চয়ন বিকাশ ভদ্র
সাগরতলের জগৎ খুবই বিস্ময়কর। এখানে হাজার হাজার প্রজাতির মাছ ও অন্যান্য প্রাণীর বসবাস। সুন্দর মাছগুলোর বিভিন্ন আকার-আকৃতি এবং রঙের কারণে সমুদ্রের নিচের জীবন অনেক বৈচিত্র্যময়।
বিভিন্ন পুরাণ ও রূপকথায় ড্রাগনের কথা আছে। এটি ভয়ংকর চেহারার এক কাল্পনিক প্রাণী। সমুদ্রে রয়েছে এক ধরনের ড্রাগন মাছ। এর নাম মান্দারিন ফিশ বা মান্দারিন ড্রাগনেট। এটি দেখতে খুবই সুন্দর ও উজ্জ্বল বর্ণের ছোট সামুদ্রিক মাছ। ড্রাগনেট পরিবারের মাছের দুটি প্রজাতি দেখতে পাওয়া যায়। সিনচিরপাস স্প্লেন্ডিডাস প্রজাতি দেখতে নীল রঙের। ত্বকের সায়ানোফোর নামক ক্রোমাটোফোরস বর্ণ কণিকার কারণে এরা নীল রঙের হয়। এদের ত্বকে আরও আছে আলো প্রতিফলনকারী কোষ, যা এই মাছকে করে তোলে আকর্ষণীয় ও রহস্যময় সুন্দর। এদের আরেকটি প্রজাতির নাম সিনকাইরোপাস পিকচারোস, এরা ক্যালিওনিমিডি পরিবারের প্রাণী। এই মাছ মাত্র ছয় সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।
প্রশান্ত মহাসাগরের ফিলিপাইন ও অস্ট্রেলিয়ার মাঝামাঝি প্রবালবেষ্টিত ছোট ছোট দ্বীপ সিনকাইরোপাস পিকচারেটাস প্রজাতির এ মাছের স্থায়ী নিবাস। জাপানের রিয়ুকু দ্বীপে এদের প্রাচুর্য দেখা যায়। এই রঙিন ডোরাকাটা দাগ তাদের সামুদ্রিক প্রবালের সঙ্গে মিশে গিয়ে শত্রুর চোখে ধুলা দিয়ে আত্মরক্ষা করতে সাহায্য করে। এর সম্পূর্ণ শরীর ছোট ছোট কাঁটা দিয়ে ঢাকা। বিষাক্ত কাঁটাগুলো দিয়ে এরা নিজেদের রক্ষা করার কাজ করে থাকে।
এদের নাম মান্দারিন হওয়ার পেছনেও একটা মজার কারণ আছে। চীনে রঙিন লম্বা আলখাল্লা পরিহিত সম্রাটদের মান্দারিন বলা হতো। আর এই মাছটি যেহেতু বর্ণময় তাই একেও মান্দারিন নাম দেওয়া হয়েছে। মান্দারিন ছাড়াও এদের সবুজ মান্দারিন, ডোরাকাটা মান্দারিন, ডোরাকাটা ড্রাগনেট, সবুজ ড্রাগনেট ইত্যাদি নামেও ডাকা হয়।
বর্ণিল হওয়ার কারণে অ্যাকুরিয়ামের মাছ হিসেবে বিশ্বব্যাপী মান্দারিন মাছের চাহিদা ব্যাপক। কিন্তু একে অ্যাকুরিয়ামে রাখা বেশ কঠিন। এর প্রধান কারণ হলো, মাছটি সামুদ্রিক মাছ, মিঠা পানিতে এটি এক দিনও বাঁচে না। আর একে রাখার জন্য দরকার বিশাল আকারের অ্যাকুরিয়াম। মান্দারিন মাছ প্রবালের মধ্যে, বিশেষ করে লেগুন ও এর তীরবর্তী প্রবালের মধ্যে বসবাস করতে পছন্দ করে।
একেকটি মান্দারিন মাছের জন্য ৭৫ গ্যালন পানি রাখার মতো বড় অ্যাকুরিয়ামের প্রয়োজন। অ্যাকুরিয়ামের ভেতরের পরিবেশ হতে হবে সমুদ্রের প্রাকৃতিক বাসস্থানের মতো প্রবাল ও পাথরবেষ্টিত। তা ছাড়া এই মাছ খাবারের ব্যাপারে অত্যন্ত বিলাসী ও সংকীর্ণ প্রকৃতির। এরা খুব ধীরে চলাফেরা করে।
মান্দারিন মাছ সাধারণত সাগরের তলানিতে খাবার খোঁজে। তাই সচরাচর এদের দেখতে পাওয়া যায় না। এরা দিনের বেলায় খাবার শিকার করে থাকে। সাগরের পলিকিটি গ্রুপের জীবন্ত লার্ভা, মাছের ডিম, শামুকের ডিম, ছোট চিংড়িজাতীয় প্রাণী ছাড়া তেমন কিছুই খেতে চায় না এ মাছ।
তাই বাজারের কৃত্রিম খাবার দিয়ে এদের ঘরে লালনপালন করা খুবই মুশকিল। তা ছাড়া নিয়মিত সাগরের পানি পরিবর্তন করাও খুব কষ্টকর কাজ।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ, মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা কলেজ, ময়মনসিংহ
সাগরতলের জগৎ খুবই বিস্ময়কর। এখানে হাজার হাজার প্রজাতির মাছ ও অন্যান্য প্রাণীর বসবাস। সুন্দর মাছগুলোর বিভিন্ন আকার-আকৃতি এবং রঙের কারণে সমুদ্রের নিচের জীবন অনেক বৈচিত্র্যময়।
বিভিন্ন পুরাণ ও রূপকথায় ড্রাগনের কথা আছে। এটি ভয়ংকর চেহারার এক কাল্পনিক প্রাণী। সমুদ্রে রয়েছে এক ধরনের ড্রাগন মাছ। এর নাম মান্দারিন ফিশ বা মান্দারিন ড্রাগনেট। এটি দেখতে খুবই সুন্দর ও উজ্জ্বল বর্ণের ছোট সামুদ্রিক মাছ। ড্রাগনেট পরিবারের মাছের দুটি প্রজাতি দেখতে পাওয়া যায়। সিনচিরপাস স্প্লেন্ডিডাস প্রজাতি দেখতে নীল রঙের। ত্বকের সায়ানোফোর নামক ক্রোমাটোফোরস বর্ণ কণিকার কারণে এরা নীল রঙের হয়। এদের ত্বকে আরও আছে আলো প্রতিফলনকারী কোষ, যা এই মাছকে করে তোলে আকর্ষণীয় ও রহস্যময় সুন্দর। এদের আরেকটি প্রজাতির নাম সিনকাইরোপাস পিকচারোস, এরা ক্যালিওনিমিডি পরিবারের প্রাণী। এই মাছ মাত্র ছয় সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।
প্রশান্ত মহাসাগরের ফিলিপাইন ও অস্ট্রেলিয়ার মাঝামাঝি প্রবালবেষ্টিত ছোট ছোট দ্বীপ সিনকাইরোপাস পিকচারেটাস প্রজাতির এ মাছের স্থায়ী নিবাস। জাপানের রিয়ুকু দ্বীপে এদের প্রাচুর্য দেখা যায়। এই রঙিন ডোরাকাটা দাগ তাদের সামুদ্রিক প্রবালের সঙ্গে মিশে গিয়ে শত্রুর চোখে ধুলা দিয়ে আত্মরক্ষা করতে সাহায্য করে। এর সম্পূর্ণ শরীর ছোট ছোট কাঁটা দিয়ে ঢাকা। বিষাক্ত কাঁটাগুলো দিয়ে এরা নিজেদের রক্ষা করার কাজ করে থাকে।
এদের নাম মান্দারিন হওয়ার পেছনেও একটা মজার কারণ আছে। চীনে রঙিন লম্বা আলখাল্লা পরিহিত সম্রাটদের মান্দারিন বলা হতো। আর এই মাছটি যেহেতু বর্ণময় তাই একেও মান্দারিন নাম দেওয়া হয়েছে। মান্দারিন ছাড়াও এদের সবুজ মান্দারিন, ডোরাকাটা মান্দারিন, ডোরাকাটা ড্রাগনেট, সবুজ ড্রাগনেট ইত্যাদি নামেও ডাকা হয়।
বর্ণিল হওয়ার কারণে অ্যাকুরিয়ামের মাছ হিসেবে বিশ্বব্যাপী মান্দারিন মাছের চাহিদা ব্যাপক। কিন্তু একে অ্যাকুরিয়ামে রাখা বেশ কঠিন। এর প্রধান কারণ হলো, মাছটি সামুদ্রিক মাছ, মিঠা পানিতে এটি এক দিনও বাঁচে না। আর একে রাখার জন্য দরকার বিশাল আকারের অ্যাকুরিয়াম। মান্দারিন মাছ প্রবালের মধ্যে, বিশেষ করে লেগুন ও এর তীরবর্তী প্রবালের মধ্যে বসবাস করতে পছন্দ করে।
একেকটি মান্দারিন মাছের জন্য ৭৫ গ্যালন পানি রাখার মতো বড় অ্যাকুরিয়ামের প্রয়োজন। অ্যাকুরিয়ামের ভেতরের পরিবেশ হতে হবে সমুদ্রের প্রাকৃতিক বাসস্থানের মতো প্রবাল ও পাথরবেষ্টিত। তা ছাড়া এই মাছ খাবারের ব্যাপারে অত্যন্ত বিলাসী ও সংকীর্ণ প্রকৃতির। এরা খুব ধীরে চলাফেরা করে।
মান্দারিন মাছ সাধারণত সাগরের তলানিতে খাবার খোঁজে। তাই সচরাচর এদের দেখতে পাওয়া যায় না। এরা দিনের বেলায় খাবার শিকার করে থাকে। সাগরের পলিকিটি গ্রুপের জীবন্ত লার্ভা, মাছের ডিম, শামুকের ডিম, ছোট চিংড়িজাতীয় প্রাণী ছাড়া তেমন কিছুই খেতে চায় না এ মাছ।
তাই বাজারের কৃত্রিম খাবার দিয়ে এদের ঘরে লালনপালন করা খুবই মুশকিল। তা ছাড়া নিয়মিত সাগরের পানি পরিবর্তন করাও খুব কষ্টকর কাজ।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ, মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা কলেজ, ময়মনসিংহ
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে