খান রফিক, বরিশাল
বরিশালের উজিরপুরে বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন মেরামতের জন্য ২ লাখ টাকা করে বরাদ্দ দিয়েছে শিক্ষা অধিদপ্তর। উপজেলার ৭৫টি সরকারি বিদ্যালয়ে বরাদ্দ করা ওই টাকার বিপরীতে প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে ১৬ হাজার টাকা করে উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সে অনুযায়ী ৭৫টি বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামতের বিপরীতে প্রায় ১২ লাখ টাকা উৎকোচ উঠিয়েছেন শিক্ষক নেতারা।
ওই ১২ লাখ টাকা উপজেলা পরিষদ, শিক্ষা অধিদপ্তরসহ শিক্ষক নেতারা ভাগ-বাটোয়ারা করে নিয়েছেন বলে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধানরা অভিযোগ করেছেন। এ নিয়ে গোটা উপজেলার শিক্ষা সেক্টরে তোলপাড় চলছে।
সরকারি বিদ্যালয়গুলোর জন্য বরাদ্দ করা টাকার বিপরীতে প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে ১৬ হাজার টাকা করে উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এভাবে মোট ১২ লাখ টাকা নেওয়া হয়।
শিক্ষকদের একাধিক সূত্র জানায়, মেরামতের যে টাকা এসেছে সেই টাকা ছাড় করার জন্য জুন মাসে ১৬ হাজার টাকা করে উৎকোচ নিয়েছেন প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির। উপজেলা শিক্ষা অফিসের একটি কক্ষে বসে জুন মাসজুড়ে এই অর্থ নিয়ে ১ হাজার করে মোট ৭৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছে শিক্ষক সমিতি। বাকি টাকা উপজেলা পরিষদের নাম ভাঙিয়ে কী করেছে তা কেউ জানেন না।
জানতে চাইলে সাতলা রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উপেন্দ্রনাথ পান্ডে বলেন, তিনি ২ লাখ টাকা বরাদ্দের মধ্যে ১৬ হাজার টাকা উপজেলার শিক্ষক নেতা জাহাঙ্গীর কবির আর সম্পাদক খোকনের মাধ্যমে দিয়েছেন। ওই ১৬ হাজার টাকা সব স্কুলকেই গত জুনে নগদ দিতে হয়েছে। জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে চেক পেয়েছেন। তিনি বলেন, শিক্ষা অফিসের একটি কক্ষে চেয়ার-টেবিল নিয়ে বসে শিক্ষক নেতা জাহাঙ্গীর ১৬ হাজার টাকা করে নিয়েছেন।
দক্ষিণ হারতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ২ লাখ টাকার ১৬ হাজার টাকাই উপজেলা পর্যায়ে অফিস খরচ বাবদ দিতে হয়েছে। শিক্ষক নেতা জাহাঙ্গীর এই টাকা নেওয়ার নেতৃত্ব দিয়েছেন। আনুষঙ্গিক খরচ শেষে তাঁরা হাতে পেয়েছেন দেড় লাখ টাকার মতো। পূর্ব সাতলা-২ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রবির কুমার বিশ্বাসও স্বীকার করেছেন ক্ষুদ্র মেরামতের টাকা পেতে শিক্ষক নেতা জাহাঙ্গীরের মাধ্যমে ১৬ হাজার টাকা দিতে হয়েছে। তাঁকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেসা করা হলে তিনি দাবি করেছেন, ওই টাকা ইঞ্জিনিয়ার অফিস ও উপজেলায় দিতে হবে।
তবে উজিরপুর প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও বামরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ১৬ হাজার টাকা করে উৎকোচ নেওয়ার মতো কোনো ঘটনাই ঘটেনি। ব্যক্তিগত আক্রোশে যে কেউ বলতেই পারে। তাঁদের টাকা নেওয়ার এখতিয়ারও তো নেই। তিনি বলেন, যারা এত সচেতন তারা কেন ইঞ্জিনিয়ার অফিসে ফাইল আটকে রাখায় তা ছাড়াতে যাননি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ও রকম কত মিথ্যাচার হচ্ছে।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক খোকন চন্দ্র নাগ অবশ্য বলেছেন, এ রকম তো সব থানায়ই টাকা নেয়। কম-বেশি যে কিছু দেয়নি তা অস্বীকার করা যাবে না। তবে এটি উপজেলা চেয়ারম্যান সমন্বয় করছেন।
উজিরপুর উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ সিকদার বাচ্চু বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের ক্ষুদ্র মেরামতের অর্থ বরাদ্দ নিয়ে সামান্য অভিযোগ পেয়েছিলাম। পরে ইঞ্জিনিয়ার সেকশনকে ডেকে খোঁজ নিয়েছি। তাঁরা হয়তো খুব সামান্য টাকা-পয়সা নিয়েছেন। তিনি বলেন, শিক্ষকেরা কাজ না করেই অর্থ নিয়ে যান। তাই চেক আটকে দিয়েছিলাম। যদি ফাঁকঝোকে আমার নাম ভাঙিয়ে কেউ যদি কিছু করে তবে লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা
নেওয়া হবে।’
সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির উজিরপুরের উপদেষ্টা ও খোলনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল বাশার মৃধা এ প্রসঙ্গে জানান, সরকারি স্কুলের ভবন নির্মাণেও ১৬ হাজার টাকা উৎকোচ দিতে হয়েছে, এমন খবর শিক্ষকেরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি এরপর ফেসবুকে দুঃখ প্রকাশ করায় শিক্ষা অফিস তাঁর ওপর নাখোশ হয়েছে।
উজিরপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তাসলিমা বেগম জানান, তাঁর কার্যালয়ের কক্ষে এ ধরনের উৎকোচ লেনদেনের বিষয়টি তিনি দেখেনওনি এবং জানেনও না। শিক্ষক নেতারা ওই টাকা প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে নিয়েছেন কি না তা খতিয়ে দেখবেন।
বরিশাল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহন লাল দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে তারা অভিযোগ দিতে পারেন।
বরিশালের উজিরপুরে বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন মেরামতের জন্য ২ লাখ টাকা করে বরাদ্দ দিয়েছে শিক্ষা অধিদপ্তর। উপজেলার ৭৫টি সরকারি বিদ্যালয়ে বরাদ্দ করা ওই টাকার বিপরীতে প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে ১৬ হাজার টাকা করে উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সে অনুযায়ী ৭৫টি বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামতের বিপরীতে প্রায় ১২ লাখ টাকা উৎকোচ উঠিয়েছেন শিক্ষক নেতারা।
ওই ১২ লাখ টাকা উপজেলা পরিষদ, শিক্ষা অধিদপ্তরসহ শিক্ষক নেতারা ভাগ-বাটোয়ারা করে নিয়েছেন বলে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধানরা অভিযোগ করেছেন। এ নিয়ে গোটা উপজেলার শিক্ষা সেক্টরে তোলপাড় চলছে।
সরকারি বিদ্যালয়গুলোর জন্য বরাদ্দ করা টাকার বিপরীতে প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে ১৬ হাজার টাকা করে উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এভাবে মোট ১২ লাখ টাকা নেওয়া হয়।
শিক্ষকদের একাধিক সূত্র জানায়, মেরামতের যে টাকা এসেছে সেই টাকা ছাড় করার জন্য জুন মাসে ১৬ হাজার টাকা করে উৎকোচ নিয়েছেন প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির। উপজেলা শিক্ষা অফিসের একটি কক্ষে বসে জুন মাসজুড়ে এই অর্থ নিয়ে ১ হাজার করে মোট ৭৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছে শিক্ষক সমিতি। বাকি টাকা উপজেলা পরিষদের নাম ভাঙিয়ে কী করেছে তা কেউ জানেন না।
জানতে চাইলে সাতলা রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উপেন্দ্রনাথ পান্ডে বলেন, তিনি ২ লাখ টাকা বরাদ্দের মধ্যে ১৬ হাজার টাকা উপজেলার শিক্ষক নেতা জাহাঙ্গীর কবির আর সম্পাদক খোকনের মাধ্যমে দিয়েছেন। ওই ১৬ হাজার টাকা সব স্কুলকেই গত জুনে নগদ দিতে হয়েছে। জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে চেক পেয়েছেন। তিনি বলেন, শিক্ষা অফিসের একটি কক্ষে চেয়ার-টেবিল নিয়ে বসে শিক্ষক নেতা জাহাঙ্গীর ১৬ হাজার টাকা করে নিয়েছেন।
দক্ষিণ হারতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ২ লাখ টাকার ১৬ হাজার টাকাই উপজেলা পর্যায়ে অফিস খরচ বাবদ দিতে হয়েছে। শিক্ষক নেতা জাহাঙ্গীর এই টাকা নেওয়ার নেতৃত্ব দিয়েছেন। আনুষঙ্গিক খরচ শেষে তাঁরা হাতে পেয়েছেন দেড় লাখ টাকার মতো। পূর্ব সাতলা-২ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রবির কুমার বিশ্বাসও স্বীকার করেছেন ক্ষুদ্র মেরামতের টাকা পেতে শিক্ষক নেতা জাহাঙ্গীরের মাধ্যমে ১৬ হাজার টাকা দিতে হয়েছে। তাঁকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেসা করা হলে তিনি দাবি করেছেন, ওই টাকা ইঞ্জিনিয়ার অফিস ও উপজেলায় দিতে হবে।
তবে উজিরপুর প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও বামরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ১৬ হাজার টাকা করে উৎকোচ নেওয়ার মতো কোনো ঘটনাই ঘটেনি। ব্যক্তিগত আক্রোশে যে কেউ বলতেই পারে। তাঁদের টাকা নেওয়ার এখতিয়ারও তো নেই। তিনি বলেন, যারা এত সচেতন তারা কেন ইঞ্জিনিয়ার অফিসে ফাইল আটকে রাখায় তা ছাড়াতে যাননি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ও রকম কত মিথ্যাচার হচ্ছে।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক খোকন চন্দ্র নাগ অবশ্য বলেছেন, এ রকম তো সব থানায়ই টাকা নেয়। কম-বেশি যে কিছু দেয়নি তা অস্বীকার করা যাবে না। তবে এটি উপজেলা চেয়ারম্যান সমন্বয় করছেন।
উজিরপুর উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ সিকদার বাচ্চু বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের ক্ষুদ্র মেরামতের অর্থ বরাদ্দ নিয়ে সামান্য অভিযোগ পেয়েছিলাম। পরে ইঞ্জিনিয়ার সেকশনকে ডেকে খোঁজ নিয়েছি। তাঁরা হয়তো খুব সামান্য টাকা-পয়সা নিয়েছেন। তিনি বলেন, শিক্ষকেরা কাজ না করেই অর্থ নিয়ে যান। তাই চেক আটকে দিয়েছিলাম। যদি ফাঁকঝোকে আমার নাম ভাঙিয়ে কেউ যদি কিছু করে তবে লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা
নেওয়া হবে।’
সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির উজিরপুরের উপদেষ্টা ও খোলনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল বাশার মৃধা এ প্রসঙ্গে জানান, সরকারি স্কুলের ভবন নির্মাণেও ১৬ হাজার টাকা উৎকোচ দিতে হয়েছে, এমন খবর শিক্ষকেরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি এরপর ফেসবুকে দুঃখ প্রকাশ করায় শিক্ষা অফিস তাঁর ওপর নাখোশ হয়েছে।
উজিরপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তাসলিমা বেগম জানান, তাঁর কার্যালয়ের কক্ষে এ ধরনের উৎকোচ লেনদেনের বিষয়টি তিনি দেখেনওনি এবং জানেনও না। শিক্ষক নেতারা ওই টাকা প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে নিয়েছেন কি না তা খতিয়ে দেখবেন।
বরিশাল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহন লাল দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে তারা অভিযোগ দিতে পারেন।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে