আশিস রহমান, দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ)
বর্ষা কিংবা শরৎ। বারো মাসই রশি টেনে খেয়া পারাপার হতে হয় দোয়ারাবাজারের সুরমা ইউনিয়নের খাসিয়ামারা নদীতে। দুই ইউনিয়নের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ উপজেলা ও জেলা সদরে যাতায়াত করে। অবশেষে স্বাধীনতার ৫০ বছর পর হাওরপাড়ের মানুষের স্বপ্নপূরণ হতে যাচ্ছে। খাসিয়ামারা নদীতে নির্মিত হতে যাচ্ছে সেতু। এ সেতু তৈরি হলে দীর্ঘদিনের ভোগান্তি দূর হবে—এমন প্রত্যাশা স্থানীয়েদের।
জানা যায়, সুরমা ইউনিয়নের কানলার হাওর অধ্যুষিত ও লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের অর্ধলক্ষ মানুষ খেয়া পার হয়ে যাতায়াত করে। এসব এলাকার মানুষ প্রায় পাঁচ দশক ধরে বাণিজ্যিকভাবে মৎস্য খামার, সবজি চাষ ও বোরো ধান আবাদ করে আসছেন। নাজুক যোগাযোগব্যবস্থার কারণে চাষি ও খামারিদের বাড়তি খরচ গুনতে হয়। হাওরের উৎপাদিত ফসল বাজারজাত করতে হিমশিম খেতে হয় তাঁদের।
সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ মুহিবুর রহমান মানিক ২ ফেব্রুয়ারি খাসিয়ামারা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এর পর থেকে হাওরপাড়ের ঘরে ঘরে বইছে আনন্দের জোয়ার।
স্থানীয়রা জানান, ঝুঁকি নিয়ে খাসিয়ামারা নদীতে রশি টেনে খেয়া পারাপার হতে হয় তাঁদের। বিশেষ করে বর্ষাকালে দুর্ভোগ বেড়ে যায়। বেশি ঝুঁকিতে পড়তে হয় শিশু, বয়োজ্যেষ্ঠ ও অন্তঃসত্ত্বাদের। এদিকে রাতের আঁধারে খেয়া পারাপারে ঝুঁকি বেড়ে যায় দ্বিগুণ। অনেকে প্রয়োজনেও সদরে যেতে পারে না।
এদিকে খাসিয়ামারা সেতু নির্মিত হলে হাওরপাড়ের বেহাল অর্থনৈতিক দৃশ্যপট পাল্টে যাবে। কানলার হাওরপাড়ে উৎপাদিত মৌসুমি সবজি ও বাণিজ্যিক মৎস্য খামারের মাছ জেলা ও বিভাগীয় শহরে সরাসরি বাজারজাত করা যাবে। এতে মাছচাষি ও কৃষকেরা লাভবান হবেন।
এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দোয়ারাবাজার থেকে টেংরাটিলা হয়ে আলীপুর সড়কে খাসিয়ামারা নদীতে এ সেতু নির্মাণ করা হবে। ৫০০ মিটার চেইনেজে ৭৫ মিটার পিসি গার্ডার এ সেতুর বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৪ কোটি ২৬ লাখ ৯৪ হাজার টাকা।
আলীপুর গ্রামের বাসিন্দা মুহম্মদ মশিউর রহমান বলেন, ‘আমরা শৈশবে খাসিয়ামারা নদী সাঁতরে বিদ্যালয়ে গিয়েছি। আর এখন রশি টানা খেয়া দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়। এতে বেশি ঝুঁকিতে পড়তে হয় শিশুসহ বয়োজ্যেষ্ঠদের।’
তিনি আরও বলেন, ‘নতুন প্রজন্ম ভবিষ্যতে এদিকে সেতু দিয়ে যাতায়াত করতে পারবে। আমাদের কাছে এটা এখনো স্বপ্ন মনে হয়।’
সুরমা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আব্দুর রউফ বলেন, ‘এ সেতুর মাধ্যমে উপজেলা সদর, জেলা ও বিভাগীয় শহরে সরাসরি সড়ক যোগাযোগের দ্বার উন্মোচিত হবে। কাউকে আর ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হবে না।’
সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ মুহিবুর রহমান মানিক বলেন, ‘আমার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল খাসিয়ামারা নদীতে সেতু তৈরির। আমি প্রতিশ্রুতি রেখেছি। ইতিমধ্যে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলাপ হয়েছে, অচিরেই কাজ শুরু হবে। ভবিষ্যতে রশি টেনে খেয়া পারাপার হতে হবে না। এ সেতু দিয়ে সরাসরি গাড়ি চলাচল করবে।’
বর্ষা কিংবা শরৎ। বারো মাসই রশি টেনে খেয়া পারাপার হতে হয় দোয়ারাবাজারের সুরমা ইউনিয়নের খাসিয়ামারা নদীতে। দুই ইউনিয়নের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ উপজেলা ও জেলা সদরে যাতায়াত করে। অবশেষে স্বাধীনতার ৫০ বছর পর হাওরপাড়ের মানুষের স্বপ্নপূরণ হতে যাচ্ছে। খাসিয়ামারা নদীতে নির্মিত হতে যাচ্ছে সেতু। এ সেতু তৈরি হলে দীর্ঘদিনের ভোগান্তি দূর হবে—এমন প্রত্যাশা স্থানীয়েদের।
জানা যায়, সুরমা ইউনিয়নের কানলার হাওর অধ্যুষিত ও লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের অর্ধলক্ষ মানুষ খেয়া পার হয়ে যাতায়াত করে। এসব এলাকার মানুষ প্রায় পাঁচ দশক ধরে বাণিজ্যিকভাবে মৎস্য খামার, সবজি চাষ ও বোরো ধান আবাদ করে আসছেন। নাজুক যোগাযোগব্যবস্থার কারণে চাষি ও খামারিদের বাড়তি খরচ গুনতে হয়। হাওরের উৎপাদিত ফসল বাজারজাত করতে হিমশিম খেতে হয় তাঁদের।
সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ মুহিবুর রহমান মানিক ২ ফেব্রুয়ারি খাসিয়ামারা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এর পর থেকে হাওরপাড়ের ঘরে ঘরে বইছে আনন্দের জোয়ার।
স্থানীয়রা জানান, ঝুঁকি নিয়ে খাসিয়ামারা নদীতে রশি টেনে খেয়া পারাপার হতে হয় তাঁদের। বিশেষ করে বর্ষাকালে দুর্ভোগ বেড়ে যায়। বেশি ঝুঁকিতে পড়তে হয় শিশু, বয়োজ্যেষ্ঠ ও অন্তঃসত্ত্বাদের। এদিকে রাতের আঁধারে খেয়া পারাপারে ঝুঁকি বেড়ে যায় দ্বিগুণ। অনেকে প্রয়োজনেও সদরে যেতে পারে না।
এদিকে খাসিয়ামারা সেতু নির্মিত হলে হাওরপাড়ের বেহাল অর্থনৈতিক দৃশ্যপট পাল্টে যাবে। কানলার হাওরপাড়ে উৎপাদিত মৌসুমি সবজি ও বাণিজ্যিক মৎস্য খামারের মাছ জেলা ও বিভাগীয় শহরে সরাসরি বাজারজাত করা যাবে। এতে মাছচাষি ও কৃষকেরা লাভবান হবেন।
এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দোয়ারাবাজার থেকে টেংরাটিলা হয়ে আলীপুর সড়কে খাসিয়ামারা নদীতে এ সেতু নির্মাণ করা হবে। ৫০০ মিটার চেইনেজে ৭৫ মিটার পিসি গার্ডার এ সেতুর বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৪ কোটি ২৬ লাখ ৯৪ হাজার টাকা।
আলীপুর গ্রামের বাসিন্দা মুহম্মদ মশিউর রহমান বলেন, ‘আমরা শৈশবে খাসিয়ামারা নদী সাঁতরে বিদ্যালয়ে গিয়েছি। আর এখন রশি টানা খেয়া দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়। এতে বেশি ঝুঁকিতে পড়তে হয় শিশুসহ বয়োজ্যেষ্ঠদের।’
তিনি আরও বলেন, ‘নতুন প্রজন্ম ভবিষ্যতে এদিকে সেতু দিয়ে যাতায়াত করতে পারবে। আমাদের কাছে এটা এখনো স্বপ্ন মনে হয়।’
সুরমা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আব্দুর রউফ বলেন, ‘এ সেতুর মাধ্যমে উপজেলা সদর, জেলা ও বিভাগীয় শহরে সরাসরি সড়ক যোগাযোগের দ্বার উন্মোচিত হবে। কাউকে আর ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হবে না।’
সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ মুহিবুর রহমান মানিক বলেন, ‘আমার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল খাসিয়ামারা নদীতে সেতু তৈরির। আমি প্রতিশ্রুতি রেখেছি। ইতিমধ্যে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলাপ হয়েছে, অচিরেই কাজ শুরু হবে। ভবিষ্যতে রশি টেনে খেয়া পারাপার হতে হবে না। এ সেতু দিয়ে সরাসরি গাড়ি চলাচল করবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৬ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪