মনজুরুল ইসলাম, ঢাকা
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল ভবনের পাইলিং কাজের পদ্ধতি বদল করে সাশ্রয় হয়েছিল ৮ কোটি ২০ লাখ ডলার। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সাশ্রয় হওয়া সেই অর্থে দুটি পিয়ার বর্ধনকাজ এবং একটি নতুন ভিভিআইপি টার্মিনাল বানানোর সিদ্ধান্ত নেয়। তবে নির্মাণসামগ্রীর দাম বাড়ার পাশাপাশি ডলারের বিনিময় হার বাড়ার কারণ দেখিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত অর্থ দাবি করেছে। এই অবস্থায় বেবিচক বর্ধিত কাজের প্রকল্পটি বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পে অতিরিক্ত দুটি পিয়ার বর্ধনকাজের জন্য আগে যে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল, তাতে এখন কুলাচ্ছে না। বেবিচকের পরিকল্পনা ছিল সাশ্রয় হওয়া অর্থ দিয়ে বাড়তি কাজগুলো করার। কিন্তু ডলারের দাম বাড়ায় নির্মাণসামগ্রীর দামও বেড়েছে। কী পরিমাণ দাম বেড়েছে, সে জন্য অতিরিক্ত কত অর্থ লাগবে, সেটি যাচাই-বাছাই করে বেবিচকের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান দেখতে পায়, তাদের প্রাক্কলিত অর্থের চেয়ে ঠিকাদারের দাবির পরিমাণ অনেক বেশি। ঠিকাদার চায় ১ হাজার কোটি টাকার বেশি। অথচ বেবিচকের পরামর্শকের হিসাবে ৯০০ থেকে ৯৫০ কোটি টাকার মধ্যে কাজটি হওয়ার কথা।
সূত্রমতে, পরে বেবিচকের প্রাক্কলন অনুযায়ী অন্য ঠিকাদারের মাধ্যমে কাজটি করতে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সিকে (জাইকা) প্রস্তাব দেওয়া হয়। কারণ, তহবিল আসবে জাইকা থেকে। তবে অন্য ঠিকাদারের বিষয়টি জাইকা অনুমোদন না করায় বেবিচক আপাতত প্রকল্পটি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পিয়ার এক্সটেনশন অর্থাৎ আরও যে দুটি উইং করার কথা, তার জন্য আমাদের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যে পরিমাণ অর্থ দাবি করছে, তা আমাদের হিসাবে বেশি। যদিও সে পরিমাণ অর্থ দিতে জাইকা রাজি আছে। কিন্তু আমাদের যে হিসাব, সে অনুযায়ী যদি জাইকা লোন দিত, তবে আমরা এক্সটেনশনের কাজটি শুরু করতাম। কিন্তু জাইকা এতে রাজি না হওয়ায় আমরা কাজটি বন্ধ রেখেছি। তবে ভবিষ্যতে ঠিকাদারেরা যদি আমাদের বাজেট অনুযায়ী কাজ করতে রাজি হয় কিংবা আমরা যদি দেখি জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় খরচ আসলেই বাড়ছে, সে ক্ষেত্রে আবারও কাজটি শুরু করা হবে। কারণ, আমরা কোনোভাবেই চাই না সরকারি অর্থের অপচয় হোক।’
জানা গেছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্প ফেজ-১ ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর একনেকে অনুমোদন পায়। ২০১৯ সালের ১০ ডিসেম্বর প্রকল্পের প্রথম সংশোধিত ডিপিপি অনুমোদিত হয় ২১ হাজার ৩৯৯ কোটি টাকার। সরকারের অগ্রাধিকারমূলক এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল ২০২০ সালের ১৪ জানুয়ারি। তখন থেকে পুরোদমে কাজ চলার মধ্যেই গত বছর তৃতীয় টার্মিনাল প্রকল্পের নকশায় পরিবর্তন আনা হয়। প্রকল্পের মূল নকশায় ভিভিআইপি টার্মিনাল থাকলেও কাজের শুরুতে সেটি বাদ দেওয়া হয়েছিল। গত বছর আবার ভিভিআইপি টার্মিনাল যুক্ত করার পাশাপাশি তৃতীয় টার্মিনালসংলগ্ন এলাকায় দুটি পিয়ার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দুটি পিয়ার বাড়ানো হলে আরও ৩০ হাজার বর্গমিটার জায়গা যুক্ত হবে তৃতীয় টার্মিনালে।
বেবিচকের সূত্রমতে, সময় বাঁচাতে আলাদা দরপত্রের পরিবর্তে মূল চুক্তির অধীনে কাজ দুটি করার সিদ্ধান্ত ছিল। এ বিষয়ে আইনগত জটিলতা না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানও। জাইকা থেকেও অনাপত্তি পাওয়া যায়। সিদ্ধান্ত হয়েছিল ঠিকাদারের সঙ্গে করা চুক্তির মূল্য অপরিবর্তিত রেখে অতিরিক্ত কাজ করা হবে প্রকল্পের কন্টিজেনসি ফান্ড বা আনুষঙ্গিক খরচের তহবিল এবং অন্যান্য উপকরণের সঞ্চয় থেকে। তবে নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় আপাতত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে না।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল ভবনের পাইলিং কাজের পদ্ধতি বদল করে সাশ্রয় হয়েছিল ৮ কোটি ২০ লাখ ডলার। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সাশ্রয় হওয়া সেই অর্থে দুটি পিয়ার বর্ধনকাজ এবং একটি নতুন ভিভিআইপি টার্মিনাল বানানোর সিদ্ধান্ত নেয়। তবে নির্মাণসামগ্রীর দাম বাড়ার পাশাপাশি ডলারের বিনিময় হার বাড়ার কারণ দেখিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত অর্থ দাবি করেছে। এই অবস্থায় বেবিচক বর্ধিত কাজের প্রকল্পটি বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পে অতিরিক্ত দুটি পিয়ার বর্ধনকাজের জন্য আগে যে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল, তাতে এখন কুলাচ্ছে না। বেবিচকের পরিকল্পনা ছিল সাশ্রয় হওয়া অর্থ দিয়ে বাড়তি কাজগুলো করার। কিন্তু ডলারের দাম বাড়ায় নির্মাণসামগ্রীর দামও বেড়েছে। কী পরিমাণ দাম বেড়েছে, সে জন্য অতিরিক্ত কত অর্থ লাগবে, সেটি যাচাই-বাছাই করে বেবিচকের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান দেখতে পায়, তাদের প্রাক্কলিত অর্থের চেয়ে ঠিকাদারের দাবির পরিমাণ অনেক বেশি। ঠিকাদার চায় ১ হাজার কোটি টাকার বেশি। অথচ বেবিচকের পরামর্শকের হিসাবে ৯০০ থেকে ৯৫০ কোটি টাকার মধ্যে কাজটি হওয়ার কথা।
সূত্রমতে, পরে বেবিচকের প্রাক্কলন অনুযায়ী অন্য ঠিকাদারের মাধ্যমে কাজটি করতে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সিকে (জাইকা) প্রস্তাব দেওয়া হয়। কারণ, তহবিল আসবে জাইকা থেকে। তবে অন্য ঠিকাদারের বিষয়টি জাইকা অনুমোদন না করায় বেবিচক আপাতত প্রকল্পটি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পিয়ার এক্সটেনশন অর্থাৎ আরও যে দুটি উইং করার কথা, তার জন্য আমাদের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যে পরিমাণ অর্থ দাবি করছে, তা আমাদের হিসাবে বেশি। যদিও সে পরিমাণ অর্থ দিতে জাইকা রাজি আছে। কিন্তু আমাদের যে হিসাব, সে অনুযায়ী যদি জাইকা লোন দিত, তবে আমরা এক্সটেনশনের কাজটি শুরু করতাম। কিন্তু জাইকা এতে রাজি না হওয়ায় আমরা কাজটি বন্ধ রেখেছি। তবে ভবিষ্যতে ঠিকাদারেরা যদি আমাদের বাজেট অনুযায়ী কাজ করতে রাজি হয় কিংবা আমরা যদি দেখি জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় খরচ আসলেই বাড়ছে, সে ক্ষেত্রে আবারও কাজটি শুরু করা হবে। কারণ, আমরা কোনোভাবেই চাই না সরকারি অর্থের অপচয় হোক।’
জানা গেছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্প ফেজ-১ ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর একনেকে অনুমোদন পায়। ২০১৯ সালের ১০ ডিসেম্বর প্রকল্পের প্রথম সংশোধিত ডিপিপি অনুমোদিত হয় ২১ হাজার ৩৯৯ কোটি টাকার। সরকারের অগ্রাধিকারমূলক এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল ২০২০ সালের ১৪ জানুয়ারি। তখন থেকে পুরোদমে কাজ চলার মধ্যেই গত বছর তৃতীয় টার্মিনাল প্রকল্পের নকশায় পরিবর্তন আনা হয়। প্রকল্পের মূল নকশায় ভিভিআইপি টার্মিনাল থাকলেও কাজের শুরুতে সেটি বাদ দেওয়া হয়েছিল। গত বছর আবার ভিভিআইপি টার্মিনাল যুক্ত করার পাশাপাশি তৃতীয় টার্মিনালসংলগ্ন এলাকায় দুটি পিয়ার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দুটি পিয়ার বাড়ানো হলে আরও ৩০ হাজার বর্গমিটার জায়গা যুক্ত হবে তৃতীয় টার্মিনালে।
বেবিচকের সূত্রমতে, সময় বাঁচাতে আলাদা দরপত্রের পরিবর্তে মূল চুক্তির অধীনে কাজ দুটি করার সিদ্ধান্ত ছিল। এ বিষয়ে আইনগত জটিলতা না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানও। জাইকা থেকেও অনাপত্তি পাওয়া যায়। সিদ্ধান্ত হয়েছিল ঠিকাদারের সঙ্গে করা চুক্তির মূল্য অপরিবর্তিত রেখে অতিরিক্ত কাজ করা হবে প্রকল্পের কন্টিজেনসি ফান্ড বা আনুষঙ্গিক খরচের তহবিল এবং অন্যান্য উপকরণের সঞ্চয় থেকে। তবে নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় আপাতত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে না।
১০ বছর ধরে নিজের আত্মজীবনী লিখেছেন বরেণ্য অভিনেতা, নাট্যকার ও নির্মাতা আবুল হায়াত। নাম দিয়েছেন ‘রবি পথ’। অবশেষে প্রকাশ হচ্ছে তাঁর আত্মজীবনী। আগামী ২ নভেম্বর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজন করা হয়েছে রবি পথের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান।
৩ ঘণ্টা আগেপর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে