রাশেদ রাব্বি, ঢাকা
দেশে অসংক্রামক রোগে মৃত্যুর প্রধান কারণ হৃদ্রোগ। কিন্তু দেশে এ-সংক্রান্ত চিকিৎসক ও চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠানের ঘাটতি আছে। এ সমস্যা সমাধানে কার্যকর পথ হতে পারে ‘রিভার্স পিসিআই’। জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সাবেক পরিচালক হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. আফজালুর রহমানের গবেষণায় বিষয়টি উঠে এসেছে। তাঁর এই গবেষণা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতও হয়েছে। গবেষণায় তিনি দেখিয়েছেন, রিভার্স পিসিআই পদ্ধতিতে অব্যবহৃত ক্যাথল্যাব ব্যবহার করে বহু হৃদ্রোগীর জীবন বাঁচানো সম্ভব।
হৃদ্যন্ত্রের রক্তনালি বন্ধ হয়ে গেলে বুক না কেটে পারকিউটেনিয়াস করোনারি ইন্টারভেনশন (পিসিআই) পদ্ধতিতে ব্লক অপসারণে করোনারি স্টেন্ট (যা হার্টের রিং নামে পরিচিত) লাগানো যায়। একজন রোগীর পিসিআই করতে কার্ডিয়াক ক্যাথল্যাবে দক্ষ ইন্টারভেনশনাল টিম দরকার হয়। একজন হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ, ক্যাথল্যাব টেকনিশিয়ান এবং দক্ষ নার্সের সমন্বয়ে গঠন করতে হয় সে টিম। বাংলাদেশে এ রকম ‘পিসিআই’ টিমের সংখ্যা অপ্রতুল।
অধ্যাপক ডা. আফজালুর রহমান তাঁর গবেষণায় কীভাবে সীমিতসংখ্যক টিম দিয়েই দেশব্যাপী বেশিসংখ্যক হৃদ্রোগীকে চিকিৎসার আওতায় আনা যায়, তার একটি নতুন পদ্ধতি বের করেছেন। তিনি এই পদ্ধতির নাম দিয়েছেন ‘রিভার্স পিসিআই’। ফ্রান্সের প্যারিসে গত ১৪ মে থেকে ১৭ মে অনুষ্ঠিত বিশ্বের বৃহৎ ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি কনফারেন্স ‘ইউরো পিসিআর’-এ তাঁর এই গবেষণার সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করা হয়। গবেষণার ফলাফল সম্মেলনের অনলাইন জার্নাল ‘ইউরোপিসিআর ২০২৪ অ্যাবস্ট্রাক্ট বুক’-এ প্রকাশ হয়েছে।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, দেশে অসংক্রামক রোগে মৃত্যুর ২১ শতাংশই ঘটছে হৃদ্রোগে। গবেষণায় আফজালুর রহমান দেখিয়েছেন, যেখানে ইন্টারভেনশনাল হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ, দক্ষ ক্যাথল্যাব টেকনিশিয়ান এবং নার্স নেই, সেখানেও ক্যাথল্যাব প্রতিষ্ঠা করে রোগীকে স্থানান্তর না করেই রিং পরানো সম্ভব। এ ক্ষেত্রে স্থানান্তর করতে হবে দক্ষ ক্যাথল্যাব টিম। অর্থাৎ, একই টিম কয়েকটি ক্যাথল্যাবে পিসিআই সেবা দেবে। এভাবে সীমিতসংখ্যক জনবল দিয়েই বহুসংখ্যক হৃদ্রোগীর জীবন বাঁচানো সম্ভব।
অধ্যাপক আফজালুর রহমান বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হাসপাতালে ২৭১ জন রোগীর ওপর এই গবেষণা করেছেন। এতে দেখা গেছে, ক্যাথল্যাব আছে কিন্তু দক্ষ জনবল নেই– এমন হাসপাতালে প্রয়োজন ও সময়মতো ‘রিভার্স পিসিআই টিম’ নিয়ে গিয়ে কাঙ্ক্ষিত সেবা সফলভাবে দেওয়া সম্ভব।
এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক ডা. মো. আফজালুর রহমান বলেন, ‘আমার গবেষণাটি প্যারিসের সম্মেলনের মাধ্যমে পৃথিবীব্যাপী স্বীকৃতি পেয়েছে। আমাদের দেশের মতো পৃথিবীর বহু দেশে, যেখানে দক্ষ জনবল সীমিত, সেসব দেশে এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে হৃদ্রোগের ইন্টারভেনশনাল চিকিৎসাপদ্ধতি দ্রুত বিস্তার করা সম্ভব হবে। লোকবলের অভাবে যেসব স্থানে এই চিকিৎসার বিস্তার ঘটানো যাচ্ছে না, সেখানে চিকিৎসা নিশ্চিত করা যাবে, একসময় সেখানেও দক্ষ টিম গড়ে উঠবে। তখন আর টিম স্থানান্তরের দরকার পড়বে না।’
অধ্যাপক আফজালুর রহমান বাংলাদেশে প্রথম গাজীপুরের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কে পি জে স্পেশালাইজড হাসপাতালে এই পদ্ধতিতে হৃদ্রোগীদের চিকিৎসা শুরু করেন। দক্ষ হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ, ক্যাথল্যাব টেকনিশিয়ান এবং নার্সের সমন্বয়ে ওই হাসপাতালে গড়ে তোলেন প্রশিক্ষিত টিম।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের অনেক সরকারি হাসপাতালে ক্যাথল্যাব আছে। চিকিৎসকের অভাবে সেগুলো রোগীদের কাজে আসছে না। অধ্যাপক আফজাল যদি এ ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেন, তাহলে সেগুলো সচল করা সম্ভব হবে। আমি আশা করছি, তাঁর গবেষণায় দেশের মানুষ উপকৃত হবে।’
দেশে অসংক্রামক রোগে মৃত্যুর প্রধান কারণ হৃদ্রোগ। কিন্তু দেশে এ-সংক্রান্ত চিকিৎসক ও চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠানের ঘাটতি আছে। এ সমস্যা সমাধানে কার্যকর পথ হতে পারে ‘রিভার্স পিসিআই’। জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সাবেক পরিচালক হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. আফজালুর রহমানের গবেষণায় বিষয়টি উঠে এসেছে। তাঁর এই গবেষণা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতও হয়েছে। গবেষণায় তিনি দেখিয়েছেন, রিভার্স পিসিআই পদ্ধতিতে অব্যবহৃত ক্যাথল্যাব ব্যবহার করে বহু হৃদ্রোগীর জীবন বাঁচানো সম্ভব।
হৃদ্যন্ত্রের রক্তনালি বন্ধ হয়ে গেলে বুক না কেটে পারকিউটেনিয়াস করোনারি ইন্টারভেনশন (পিসিআই) পদ্ধতিতে ব্লক অপসারণে করোনারি স্টেন্ট (যা হার্টের রিং নামে পরিচিত) লাগানো যায়। একজন রোগীর পিসিআই করতে কার্ডিয়াক ক্যাথল্যাবে দক্ষ ইন্টারভেনশনাল টিম দরকার হয়। একজন হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ, ক্যাথল্যাব টেকনিশিয়ান এবং দক্ষ নার্সের সমন্বয়ে গঠন করতে হয় সে টিম। বাংলাদেশে এ রকম ‘পিসিআই’ টিমের সংখ্যা অপ্রতুল।
অধ্যাপক ডা. আফজালুর রহমান তাঁর গবেষণায় কীভাবে সীমিতসংখ্যক টিম দিয়েই দেশব্যাপী বেশিসংখ্যক হৃদ্রোগীকে চিকিৎসার আওতায় আনা যায়, তার একটি নতুন পদ্ধতি বের করেছেন। তিনি এই পদ্ধতির নাম দিয়েছেন ‘রিভার্স পিসিআই’। ফ্রান্সের প্যারিসে গত ১৪ মে থেকে ১৭ মে অনুষ্ঠিত বিশ্বের বৃহৎ ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি কনফারেন্স ‘ইউরো পিসিআর’-এ তাঁর এই গবেষণার সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করা হয়। গবেষণার ফলাফল সম্মেলনের অনলাইন জার্নাল ‘ইউরোপিসিআর ২০২৪ অ্যাবস্ট্রাক্ট বুক’-এ প্রকাশ হয়েছে।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, দেশে অসংক্রামক রোগে মৃত্যুর ২১ শতাংশই ঘটছে হৃদ্রোগে। গবেষণায় আফজালুর রহমান দেখিয়েছেন, যেখানে ইন্টারভেনশনাল হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ, দক্ষ ক্যাথল্যাব টেকনিশিয়ান এবং নার্স নেই, সেখানেও ক্যাথল্যাব প্রতিষ্ঠা করে রোগীকে স্থানান্তর না করেই রিং পরানো সম্ভব। এ ক্ষেত্রে স্থানান্তর করতে হবে দক্ষ ক্যাথল্যাব টিম। অর্থাৎ, একই টিম কয়েকটি ক্যাথল্যাবে পিসিআই সেবা দেবে। এভাবে সীমিতসংখ্যক জনবল দিয়েই বহুসংখ্যক হৃদ্রোগীর জীবন বাঁচানো সম্ভব।
অধ্যাপক আফজালুর রহমান বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হাসপাতালে ২৭১ জন রোগীর ওপর এই গবেষণা করেছেন। এতে দেখা গেছে, ক্যাথল্যাব আছে কিন্তু দক্ষ জনবল নেই– এমন হাসপাতালে প্রয়োজন ও সময়মতো ‘রিভার্স পিসিআই টিম’ নিয়ে গিয়ে কাঙ্ক্ষিত সেবা সফলভাবে দেওয়া সম্ভব।
এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক ডা. মো. আফজালুর রহমান বলেন, ‘আমার গবেষণাটি প্যারিসের সম্মেলনের মাধ্যমে পৃথিবীব্যাপী স্বীকৃতি পেয়েছে। আমাদের দেশের মতো পৃথিবীর বহু দেশে, যেখানে দক্ষ জনবল সীমিত, সেসব দেশে এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে হৃদ্রোগের ইন্টারভেনশনাল চিকিৎসাপদ্ধতি দ্রুত বিস্তার করা সম্ভব হবে। লোকবলের অভাবে যেসব স্থানে এই চিকিৎসার বিস্তার ঘটানো যাচ্ছে না, সেখানে চিকিৎসা নিশ্চিত করা যাবে, একসময় সেখানেও দক্ষ টিম গড়ে উঠবে। তখন আর টিম স্থানান্তরের দরকার পড়বে না।’
অধ্যাপক আফজালুর রহমান বাংলাদেশে প্রথম গাজীপুরের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কে পি জে স্পেশালাইজড হাসপাতালে এই পদ্ধতিতে হৃদ্রোগীদের চিকিৎসা শুরু করেন। দক্ষ হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ, ক্যাথল্যাব টেকনিশিয়ান এবং নার্সের সমন্বয়ে ওই হাসপাতালে গড়ে তোলেন প্রশিক্ষিত টিম।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের অনেক সরকারি হাসপাতালে ক্যাথল্যাব আছে। চিকিৎসকের অভাবে সেগুলো রোগীদের কাজে আসছে না। অধ্যাপক আফজাল যদি এ ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেন, তাহলে সেগুলো সচল করা সম্ভব হবে। আমি আশা করছি, তাঁর গবেষণায় দেশের মানুষ উপকৃত হবে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৫ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪