আমানুর রহমান রনি, ঢাকা
দেশে শিশুদের যৌন নিপীড়নের ঘটনাই শুধু ঘটছে না, এগুলোর ভিডিও ধারণ ও সংরক্ষণও করা হচ্ছে। এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে শিশুদের ঘনিষ্ঠরাই। এই ভিডিওর কিছু বিক্রি হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন পর্নো সাইটে। এই বাণিজ্যে জড়িত কয়েকটি চক্র। তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত ভারতীয় চক্র। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগসহ (সিআইডি) বিভিন্ন বিভাগের সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল সেন্টার ফর মিসিং অ্যান্ড এক্সপ্লয়টেড চিলড্রেনের (এনসিএমইসি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বাংলাদেশে বিভিন্ন ডিভাইস ও ড্রাইভে সংরক্ষিত ১৭ লাখ ৪৩ হাজার ২৪০টি পর্নোগ্রাফি ও শিশু যৌন নিপীড়নের ভিডিও ছিল। ২০২২ সালে এর সংখ্যা দাঁড়ায় ২১ লাখ ৪৫ হাজার ৯৮টি।
এনসিএমইসি শিশু যৌন নির্যাতন বন্ধ, শিশু পর্নোগ্রাফি নির্মূলসহ শিশুদের অধিকার নিয়ে কাজ করে। যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান (যেমন ফেসবুক, গুগল, মাইক্রোসফট) তাদের নেটওয়ার্কে শিশুদের যৌনকাজে ব্যবহার, যৌন নিপীড়ন-সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য এনসিএমইসিকে জানায়। এনসিএমইসি সেই তথ্য যুক্তরাষ্ট্র সরকার এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দেয়।
এনসিএমইসি বাংলাদেশ পুলিশের সিআইডিকেও তথ্যগত এবং আইনগত সহায়তা করে। প্রায়ই তাদের তথ্যের ভিত্তিতে সিআইডি দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। যেমন গত ৩১ মে সিআইডির সিপিসির সাইবার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্টের একটি বিশেষ দল গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে মো. ইনজামুল ইসলাম (২৬) নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ২০১৯ সালে এক নারীর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে তিনি ওই নারীর শিশুকন্যা ও মেয়ের বান্ধবীকে যৌন নিপীড়ন করে ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। সেগুলো তাঁর মোবাইল ফোনের স্টোরেজ ও গুগল ড্রাইভে সংরক্ষণ করেন। গ্রেপ্তারের পর তাঁর মোবাইলে নগ্ন ছবি, ভিডিও এবং শিশু পর্নোগ্রাফির প্রচুর কনটেন্ট পায় সিআইডি। তাঁর বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে।
সিআইডির কর্মকর্তারা বলছেন, নিকটাত্মীয়, পরিবারের ঘনিষ্ঠজন, গৃহশিক্ষক, গৃহকর্মী, প্রতিবেশী, কিশোর বয়সী বন্ধু-বান্ধবীরা শিশুদের যৌন নিপীড়ন ও এর ভিডিও ধারণে জড়িত। এসব ভিডিও তারা বিভিন্ন ডিভাইস ও ড্রাইভে সংরক্ষণও করে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের পরিসংখ্যান বলছে, এই বিভাগে ২০২০ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত শিশু পর্নোগ্রাফির মামলা ছিল ৮টি। ২০২১ সালে তদন্তাধীন ছিল ২৯টি। ২০২২ সালে ৩৫টি এবং ২০২৩ সালের প্রথম পাঁচ মাসে ৬টি মামলা তারা তদন্ত করে।
ডিবির এই বিভাগ বলছে, ঘটনার চেয়ে মামলার সংখ্যা অনেক কম। কারণ, লোকলজ্জার ভয়ে ভুক্তভোগী অধিকাংশ পরিবার মামলা করে না। অনেক অপরাধীরা টাকা দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়। কেউ কেউ মামলা করেন।
ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের উপকমিশনার তারেক বিন রশীদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিকটাত্মীয়, ঘনিষ্ঠজন, বন্ধুরা এমন ভিডিও ধারণের পর ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের ব্ল্যাকমেল করা হয়।
ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ বলছে, শিশু পর্নোগ্রাফি এবং আপত্তিকর ভিডিও অনলাইনে বিক্রি করা হয়। এর সঙ্গে দেশের কয়েকটি চক্র জড়িত। এরা অনলাইনে ভারতীয় চক্রের কাছে এসব ভিডিও বিক্রি করে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা আনে। এমন একটি চক্রের আবদুল হালিম, মোজাহিদ ও আবদুল্লাহ নামের তিনজনকে নভেম্বরে গ্রেপ্তার করেছে তারা। তাঁদের কাছ থেকে তিনটি মোবাইল ফোন ও ১৪টি সিমকার্ড জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় রমনা থানায় করা মামলাটির তদন্ত করছে সিটিটিসি।
সিটিটিসির সহকারী কমিশনার আরিফুল হোসেইন তুহিন বলেন, চক্রটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও টেলিগ্রাম ব্যবহার করে পর্নোগ্রাফি ভিডিও বিক্রি করত। তাদের মোবাইল ফোনে বিপুল পরিমাণ পর্নোগ্রাফি ভিডিও কনটেন্ট পাওয়া যায়।
শিশুদের এই বিপদ থেকে রক্ষা করতে অভিভাবকদের সচেতন ও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সিআইডির পুলিশ সুপার (সাইবার) মুহাম্মদ রেজাউল মাসুদ। তিনি বলেন, পরিচিতজনদের মাধ্যমেই শিশুরা বেশি যৌন নিপীড়নের শিকার হয়।
দেশে শিশুদের যৌন নিপীড়নের ঘটনাই শুধু ঘটছে না, এগুলোর ভিডিও ধারণ ও সংরক্ষণও করা হচ্ছে। এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে শিশুদের ঘনিষ্ঠরাই। এই ভিডিওর কিছু বিক্রি হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন পর্নো সাইটে। এই বাণিজ্যে জড়িত কয়েকটি চক্র। তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত ভারতীয় চক্র। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগসহ (সিআইডি) বিভিন্ন বিভাগের সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল সেন্টার ফর মিসিং অ্যান্ড এক্সপ্লয়টেড চিলড্রেনের (এনসিএমইসি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বাংলাদেশে বিভিন্ন ডিভাইস ও ড্রাইভে সংরক্ষিত ১৭ লাখ ৪৩ হাজার ২৪০টি পর্নোগ্রাফি ও শিশু যৌন নিপীড়নের ভিডিও ছিল। ২০২২ সালে এর সংখ্যা দাঁড়ায় ২১ লাখ ৪৫ হাজার ৯৮টি।
এনসিএমইসি শিশু যৌন নির্যাতন বন্ধ, শিশু পর্নোগ্রাফি নির্মূলসহ শিশুদের অধিকার নিয়ে কাজ করে। যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান (যেমন ফেসবুক, গুগল, মাইক্রোসফট) তাদের নেটওয়ার্কে শিশুদের যৌনকাজে ব্যবহার, যৌন নিপীড়ন-সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য এনসিএমইসিকে জানায়। এনসিএমইসি সেই তথ্য যুক্তরাষ্ট্র সরকার এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দেয়।
এনসিএমইসি বাংলাদেশ পুলিশের সিআইডিকেও তথ্যগত এবং আইনগত সহায়তা করে। প্রায়ই তাদের তথ্যের ভিত্তিতে সিআইডি দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। যেমন গত ৩১ মে সিআইডির সিপিসির সাইবার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্টের একটি বিশেষ দল গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে মো. ইনজামুল ইসলাম (২৬) নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ২০১৯ সালে এক নারীর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে তিনি ওই নারীর শিশুকন্যা ও মেয়ের বান্ধবীকে যৌন নিপীড়ন করে ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। সেগুলো তাঁর মোবাইল ফোনের স্টোরেজ ও গুগল ড্রাইভে সংরক্ষণ করেন। গ্রেপ্তারের পর তাঁর মোবাইলে নগ্ন ছবি, ভিডিও এবং শিশু পর্নোগ্রাফির প্রচুর কনটেন্ট পায় সিআইডি। তাঁর বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে।
সিআইডির কর্মকর্তারা বলছেন, নিকটাত্মীয়, পরিবারের ঘনিষ্ঠজন, গৃহশিক্ষক, গৃহকর্মী, প্রতিবেশী, কিশোর বয়সী বন্ধু-বান্ধবীরা শিশুদের যৌন নিপীড়ন ও এর ভিডিও ধারণে জড়িত। এসব ভিডিও তারা বিভিন্ন ডিভাইস ও ড্রাইভে সংরক্ষণও করে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের পরিসংখ্যান বলছে, এই বিভাগে ২০২০ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত শিশু পর্নোগ্রাফির মামলা ছিল ৮টি। ২০২১ সালে তদন্তাধীন ছিল ২৯টি। ২০২২ সালে ৩৫টি এবং ২০২৩ সালের প্রথম পাঁচ মাসে ৬টি মামলা তারা তদন্ত করে।
ডিবির এই বিভাগ বলছে, ঘটনার চেয়ে মামলার সংখ্যা অনেক কম। কারণ, লোকলজ্জার ভয়ে ভুক্তভোগী অধিকাংশ পরিবার মামলা করে না। অনেক অপরাধীরা টাকা দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়। কেউ কেউ মামলা করেন।
ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের উপকমিশনার তারেক বিন রশীদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিকটাত্মীয়, ঘনিষ্ঠজন, বন্ধুরা এমন ভিডিও ধারণের পর ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের ব্ল্যাকমেল করা হয়।
ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ বলছে, শিশু পর্নোগ্রাফি এবং আপত্তিকর ভিডিও অনলাইনে বিক্রি করা হয়। এর সঙ্গে দেশের কয়েকটি চক্র জড়িত। এরা অনলাইনে ভারতীয় চক্রের কাছে এসব ভিডিও বিক্রি করে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা আনে। এমন একটি চক্রের আবদুল হালিম, মোজাহিদ ও আবদুল্লাহ নামের তিনজনকে নভেম্বরে গ্রেপ্তার করেছে তারা। তাঁদের কাছ থেকে তিনটি মোবাইল ফোন ও ১৪টি সিমকার্ড জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় রমনা থানায় করা মামলাটির তদন্ত করছে সিটিটিসি।
সিটিটিসির সহকারী কমিশনার আরিফুল হোসেইন তুহিন বলেন, চক্রটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও টেলিগ্রাম ব্যবহার করে পর্নোগ্রাফি ভিডিও বিক্রি করত। তাদের মোবাইল ফোনে বিপুল পরিমাণ পর্নোগ্রাফি ভিডিও কনটেন্ট পাওয়া যায়।
শিশুদের এই বিপদ থেকে রক্ষা করতে অভিভাবকদের সচেতন ও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সিআইডির পুলিশ সুপার (সাইবার) মুহাম্মদ রেজাউল মাসুদ। তিনি বলেন, পরিচিতজনদের মাধ্যমেই শিশুরা বেশি যৌন নিপীড়নের শিকার হয়।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে