আনিকা জীনাত, ঢাকা
কিছুদিন বিরতি দিয়ে আবারও করোনা-সুনামি এসেছে। যদিও এবার করোনার প্রাণঘাতী শক্তি কম, তবুও আঘাত ঠেকাতে নিজেকে প্রস্তুত করা চাই। এই প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বাসায় কিনে রাখতে পারেন পালস-অক্সিমিটার, জেনে রাখতে পারেন হটলাইন নম্বর, অল্প খরচে করোনা পরীক্ষা করানোর প্রয়োজনীয় ওয়েবসাইটের ঠিকানা। সঙ্গে রাখুন ব্যক্তিগত চিকিৎসকের নম্বর। এ বিষয়গুলো করোনা রোগে দ্রুত চিকিৎসাসেবা পেতে এবং অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সহায়তা করবে।
পালস-অক্সিমিটার
এটি ছোট ক্লিপের মতো একটি ডিভাইস, যার সাহায্যে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা মাপা যায়। করোনা মহামারি শুরুর পর থেকেই ডিভাইসটি জনপ্রিয় হয়েছে। কারণ অনেক করোনা রোগীরই তীব্র শ্বাসকষ্ট হয়। অক্সিজেনের মাত্রা কত তা জানতে ডিভাইসটি কাজে লাগে। অক্সিজেনের মাত্রা নিচে নামতে থাকলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।
সঠিক ফলাফলের জন্য
সাধারণত অক্সিমিটার আঙুলের মাথায় লাগালেই রিডিং আসে। যদি কখনো না আসে সে ক্ষেত্রে কিছু জিনিস বিবেচনায় রাখতে পারেন।
ব্যবহারের নিয়ম
কাপড়ের ক্লিপ বা ফাইল ক্লিপ যেমন একদিকে চাপ দিলে অন্যপাশটা হাঁ হয়ে যায়, তেমনি অক্সিমিটারেরও একপাশে চাপ দিয়ে অন্যপাশটা খুলতে হয়। এই হাঁ করা জায়গায় এলইডি লাইট থাকে। সেখানে তর্জনী বা মধ্যমা আঙুল ঢোকাতে হয়। ৩০ সেকেন্ড অপেক্ষা করলে স্ক্রিনে দুটি ফলাফল দেখা যায়। একটিতে থাকে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা, আরেকটিতে থাকে হৃৎস্পন্দনের মাত্রা। যদি অক্সিজেনের মাত্রা ৯৩ শতাংশের নিচে নামে তবে দেরি না করে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। এর পাশাপাশি আরও কয়েকটি লক্ষণের দিকে নজর রাখতে হবে। যেমন,
কানের লতি বা পায়ের বুড়ো আঙুল দিয়েও অক্সিজেনের মাত্রা মাপা যায়। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা মাপতে অক্সিমিটার আলো ব্যবহার করে থাকে। তাই পুরো কাজ সম্পন্ন হয় ব্যথাহীন প্রক্রিয়ায়।
করোনাকালে অক্সিমিটারের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শাফেয়ী আলম তুলতুল বলেন, ‘অক্সিমিটার ঘরে রাখা জরুরি। কারণ এখন অনেক সময় করোনায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে তীব্র উপসর্গ দেখা যায় না। তাই ঠান্ডা লেগেছে ভেবে পরীক্ষাও করা হয় না। কিন্তু বয়স্ক রোগীদের অক্সিজেনের মাত্রা কমলে তাঁদের হাসপাতালে নিতে হয়। তাঁদের যে অক্সিজেন লেভেল কমে গেছে, সেটা আগেভাগে বুঝতে হলে অক্সিমিটার ব্যবহার করতে হবে।’
দরদাম
সব অক্সিমিটারই প্রায় এক রকম রিডিং দেখায়। তাই নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডেরই কিনতে হবে এমন কোনো কথা
নেই। ব্র্যান্ডভেদে ১ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২ হাজার টাকার মধ্যেই পাওয়া যায় অক্সিমিটার। যেকোনো বড় ফার্মেসিতে কিনতে পাওয়া যায় এটি।
হট লাইন নম্বর
গ্যাজেট ব্যবহার করলে বুঝতে পারবেন কখন হাসপাতালে যেতে হবে। আর ওয়েবসাইটে ঢুঁ মারলে জানতে পারবেন কখন কী করতে হবে। সরকারের তৈরি ‘সুরক্ষা’ ওয়েবসাইটে ঢুকলে হোম পেজেই পাবেন হটলাইন নম্বর।
কোন নম্বরে কী
‘surokkha.gov.bd’ ওয়েবসাইটের একদম নিচের দিকে সহায়িকা নামের একটি অংশ আছে। তাতে ক্লিক করলে কীভাবে টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে হবে, তার নির্দেশনা পাওয়া যাবে। টিকা-সংক্রান্ত সচরাচর যে প্রশ্নগুলো করা হয় তার একটি তালিকা পাওয়া যাবে
জিজ্ঞাসা অংশে।
ওয়েবসাইট
সরকারি ওয়েবসাইট ‘corona.gov.bd’ থেকে জানা যাবে করোনার বর্তমান পরিস্থিতি, সামাজিক সুরক্ষা, করোনা প্রতিরোধ ও করোনা নিরাময়সংক্রান্ত তথ্য। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা, সরকারি বিধিনিষেধ, করোনা উপসর্গ, করোনা-পরবর্তী স্বাস্থ্যসমস্যা এবং সেবা বিষয়ে তথ্য পাওয়া যাবে এই ওয়েবসাইটে।
কম খরচে করোনার পরীক্ষা
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের উদ্যোগে ঢাকা, সাভার, গাজীপুর ও চট্টগ্রাম মিলে ২৯টি নমুনা সংগ্রহের বুথ বসানো হয়েছে। কোভিড-১৯ নমুনা সংগ্রহ করে খুব কম সময়ের মধ্যে তারা ফলাফল জানিয়ে দেয়। কোভিড-১৯ টেস্ট করাতে ‘coronatest.brac.net’ এ ঠিকানায় গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। টেস্ট করাতে নগদ অ্যাপের মাধ্যমে মাত্র ১০০ টাকা বিল পরিশোধ করতে হবে।এ ছাড়া সঙ্গে রাখুন ব্যক্তিগত চিকিৎসকের যোগাযোগ নম্বর, অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস নম্বর, অক্সিজেন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের নম্বর।
কিছুদিন বিরতি দিয়ে আবারও করোনা-সুনামি এসেছে। যদিও এবার করোনার প্রাণঘাতী শক্তি কম, তবুও আঘাত ঠেকাতে নিজেকে প্রস্তুত করা চাই। এই প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বাসায় কিনে রাখতে পারেন পালস-অক্সিমিটার, জেনে রাখতে পারেন হটলাইন নম্বর, অল্প খরচে করোনা পরীক্ষা করানোর প্রয়োজনীয় ওয়েবসাইটের ঠিকানা। সঙ্গে রাখুন ব্যক্তিগত চিকিৎসকের নম্বর। এ বিষয়গুলো করোনা রোগে দ্রুত চিকিৎসাসেবা পেতে এবং অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সহায়তা করবে।
পালস-অক্সিমিটার
এটি ছোট ক্লিপের মতো একটি ডিভাইস, যার সাহায্যে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা মাপা যায়। করোনা মহামারি শুরুর পর থেকেই ডিভাইসটি জনপ্রিয় হয়েছে। কারণ অনেক করোনা রোগীরই তীব্র শ্বাসকষ্ট হয়। অক্সিজেনের মাত্রা কত তা জানতে ডিভাইসটি কাজে লাগে। অক্সিজেনের মাত্রা নিচে নামতে থাকলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।
সঠিক ফলাফলের জন্য
সাধারণত অক্সিমিটার আঙুলের মাথায় লাগালেই রিডিং আসে। যদি কখনো না আসে সে ক্ষেত্রে কিছু জিনিস বিবেচনায় রাখতে পারেন।
ব্যবহারের নিয়ম
কাপড়ের ক্লিপ বা ফাইল ক্লিপ যেমন একদিকে চাপ দিলে অন্যপাশটা হাঁ হয়ে যায়, তেমনি অক্সিমিটারেরও একপাশে চাপ দিয়ে অন্যপাশটা খুলতে হয়। এই হাঁ করা জায়গায় এলইডি লাইট থাকে। সেখানে তর্জনী বা মধ্যমা আঙুল ঢোকাতে হয়। ৩০ সেকেন্ড অপেক্ষা করলে স্ক্রিনে দুটি ফলাফল দেখা যায়। একটিতে থাকে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা, আরেকটিতে থাকে হৃৎস্পন্দনের মাত্রা। যদি অক্সিজেনের মাত্রা ৯৩ শতাংশের নিচে নামে তবে দেরি না করে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। এর পাশাপাশি আরও কয়েকটি লক্ষণের দিকে নজর রাখতে হবে। যেমন,
কানের লতি বা পায়ের বুড়ো আঙুল দিয়েও অক্সিজেনের মাত্রা মাপা যায়। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা মাপতে অক্সিমিটার আলো ব্যবহার করে থাকে। তাই পুরো কাজ সম্পন্ন হয় ব্যথাহীন প্রক্রিয়ায়।
করোনাকালে অক্সিমিটারের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শাফেয়ী আলম তুলতুল বলেন, ‘অক্সিমিটার ঘরে রাখা জরুরি। কারণ এখন অনেক সময় করোনায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে তীব্র উপসর্গ দেখা যায় না। তাই ঠান্ডা লেগেছে ভেবে পরীক্ষাও করা হয় না। কিন্তু বয়স্ক রোগীদের অক্সিজেনের মাত্রা কমলে তাঁদের হাসপাতালে নিতে হয়। তাঁদের যে অক্সিজেন লেভেল কমে গেছে, সেটা আগেভাগে বুঝতে হলে অক্সিমিটার ব্যবহার করতে হবে।’
দরদাম
সব অক্সিমিটারই প্রায় এক রকম রিডিং দেখায়। তাই নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডেরই কিনতে হবে এমন কোনো কথা
নেই। ব্র্যান্ডভেদে ১ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২ হাজার টাকার মধ্যেই পাওয়া যায় অক্সিমিটার। যেকোনো বড় ফার্মেসিতে কিনতে পাওয়া যায় এটি।
হট লাইন নম্বর
গ্যাজেট ব্যবহার করলে বুঝতে পারবেন কখন হাসপাতালে যেতে হবে। আর ওয়েবসাইটে ঢুঁ মারলে জানতে পারবেন কখন কী করতে হবে। সরকারের তৈরি ‘সুরক্ষা’ ওয়েবসাইটে ঢুকলে হোম পেজেই পাবেন হটলাইন নম্বর।
কোন নম্বরে কী
‘surokkha.gov.bd’ ওয়েবসাইটের একদম নিচের দিকে সহায়িকা নামের একটি অংশ আছে। তাতে ক্লিক করলে কীভাবে টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে হবে, তার নির্দেশনা পাওয়া যাবে। টিকা-সংক্রান্ত সচরাচর যে প্রশ্নগুলো করা হয় তার একটি তালিকা পাওয়া যাবে
জিজ্ঞাসা অংশে।
ওয়েবসাইট
সরকারি ওয়েবসাইট ‘corona.gov.bd’ থেকে জানা যাবে করোনার বর্তমান পরিস্থিতি, সামাজিক সুরক্ষা, করোনা প্রতিরোধ ও করোনা নিরাময়সংক্রান্ত তথ্য। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা, সরকারি বিধিনিষেধ, করোনা উপসর্গ, করোনা-পরবর্তী স্বাস্থ্যসমস্যা এবং সেবা বিষয়ে তথ্য পাওয়া যাবে এই ওয়েবসাইটে।
কম খরচে করোনার পরীক্ষা
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের উদ্যোগে ঢাকা, সাভার, গাজীপুর ও চট্টগ্রাম মিলে ২৯টি নমুনা সংগ্রহের বুথ বসানো হয়েছে। কোভিড-১৯ নমুনা সংগ্রহ করে খুব কম সময়ের মধ্যে তারা ফলাফল জানিয়ে দেয়। কোভিড-১৯ টেস্ট করাতে ‘coronatest.brac.net’ এ ঠিকানায় গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। টেস্ট করাতে নগদ অ্যাপের মাধ্যমে মাত্র ১০০ টাকা বিল পরিশোধ করতে হবে।এ ছাড়া সঙ্গে রাখুন ব্যক্তিগত চিকিৎসকের যোগাযোগ নম্বর, অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস নম্বর, অক্সিজেন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের নম্বর।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে