গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজে অনুমোদনহীনভাবে সাড়ে ১৪ কোটি টাকার মালামাল কেনার অনিয়ম তদন্তে তিন সদস্যের সংসদীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে এক মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
গত ৯ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের আর্থিক ব্যবস্থাপনা শাখার সহকারী সচিব পূরবী পাল স্বাক্ষরিত এক চিঠির সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
চিঠি সূত্রে আরও জানা গেছে, সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির ৫২তম বৈঠকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের জন্য ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১৪ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার টাকার মালামাল কেনায় অনিয়মের বিষয়টি আলোচিত হয়েছে। সংসদীয় কমিটির সভায় আলোচনার পর গৃহীত সিদ্ধান্ত থেকে দেখা যায়, মেডিকেল কলেজের জন্য কেনা মালামাল হাসপাতালে বিতরণ করা এবং সেগুলো স্থাপন ও কার্যকর করা বাদেই সরবরাহকারীকে চূড়ান্ত বিল পরিশোধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নিরীক্ষার সময় ক্যাশ বই, বিল ভাউচার, স্টক বই ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র থেকে দেখা যায়, মেডিকেল কলেজের জন্য কেনা মালামাল পরে হাসপাতালে ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়, যা ঠিক হয়নি। এতে আরও বলা হয়েছে, হাসপাতালগুলো নিজস্ব সাবজেক্ট ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয় এবং তারা নিজেরা ব্যবহারের জন্য মালামাল কিনে থাকেন। তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের চাহিদা বাদেই এসব কেনাকাটা করা হয়েছে, ফলে সরকারি অর্থের অপব্যবহার হয়েছে।
এ জন্য সাংসদ মনজুর হোসেন, আহসানুল ইসলাম টিটু ও মুস্তফা লুৎফুল্লাহকে নিয়ে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি কেনাকাটার অনিয়ম সম্পর্কে অধিকতর নিশ্চিত হওয়ার জন্য সরেজমিনে পরিদর্শন ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র যাচাই করে আগামী এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট করবেন।
অনিয়মের মাধ্যমে যেসব মালামাল কেনা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—৩৫ লাখ টাকা মূল্যের প্লাটিলেট এক্সিগো মিটার, প্লাটিলেট ফাংশন অ্যানালাইজারের মূল্য দেখানো হয়েছে ৪৫ লাখ টাকা, মাল্টি চ্যানেল মাইক্রো পিপেটের মূল্য ৭ লাখ টাকা, গ্যাস ইলেকট্রিসিটি মেশিন ১৬ লাখ টাকা, অটোমেটিক কোয়াগুলেশন অ্যানালাইজার ৫১ লাখ ২০ হাজার টাকা, ইউরিন ল্যাব অটোমেশন ১১ কোটি ৫০ লাখ টাকা, মাফলি ফার্নেস ১৬ লাখ টাকা, ভ্যাকসিন অ্যান্ড আইস পেক ফ্রিজার ৭২ লাখ টাকা, হট এয়ার কভার ১৩ লাখ টাকা, প্লাজমা ইয়ার স্যানিটাইজার অয়েল মাউন্টেড ১৭ লাখ টাকা, আইস মেকার (২০ কেজি) ৪০ লাখ টাকা, লার্জ স্পিড সেন্ট্রিফিউজ ১৩ লাখ টাকা, লার্জ ক্যাপাসিটি রেফ্রিজারেটেড ১৫ লাখ টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চিকিৎসক অভিযোগ করেছেন, এসব যন্ত্রপাতি অত্যন্ত নিম্নমানের ছিল এবং এগুলো যেসব কাজের জন্য কেনা হয়েছিল সেসব কাজ করা সম্ভব ছিল না। এসব যন্ত্রপাতি গ্রহণ করার সময় কোনো নিয়মনীতি মানা হয়নি। যে মানের যন্ত্রপাতি দেওয়ার কথা ছিল, তাও দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুভাষ চন্দ্র সাহা বলেন, ‘আমার সময়ে কেনা মালামালের বিষয়ে অডিট আপত্তি হয়েছে। এখন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাঁরা তদন্ত করে দেখবেন। প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত বলা যাবে।’
মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল কাদের বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা তদন্ত কমিটিকে সব রকম সহায়তা করব।’
গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজে অনুমোদনহীনভাবে সাড়ে ১৪ কোটি টাকার মালামাল কেনার অনিয়ম তদন্তে তিন সদস্যের সংসদীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে এক মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
গত ৯ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের আর্থিক ব্যবস্থাপনা শাখার সহকারী সচিব পূরবী পাল স্বাক্ষরিত এক চিঠির সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
চিঠি সূত্রে আরও জানা গেছে, সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির ৫২তম বৈঠকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের জন্য ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১৪ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার টাকার মালামাল কেনায় অনিয়মের বিষয়টি আলোচিত হয়েছে। সংসদীয় কমিটির সভায় আলোচনার পর গৃহীত সিদ্ধান্ত থেকে দেখা যায়, মেডিকেল কলেজের জন্য কেনা মালামাল হাসপাতালে বিতরণ করা এবং সেগুলো স্থাপন ও কার্যকর করা বাদেই সরবরাহকারীকে চূড়ান্ত বিল পরিশোধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নিরীক্ষার সময় ক্যাশ বই, বিল ভাউচার, স্টক বই ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র থেকে দেখা যায়, মেডিকেল কলেজের জন্য কেনা মালামাল পরে হাসপাতালে ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়, যা ঠিক হয়নি। এতে আরও বলা হয়েছে, হাসপাতালগুলো নিজস্ব সাবজেক্ট ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয় এবং তারা নিজেরা ব্যবহারের জন্য মালামাল কিনে থাকেন। তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের চাহিদা বাদেই এসব কেনাকাটা করা হয়েছে, ফলে সরকারি অর্থের অপব্যবহার হয়েছে।
এ জন্য সাংসদ মনজুর হোসেন, আহসানুল ইসলাম টিটু ও মুস্তফা লুৎফুল্লাহকে নিয়ে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি কেনাকাটার অনিয়ম সম্পর্কে অধিকতর নিশ্চিত হওয়ার জন্য সরেজমিনে পরিদর্শন ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র যাচাই করে আগামী এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট করবেন।
অনিয়মের মাধ্যমে যেসব মালামাল কেনা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—৩৫ লাখ টাকা মূল্যের প্লাটিলেট এক্সিগো মিটার, প্লাটিলেট ফাংশন অ্যানালাইজারের মূল্য দেখানো হয়েছে ৪৫ লাখ টাকা, মাল্টি চ্যানেল মাইক্রো পিপেটের মূল্য ৭ লাখ টাকা, গ্যাস ইলেকট্রিসিটি মেশিন ১৬ লাখ টাকা, অটোমেটিক কোয়াগুলেশন অ্যানালাইজার ৫১ লাখ ২০ হাজার টাকা, ইউরিন ল্যাব অটোমেশন ১১ কোটি ৫০ লাখ টাকা, মাফলি ফার্নেস ১৬ লাখ টাকা, ভ্যাকসিন অ্যান্ড আইস পেক ফ্রিজার ৭২ লাখ টাকা, হট এয়ার কভার ১৩ লাখ টাকা, প্লাজমা ইয়ার স্যানিটাইজার অয়েল মাউন্টেড ১৭ লাখ টাকা, আইস মেকার (২০ কেজি) ৪০ লাখ টাকা, লার্জ স্পিড সেন্ট্রিফিউজ ১৩ লাখ টাকা, লার্জ ক্যাপাসিটি রেফ্রিজারেটেড ১৫ লাখ টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চিকিৎসক অভিযোগ করেছেন, এসব যন্ত্রপাতি অত্যন্ত নিম্নমানের ছিল এবং এগুলো যেসব কাজের জন্য কেনা হয়েছিল সেসব কাজ করা সম্ভব ছিল না। এসব যন্ত্রপাতি গ্রহণ করার সময় কোনো নিয়মনীতি মানা হয়নি। যে মানের যন্ত্রপাতি দেওয়ার কথা ছিল, তাও দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুভাষ চন্দ্র সাহা বলেন, ‘আমার সময়ে কেনা মালামালের বিষয়ে অডিট আপত্তি হয়েছে। এখন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাঁরা তদন্ত করে দেখবেন। প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত বলা যাবে।’
মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল কাদের বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা তদন্ত কমিটিকে সব রকম সহায়তা করব।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে