রাস্তায় গর্ত, চলাচলে দুর্ভোগ

শাহাদাত হোসেন সায়মন, গজারিয়া (মুন্সিগঞ্জ)
প্রকাশ : ২২ মে ২০২২, ০৬: ৫৩
আপডেট : ২২ মে ২০২২, ০৮: ৩৭

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার টেঙ্গারচর ইউনিয়নে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে বড়ইকান্দি ভাটেরচর গ্রামে যাওয়ার রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছে ছোট বড় গর্ত। বৃষ্টি হলেই এসব গর্তে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের দুর্ভোগের শেষ নেই।

গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, তিন ঘণ্টার বৃষ্টিতে ভাটেরচর বাসস্ট্যান্ড থেকে বড়ইকান্দি ভাটেরচর গ্রামের শেষ পর্যন্ত রাস্তায় একাধিক স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এ রাস্তায় সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ ছোট যানবাহন চলাচল করে। রাস্তার গর্তে পানি জমে গেলে এসব যানবাহনও চলাচল করতে পারে না।

বড়ইকান্দি ভাটেরচর গ্রামের মাসুমের বাড়িসংলগ্ন পাকা রাস্তায় জলাবদ্ধতার মধ্যেই যাতায়াত করছে অটোরিকশাসহ বিভিন্ন ধরনের ছোট পরিবহন। ভাটেরচর স্ট্যান্ড থেকে বড়ইকান্দি গ্রামে যেতে রাস্তার একাধিক স্থানে ছোট-বড় গর্ত রয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই এসব গর্তে পানি জমে। এতে দুর্ভোগে পড়ছেন চালক ও যাত্রীরা। খানাখন্দের জলাবদ্ধতায় যাত্রীদের পোশাক নষ্ট হচ্ছে। কখনো অটোরিকশা উল্টে ঘটছে দুর্ঘটনা। জমে থাকা পানিতে দ্রুত গাড়ি নষ্ট হচ্ছে। অটোরিকশার চালকসহ এলাকাবাসীর দাবি, রাস্তার এই খানাখন্দ মেরামত করা হোক।

সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক জসিম উদ্দিন তোতা বলেন, বেহাল রাস্তার কারণে চলাচলে সমস্যা হয়। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ ছাড়া রাস্তাটি দিয়ে ভাটেরচর বাজারে, ভাটেরচর দে এ মান্নান পাইলট উচ্চবিদ্যালয় ও বড়ইকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডারগার্টেন স্কুল ও ভাটেরচর মাদ্রাসাপড়ুয়া শিক্ষার্থী যাতায়াত করে। বর্ষা মৌসুমে রাস্তায় বৃষ্টির পানি জমে থাকায় শিক্ষার্থীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

মোটরসাইকেলচালক ওমর ফারুক বলেন, এ রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে দিনে কোনোরকমে চলাচল করলেও রাতে সম্ভব নয়।

টেঙ্গারচর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সভাপতি বোরহান উদ্দিন দেওয়ান বলেন, ‘আমাদের প্রায় প্রতিনিয়ত এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়। রাস্তাটি কয়েক মাস ধরে বেহাল, দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করা না হলে এখানে বড় ধরনের দুর্ঘটনারও শঙ্কা রয়েছে। তাই জনস্বার্থে দ্রুত রাস্তাটি মেরামত করা প্রয়োজন।’

টেঙ্গারচর ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসান ফরাজি জানান, এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে একাধিকবার উপজেলা আইনশৃঙ্খলা সভা এবং উন্নয়ন সভায় রাস্তা সংস্কারের চাহিদা দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ না থাকায় সংস্কার হচ্ছে না।

উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী কাজী ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, কয়েক হাজার মানুষ এ রাস্তা ব্যবহার করে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে এ অর্থবছরে রাস্তাটির নির্মাণকাজ শুরু করা যাবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত