালতি বিলের প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ফসল উৎপাদিত হয়। প্রতিবছর এ সময় বন্যার পানি নেমে গেলেও এবার ধীরগতিতে নামছে।
যোগাযোগ করা হলে নাটোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সিংড়া উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ অবৈধ সুতি জাল অপসারণে কাজ শুরু করেছে। অচিরেই এ সমস্যার সমাধান মিলবে।
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার হালতি বিলের পানি নিষ্কাশনের পথে অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে জাল বসিয়ে মাছ শিকার করছেন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। এতে করে বিলের জমি অগ্রহায়ণ মাসেও তলিয়ে রয়েছে। সেখানকার প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে সময়মতো রবিশস্য ও বোরো ধান চাষ নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন হাজারো কৃষক।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বছরের অন্যান্য সময় বিল শুকিয়ে গেলেও এবার বন্যায় সময় জমা হওয়া পানি এখনো থই থই করছে। চলছে ইঞ্জিনচালিত নৌকা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিলের পাশের সিংড়া উপজেলার ত্রিমোহিনীর সোনাইডাঙ্গা খালের অন্তত ছয়টি স্থানে বাঁশের বেড়ার বাঁধ দিয়ে সুতি জাল বসিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। এ কারণে বিলের পানি নামছে ধীরগতিতে। এভাবে পানি নামলে তিন মাসেও বিল শুকাবে না।
স্থানীয় কৃষকেরা এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। তাঁরা বাঁশের বেড়ার বাঁধ দিয়ে বসানো সুতি জাল স্থায়ীভাবে অপসারণ ও স্লুইসগেটের সবগুলো মুখ খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
চরহাঁফানিয়া গ্রামের বাসিন্দা জাকির হোসেন ও সাইফুল ইসলাম জানান, স্থানীয় মৎস্য বিভাগ মাঝেমধ্যে অভিযান চালিয়ে এসব জাল অপসারণ করে; কিন্তু কর্মকর্তারা চলে যাওয়ার পর আবার বাঁশের বাঁধ দিয়ে জাল পাতা হয়।
মাধনগর গ্রামের চাষি এবাদুল প্রামাণিক বলেন, ‘আমি বিলের ৩০ বিঘা জমিতে বছরের একমাত্র ফসল বোরো ধান চাষ করি। গত বছর এ সময় বিলের সব পানি নেমে গিয়েছিল। এবার পানি এখনো নামেনি। জমি প্রস্তুত করে রোপণের কাজ শুরু করতে পারিনি।’
দুর্লভপুর গ্রামের কৃষক সেলিম উদ্দিন জানান, বিলের পানি নেমে না যাওয়ায় সরিষা, পেঁয়াজ, ভুট্টাসহ বিভিন্ন রবিশস্য চাষ শুরু করা সম্ভব হয়নি।
এ নিয়ে কথা হলে সিংড়া উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন বলেন, ‘আমরা অবৈধ বাঁশের বেড়ার সুতি জাল ছয়বার উচ্ছেদ করেছি। পরে আবার জাল বসিয়ে মাছ শিকার করছেন প্রভাবশালীরা। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার জাল কেটে দেওয়া হয়। এর বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফৌজিয়া ফেরদৌস জানান, হালতি বিলের প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ফসল উৎপাদিত হয়। প্রতিবছর এ সময় বন্যার পানি নেমে গেলেও এবার ধীরগতিতে নামছে।
যোগাযোগ করা হলে নাটোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সিংড়া উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ অবৈধ সুতি জাল অপসারণে কাজ শুরু করেছে। অচিরেই এ সমস্যার সমাধান মিলবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪