ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দালালদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আন্তর্জাতিক শ্রমবাজার কিছুটা খোলার পর থেকে ব্যস্ততা বেড়েছে ফরিদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে একশ্রেণির অসাধু দালাল চক্র অবৈধভাবে পাসপোর্ট করে দেওয়ার নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থ।
সম্প্রতি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অভিযানে দালাল চক্রের একাধিক সদস্য গ্রেপ্তার হয়েছেন। গ্রেপ্তার করা দালাল চক্রের সদস্যদের কাছ থেকে মিলেছে নানান তথ্য।
গতকাল সোমবার পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে কয়েকজন পাসপোর্টের আবেদনকারীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানের কিছু অসাধু কর্মচারীদের যোগসাজশে পাসপোর্ট অফিসে গড়ে উঠেছে একটি দালাল চক্র। অতিরিক্ত টাকা দিলেই অল্প সময়ের মধ্যেই পাসপোর্টের কাজ হয়ে যায়। আর টাকা না দিলে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় পাসপোর্ট আবেদনকারীদের। এদিকে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের দাবি, অফিসে কোনো দালাল চক্র নেই।
একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘দালাল ও অসাধু কর্মচারীদের কারণে পাসপোর্ট করতে আসা ব্যক্তিদের ভোগান্তির বিষয়টি আমাদের কাছে নতুন কিছু নয়। বাড়তি টাকা ছাড়া আসলেই পাসপোর্ট মেলে না। একদিকে দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য, অন্যদিকে পাসপোর্ট অফিসের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর অনিয়মের কারণে জিম্মি হয়ে পড়েছেন পাসপোর্ট প্রত্যাশীরা।
একাধিক সেবা প্রত্যাশীদের অভিযোগ, দালালদের মাধ্যমে ফরম জমা দিলে সে ফরম সহজে জমা দেওয়া যায়। কিন্তু দালালদের সাহায্য না নিলে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা হয়রানি করেন। তাঁরা পাসপোর্ট ফরমে সংকেত ব্যবহার করেন। এ ছাড়া সেখানে কর্মরত কিছু আনসার সদস্যরাও এর সঙ্গ জড়িত। এসব আনসার সদস্যের মাধ্যমেই পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা-কর্মচারীরা বাড়তি টাকার ভাগ পান। ভুক্তভোগীদের দাবি ঘুষ না দিলে ফরম পূরণের সময় দেওয়া সব তথ্য ভুলে ভরে যায়, আর ঘুষ দিলে ভুলগুলো সহজেই নির্ভুল হয়ে যায়।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের বোয়ালমারীর উপজেলা থেকে পাসপোর্ট করতে আসা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমি ব্যাংক ড্রাফটের জন্য ৫ হাজার ৭৫০ টাকা দিয়েছি কিন্তু দালাল চক্রের সদস্যরা আমার কাছ থেকে আরও ১ হাজার ৫০০ টাকা নিয়েছেন।’
পাসপোর্ট অফিসের সামনে গড়ে ওঠা কিছু দোকানদার বলেন, ‘গ্রাম থেকে আসা কিছু মানুষ তাঁদের ফরম পূরণ করতে পারেন না। ওই ব্যক্তিদের সহযোগিতা করে আমরা সামান্য কিছু টাকা নিই নেই।
এদিকে, পাসপোর্ট অফিসে দালালদের দৌরাত্ম্যের কথা স্বীকার করে জেলা পুলিশ জানায়, পাসপোর্ট অফিসের দালালদের চিহ্নিত করা হয়েছে। গত শুক্রবার সেবাপ্রত্যাশীকে হয়রানির সময় হাতেনাতে ৫ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, পাসপোর্ট অফিসের দালাল চক্রকে ধরতে গোয়েন্দা পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। দালাল চক্রের সদস্যদের ধরতে আমরা তৎপর।
ফরিদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক শামীম আহম্মেদ বলেন, ‘এ অফিসে দালাল চক্র ঢোকার কোনো সুযোগ নেই। অফিসর চারদিকে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। অফিসের নিয়ম হলো, আবেদনকারী নিজে ফরম পূরণ করবেন, জমা দেবেন এবং কাজ হয়ে গেলে নিজে পাসপোর্ট নিয়ে যাবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিদিন ১০০-১৫০ ফাইল জমা পড়ে। তবে, কেউ কোনো হয়রানির শিকার হন না। আমরা চেষ্টা করছি সেবা দিতে, কাউকে হয়রানি করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। এরপরও যদি অভিযোগ ওঠে তাহলে আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করব।’
জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, ‘লিখিত কোনো অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং আমরা এ বিষয়ে তদন্ত করে অভিযান পরিচালনা করব।’
ফরিদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দালালদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আন্তর্জাতিক শ্রমবাজার কিছুটা খোলার পর থেকে ব্যস্ততা বেড়েছে ফরিদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে একশ্রেণির অসাধু দালাল চক্র অবৈধভাবে পাসপোর্ট করে দেওয়ার নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থ।
সম্প্রতি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অভিযানে দালাল চক্রের একাধিক সদস্য গ্রেপ্তার হয়েছেন। গ্রেপ্তার করা দালাল চক্রের সদস্যদের কাছ থেকে মিলেছে নানান তথ্য।
গতকাল সোমবার পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে কয়েকজন পাসপোর্টের আবেদনকারীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানের কিছু অসাধু কর্মচারীদের যোগসাজশে পাসপোর্ট অফিসে গড়ে উঠেছে একটি দালাল চক্র। অতিরিক্ত টাকা দিলেই অল্প সময়ের মধ্যেই পাসপোর্টের কাজ হয়ে যায়। আর টাকা না দিলে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় পাসপোর্ট আবেদনকারীদের। এদিকে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের দাবি, অফিসে কোনো দালাল চক্র নেই।
একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘দালাল ও অসাধু কর্মচারীদের কারণে পাসপোর্ট করতে আসা ব্যক্তিদের ভোগান্তির বিষয়টি আমাদের কাছে নতুন কিছু নয়। বাড়তি টাকা ছাড়া আসলেই পাসপোর্ট মেলে না। একদিকে দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য, অন্যদিকে পাসপোর্ট অফিসের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর অনিয়মের কারণে জিম্মি হয়ে পড়েছেন পাসপোর্ট প্রত্যাশীরা।
একাধিক সেবা প্রত্যাশীদের অভিযোগ, দালালদের মাধ্যমে ফরম জমা দিলে সে ফরম সহজে জমা দেওয়া যায়। কিন্তু দালালদের সাহায্য না নিলে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা হয়রানি করেন। তাঁরা পাসপোর্ট ফরমে সংকেত ব্যবহার করেন। এ ছাড়া সেখানে কর্মরত কিছু আনসার সদস্যরাও এর সঙ্গ জড়িত। এসব আনসার সদস্যের মাধ্যমেই পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা-কর্মচারীরা বাড়তি টাকার ভাগ পান। ভুক্তভোগীদের দাবি ঘুষ না দিলে ফরম পূরণের সময় দেওয়া সব তথ্য ভুলে ভরে যায়, আর ঘুষ দিলে ভুলগুলো সহজেই নির্ভুল হয়ে যায়।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের বোয়ালমারীর উপজেলা থেকে পাসপোর্ট করতে আসা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমি ব্যাংক ড্রাফটের জন্য ৫ হাজার ৭৫০ টাকা দিয়েছি কিন্তু দালাল চক্রের সদস্যরা আমার কাছ থেকে আরও ১ হাজার ৫০০ টাকা নিয়েছেন।’
পাসপোর্ট অফিসের সামনে গড়ে ওঠা কিছু দোকানদার বলেন, ‘গ্রাম থেকে আসা কিছু মানুষ তাঁদের ফরম পূরণ করতে পারেন না। ওই ব্যক্তিদের সহযোগিতা করে আমরা সামান্য কিছু টাকা নিই নেই।
এদিকে, পাসপোর্ট অফিসে দালালদের দৌরাত্ম্যের কথা স্বীকার করে জেলা পুলিশ জানায়, পাসপোর্ট অফিসের দালালদের চিহ্নিত করা হয়েছে। গত শুক্রবার সেবাপ্রত্যাশীকে হয়রানির সময় হাতেনাতে ৫ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, পাসপোর্ট অফিসের দালাল চক্রকে ধরতে গোয়েন্দা পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। দালাল চক্রের সদস্যদের ধরতে আমরা তৎপর।
ফরিদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক শামীম আহম্মেদ বলেন, ‘এ অফিসে দালাল চক্র ঢোকার কোনো সুযোগ নেই। অফিসর চারদিকে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। অফিসের নিয়ম হলো, আবেদনকারী নিজে ফরম পূরণ করবেন, জমা দেবেন এবং কাজ হয়ে গেলে নিজে পাসপোর্ট নিয়ে যাবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিদিন ১০০-১৫০ ফাইল জমা পড়ে। তবে, কেউ কোনো হয়রানির শিকার হন না। আমরা চেষ্টা করছি সেবা দিতে, কাউকে হয়রানি করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। এরপরও যদি অভিযোগ ওঠে তাহলে আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করব।’
জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, ‘লিখিত কোনো অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং আমরা এ বিষয়ে তদন্ত করে অভিযান পরিচালনা করব।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে