যাওয়া আসায় কড়াকড়ি কম, ওমিক্রনের ঝুঁকি

পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৩ ডিসেম্বর ২০২১, ১১: ১৮
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২১, ১৮: ০৪

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরের যাত্রী ও ট্রাক চালকদের যাওয়া-আসায় কড়াকড়ি কম থাকায় করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। ভাইরাসটি প্রতিরোধে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ তৎপরতা কম বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

স্থলবন্দরে গিয়ে দেখা গেছে, বন্দর এলাকার রাস্তাঘাট, খাবারের রেস্তোরাঁ, আবাসিক হোটেলগুলোতে ভারত, ভুটান থেকে আসা লোকজন ও চালকদের অবাধ যাতায়াত। কাউকে বিধিনিষেধ মানতে দেখা যায়নি। দুয়েকজনের মুখে মাস্ক থাকলেও অধিকাংশ মানুষ চলছেন মাস্ক ছাড়া। বুড়িমারী স্থলবন্দরে প্রবেশের শূন্য রেখার পাশে কাস্টমসের লাগেজ তল্লাশি কক্ষের অংশে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দুজন স্বাস্থ্য সহকারী হ্যান্ড স্ক্যানার দিয়ে তাপমাত্রা পরীক্ষা করছেন দায়সারাভাবে।

শনিবার পর্যন্ত গত ১১ দিনে বুড়িমারী অভিবাসন চৌকি দিয়ে ভারত থেকে ৬১ পাসপোর্টধারী যাত্রী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশ থেকে ৩৪ পাসপোর্টধারী যাত্রী ভারতে গেছে। তাঁদের মধ্যে ভারতে চিকিৎসা ও অন্য কাজ শেষে দেশে ফিরেছেন ৩৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক। শিক্ষার্থী ভিসায় বাংলাদেশে পড়তে এসেছেন ১৬ জন ভারতীয় ও ৮ জন নেপালি। বাংলাদেশ থেকে ফিরে যাওয়াদের মধ্যে ভারতীয় ২১ ও নেপালি ১৩ নাগরিক রয়েছেন।

বুড়িমারী স্থলবন্দর এলাকার বাসিন্দা মমিনুর রহমান ও হাফিজুর রহমান বলেন, ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে আসা ট্রাক চালক ও যাত্রীরা স্থলবন্দর এবং আশপাশের বাজারে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে অবাধে ঘোরাফেরা করছেন। এতে আমরা ওমিক্রনের সংক্রমণ ঝুঁকিতে রয়েছি।

বুড়িমারী স্থলবন্দর অভিবাসন চৌকির (ইমিগ্রেশন) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘মূলত চিকিৎসা ভিসায় ভারতে চিকিৎসা নিয়ে বাংলাদেশি নাগরিক ও ভারতীয় এবং নেপালি শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশে পড়তে আসছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অভিবাসন চৌকির কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।’

বুড়িমারী স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) রুহুল আমিন বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও রোগ নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নির্দেশনা ও চিঠির আলোকে আমাদের করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন সম্পর্কে সজাগ থাকতে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ গত ৭ ডিসেম্বর একটি নির্দেশনা পাঠিয়েছে। সরকারি এ নির্দেশনা মোতাবেক আমরা কাজ করছি। পণ্য নিয়ে আসা গাড়িচালকেরা যাতে বিনা প্রয়োজনে বের না হন এ ব্যাপারে খেয়াল রাখা হচ্ছে। একাধিক কর্মকর্তা মাস্ক ব্যবহার না করার ব্যাপারে তিনি বলেন, কেউ ঢিলেমি করলে আমরা অবশ্যই তাঁকে সতর্ক করব। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে।’

পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বুড়িমারী স্থলবন্দর প্রবেশের সময় তাপমাত্রা পরিমাপে ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখতে যেন কোনো ধরনের গাফিলতি না হয়, এ জন্য সতর্ক করে দেওয়া হবে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত