চিতলমারীতে দেশি মাছ রক্ষায় নানা উদ্যোগ

চিতলমারী (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৪ ডিসেম্বর ২০২১, ০৮: ০১
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬: ৪৮

বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ দেশি প্রজাতির মাছ রক্ষায় নানা উদ্যোগ নিয়েছে। এ লক্ষে তাঁরা হাটে-বাজারে, মাঠে-ঘাটে, নদী-খালে ও বিলে কাজ করে যাচ্ছেন। অভিযান চালিয়ে উচ্ছেদ করেছেন বিপুল পরিমাণ চরপাটা, ঝাল, ম্যাজিক জাল, ইলিশ জাল, নেট জাল ভেষাল ও কারেন্ট জাল।

তাঁদের এসব কার্যক্রমে শুধু দেশি প্রজাতির মাছ রক্ষা নয়, নদী ও খালের পানি প্রবাহেও কোনো বাধা থাকবে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় অভিজ্ঞজনেরা।

উপজেলা মৎস্য দপ্তর থেকে জানা গেছে, এ উপজেলায় মধুমতি, বলেশ্বর ও চিত্রা নদীসহ ৫৫ টি খাল এবং মাছুয়ারকুল, শকুনিয়া, রুইয়ারকুল, খাগড়াবুনিয়া ও বারাশিয়ার বিল রয়েছে। তিনটি নদীর আয়তন ৩ হাজার ১৮৬ একর, ৫০ টি খালের আয়তন ১ হাজার ২৮৭ একর ও চারটি বিলের আয়তন ৩৪৬ একর। এখানে ৭ হাজার ৫০০ জন মৎস্যচাষি ও ২ হাজার ২ জন মৎস্যজীবী এবং ২টি মৎস্য গ্রাম রয়েছে।

এসব জলাশয়ে শিং, মাগুর, শোল, টাকি, পুঁটি, স্বর পুঁটি, বাইন, রয়না, ট্যাংরা, পটকা (টেপা), চিংড়ি, খলিশা, চান্দা, চেলা, চুচড়া, কৈ ও গজারসহ কমপক্ষে ৫০ প্রজাতির দেশি মাছ হয়।

এক শ্রেণির মানুষ মাছ শিকারের নামে এসব দেশি মাছের বংশবিস্তার রোধ ও ধ্বংস করছে। তারাঁ মাছ শিকারের জন্য সরকার নিষিদ্ধ চরপাটা, ঝাল, ম্যাজিক জাল, ইলিশ জাল, নেট জাল, ভেষাল ও কারেন্ট জালসহ বিভিন্ন কিছু অবলম্বন করেন।

তাঁদের নানা শিকারি কৌশল থেকে দেশি প্রজাতির মাছ রক্ষায় উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ সচেতনতামূলক কর্মশালা, প্রচার-প্রচারণা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানসহ নানা উদ্যোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।

চিতলমারী উপজেলা মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা মো. আশরাফুল ইসলাম ও ক্ষেত্র সহকারী পলাশ হালদার বলেন, ‘দেশি প্রজাতির মাছ রক্ষায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যার ও আমারা মিলে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছি। ইতিমধ্যে আমরা ১৮ টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছি। অভিযানে জরিমানা করা হয়েছে ৩১ হাজার টাকা। এ ছাড়া ৬ লাখ টাকা মূল্যের কারেন্ট জাল, ২৫০টি চরপাটা৩৫টি ভেষাল জাল ও নানা প্রকার মাছ শিকারের সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত